শেখ জামালকে ধাক্কা দিয়েও পারেনি ব্রাদার্স
শেখ জামালের বিপক্ষে জয়ের জন্য ব্রাদার্স ইউনিয়নের শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন ২৯ রানের। উইকেটে শেষ জুটি। দ্বিতীয় শেষ ওভারে উইকেটে সেট ব্যাটসম্যান জাহিদুজ্জামান ১১ রান নিয়ে সম্ভাবনা কিছুটা জিইয়ে রাখেন। তার রান তখন ২৪ বলে ৫০। সঙ্গে মেহেদি হাসান রানা। তার কারণেই ব্রাদার্স শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে টিকে থাকে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৮ রানের। কিন্তু যাকে নিয়ে আশা, সেই জাহিদুজ্জামানই ওভারের চতুর্থ বলে শফিকুলের বলে বোল্ড হলে ১১ রানে হার মানতে হয় ব্রাদার্সকে। তাদের সামনে টার্গেট ছিল ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২০৭ রানের। ওভার ২৮টি। এর আগে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফজলে মাহমুদ রাব্বির ১০১ রানে ভর করে শেখ জামাল ৬ উইকেটে ২৮৭ রান করেছিল।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে শেখ জামালের বড় ইনিংস গড়ার কারিগর ফজলে মাহমুদ রাব্বি ছাড়াও নুরুল হাসান সোহানের ৬৬ ও রবিউল ইসলাম রবির ৪২ রান ছিল।
৩৪ রানে ২ উইকেটের পতন হওয়ার পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে রবিউল ও ফজলে রাব্বি ২২.৪ ওভারে ১০২ রান যোগ করেন। রবিউল ৭৩ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৪২ রানে সাকলায়েন সজিবের বলে মায়শাকুরের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। এরপর ফজলে রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহানের মাঝে গড়ে উঠে সেরা জুটি। তারা দুইজন চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৭.২ ওভারে ১০৫ রান যোগ করেন। সোহান ৬৬ রান করে সাকলায়েনের বলেই উইকেটের পেছনে জাহিদুজ্জামানের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। তিনি ৬৪ বল খেলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে এই রান করেন। ফজলে রাব্বি ৭১ বলে হাফ সেঞ্চুর করার পর সেঞ্চুরি করেন ১১৩ বলে। সেঞ্চুরি করার পরপরই তিনি ১০২ রানে আউট হয়ে যান মেহেদি হাসানের বলে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ধরা পড়ে। তার ১১৬ বলের ইনিংসে ৩ ছক্কা ও বাউন্ডারি ছিল। শেষের দিকে তাইবুর রহমান এসে খেলেন ৯ বলে ১টি করে চার ও ছয় মেরে ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস।
ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২৯৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্রাদার্সের রান ছিল একপর্যায়ে ৩ উইকেটে ১১২। কিন্তু এসময় হাফ সেঞ্চুরিয়ান সাব্বিরসহ মায়শাকুরও ফিরে যান দলটি ১১২ রানে। ফলে দলের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১২। এরপর জাহিদুজ্জামান ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে না পারলে ব্রাদার্সের জয় কঠিন হয়ে উঠে। জাহিদুজ্জামানের ২৪ বলে মারমুখী ৫৩ রানের ইনিংসে শেষ ওভার পর্যন্ত সম্ভাবনা বেঁচে ছিল। জিয়াউর রহমান ২৯ রানে নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন তাইবুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম।
এমপি/এসজি