গাজীকে হারিয়ে আবাহনীর চারে চার
দুই সমান শক্তির খেলায় আবাহনীর সঙ্গে পাত্তাই পায়নি গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেএসপির ৩ নম্বার মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় আবাহনী ৮ ইকেটে জয়ী হয়েছে। আগে ব্যাট করে আবাহনীর বোলারদের তোপে পড়ে গাজী গ্রুপ ৪২.২ ওভারে মাত্র ১৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।
আবাহনী সেই রান টপকে যায় ৩০.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করে। আবাহনীর এটি ছিল চার ম্যাচে টানা চার জয়। সমান ম্যাচে সমান জয় আছে প্রাইম ব্যাংক, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও শেখ জামালের। ৪ ম্যাচে গাজীর এটি ছিল দ্বিতীয় হার এবং পয়েন্ট ৩।
আবাহনীকে বড় জয় এনে দিয়েছেন প্রথমে বোলাররা, পরে ব্যাটসম্যানরা। বল হাতে ৯ ওভারে ৩০ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন ৪ উইকেট। পরে ব্যাট হাতে মোহাম্মদ নাঈম শেখ খেলেন ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। আগের ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে তিনি ১১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন
বিকেএসপির ৩ নম্বার মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নামা গাজী গ্রুপের ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেননি আবাহনীর বোলাররা। বিশেষ করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সঙ্গে যোগ হন তানভীর ইসলাম ও রাকিবুল হাসান।
দলীয় ৮ রানে তানভীর ও সাইফউদ্দিন গাজীর দুই ওপেনার হাবিবুর রহমান ও মেহেদি মারুফকে ফিরিয়ে দেন। দলের রান তখন মাত্র ৮। শুরুর এই ধাক্কা পরে গাজী গ্রুপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সময় গড়ানোর সঙ্গে ম্যাচ সেরা সাইফউদ্দিন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন রাভি তেজা । তাকেও আউট করেন সাইফউদ্দিন। এ ছাড়া, মাহমুদুল হাসান ৩০, মেহরাব হাসান ২১ রান করেন। সাইফউদ্দিন ৩০ রানে নেন ৪ উইকেট। তানভীর ২৭ ও রাকিবুল হাসান ৩২ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
ছোট টার্গেটের পেছনে ছুটে আবাহনীকে সহজ জয় এনে দেন ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে থাকা ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে তিনি উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৬ রান এনে দেন মাত্র ১৩.১ ওভারে। বিজয় ৩৪ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৮ রান করে হুসনা হাবিবের বলে বোল্ড হয়ে গেলেও নাঈম দলকে বিজয়ী করে ফেরেন।
মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে তিনি দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন ১৩ ওভারে। জয় ৩৪ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে রান করে মেহরাবের বলে হুসনা হাবিবের হাতে ধরা পড়েন। এরপর নাঈম শেখ জয়ের বাকি কাজ সারেন ইন্দ্রজিত বাবাকে নিয়ে। তিনি ১০০ বলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৭৪ রানে করে অপরাজিত থাকেন। হাফ সেঞ্চুরি করেন ৬৫ বলে।
এমপি/এমএমএ/