অমিতের সেঞ্চুরিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ম্যাচসেরা চেরাগ জানি
বৃথা গেল শাইন পুকুরের অমিত হাসানের সেঞ্চুরি। তার ১০৪ রানের ইনিংস যেমন শাইন পুকরের সংগ্রহ মজবুত করতে পারেনি, তেমনি বাঁচাতে পারেনি দলের হার। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে তাদের ৩ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইন পুকুর টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অমিতের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সামনে টার্গেট দেওয়া হয় ৩৬ ওভারে ১৬৮ রানের। সেই লক্ষ্য রূপগঞ্জ অতিক্রম করে ৩৪.৫ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭০ রান করে।
রূপগঞ্জের জয়ের নায়ক ব্যাটে-বলে আবারও সেই ভারতীয় চেরাগ জানি। বল হাতে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে করেন ৪২ রান। রূপগঞ্জের এটি ছিল ৪ ম্যাচে চতুর্থ জয়। তাদের পয়েন্ট ৮। সমান ম্যাচে শাইন পুকুরের পয়েন্ট ২।
৩৬ ওভারে ১৬৮ রান খুব বড় টার্গেট নয়। উইকেটের মড়ক না লাগলে জয় অনায়েসেই আসবে। সেই কাজটিই করেন রূপগঞ্জের ব্যাটসম্যানরা। তাদের হয়ে কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আবার উইকেট পতনের মড়কও লাগতে দেননি।
শুরুতে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৫ রান করে ফিরে গেলেও এর কোনো প্রভাব পড়তে দেননি পরের ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে মুনিম শাহরিয়ার ১৭ রান করে আউট হওয়ার পর সাব্বির রহমান ও ইরফান শুক্কুর ৫১ রানের জুটি গড়েন। ৫৮ বলে ৪৩ রান করে শামসুর রহমানের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে সাব্বির বিদায় নেওয়ার পর মাশরাফি উপরে উঠে এসেছিলেন ব্যাট করতে। কিন্তু তাকে কোনো রান করতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেন সেই শামসুর রহমানই। এরপর চেরাগ জানিকে নিয়ে ইরফান ৬৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কিনারায় নিয়ে যান। চেরাগ জানি ৪৯ বলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৪২ রান করে মেহেদি হাসান রানার বলে বোল্ড হন। দলীয় ১৬০ রানে ইরফান ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হওয়ার পরপরই সোহাগ গাজীকেও হাসান মুরাদ ফিরিয়ে দিয়ে দলের হারের ব্যবধান কমিয়ে এনেছিলেন। হাসান মুরাদ ২৯ রানে ৩টি ও শামসুর রহমান ২৫ রানে ২টি উইকেট নেন।
এর আগে অমিত হাসানের সেঞ্চুরি আর সাজ্জাদুল হক রিপনের হাফ সেঞ্চুরির পরও শাইন পুকুর নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেনি। অলআউট হয়ে যায় ২০৭ রানে। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শাইন পুকুর ৪ রানে ২ ওপেনার শামসুর রহমান ও খালিদ হাসানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে। প্রিয়াঙ্কা পানচাল ও অমিত হাসান ৫৩ রানের জুটি গড়ে সেই অবস্থার সামাল দেন। পানচাল ২৩ রান করে নাইম ইসলাম জুনিয়রের বলে ফিরে যাওয়ার পর আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও ফিরে যান একই বোলারের বলে। এরপর দলের হয়ে সেরা জুটি গড়ে উঠে অমিত ও রিপনের ব্যাটে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা ২১ ওভারে ১০৭ রান যোগ করে দলের সংগ্রহকে বড় করার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন। কিন্তু এরপরও তারা পারেননি। এই না পরার কারণ চেরাগ জানি। হাফ সেঞ্চুরি করার পর রিপনকে আউট করেন চেরাগ জানি। পরে সেঞ্চুরি করা অমিতও তার হাত থেকে রেহাই পাননি। ৭৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর মাশরাফির বলে ২ রান নিয়ে ১৩৯ বলে সেঞ্চুরি করার পর আর বেশি দূর যেতে পারেননি। ১০৪ রানে তাকে আউট করেন চেরাগ জানি। ১৪৪ বল খেলে ৯টি চার মেরেছিলেন অমিত। ৯ রানের ব্যবধানে দুইজন আউট হয়ে যান। এরপর আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। ফলে শাইন পুকুরের ১৫ বলে ১০ রানে পড়ে শেষ ৬ উইকেট। ২০৭ রানেই পড়ে শেষ ৪ উইকেট। চেরাগ জানি ৩৭ রানে ৪ উইকেট নেন। মাশরাফি ৪০ রানে নেন ৩টি।
এমপি/এসজি