তামিমের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানকে হারাল প্রাইম ব্যাংক
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে যখন দলের ব্যাটসম্যানরা রানের ফুলঝরি ছিটাচ্ছিলেন, সেখানে তামিম ইকবাল রান পাচ্ছিলেন ন। রেকর্ডে ভরা শেষ ম্যাচে তিনি রানের দেখা পান। অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। সেই ইনিংসই যেন তামিম ইকবাল পরের দিন টেনে আনেন ঢাকায়। খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে তা প্রয়োগ করেন মোহামেডানের বিপক্ষে। তার এই প্রয়োগে সহজ পায় প্রাইম ব্যাংক। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে লিগে তুলে নিয়েছে টানা চতুর্থ জয়। বিপরীতে এখনো জয়হীন মোহামেডান। তিন ম্যাচ হেরে পরিত্যক্ত হওয়া একটি ম্যাচ থেকে তারা ১ পয়েন্ট পেয়েছিল।
আজ (২৪ মার্চ) খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডান ৪২ ওভারে মাত্র ১৯৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। প্রাইম ব্যাংক সেই রান তাড়া করে তামিম ইকবালের অপরাজিত ১০৯ রানে ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪২.১ ওভারে। তার সঙ্গে ৩৯ রানে অপরাজিত থকেন মুশফিকুর রহিম।
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর মোহামেডানের ব্যাটসম্যানরা মোটেই সুবিধা করতে পারেননি। প্রাইম ব্যাংকের তিন বোলার নাসির হোসেন, রুবেল হোসেন ও রেজাউর রহমান রাজা মিলে মোহামেডানের ব্যাটসম্যানদের লাগাম টেনে ধরেন।
বোলারদের এরকম তোপের পরও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কান মারমুখী সূচনা করেছিলেন। ৬.১ ওভারে তারা ৪৪ রান এনে দেন। ইমরুল ২২ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ২২ রান করে নাসিরের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। এই নাসিরই পরে সৌম্য সরকারকে ১৭ রানে ফিরিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় আঘাত হানেন।
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও অনুষ্টুপ মুজমদার হাল ধরে দলের সংগ্রহ বড় করার চেষ্টা চালান। কিন্তু খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। জুটিতে ৩৩ রান আসার পর অঙ্কন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪১ রান করে শরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৮), আরিফুল হক (২২), শুভাগত হোম (২৬) কেউই বড় ইনিংস খেলতে না পারলে মোহামেডান ১৯৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। নাসির ২৯ রানে ৩টি, রেজাউর রহমান রাজা ৩১ রানে ও রুবেল হোসেন ৫৪ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুন দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। মাত্র ১৪.২ ওভারে তারা ৭৩ রান যোগ করে দলের বড় জয়ের ভীত গড়ে দেন। মোহাম্মদ মিঠুন ৩৬ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ৩১ রান করে শুভাগত হোমের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেওয়ার পর প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে একটি মিনি ধস নামে দ্রুতই ফিরে যান নাসির হোসেন (১) ও ইয়াসির আলী (১)। দুইজনকে ফিরিয়ে দেন খালেদ আহমেদ। দলের রান তখন ৩ উইকেটে ৮৩। ১০ রানে নেই ৩ উইকেট। কিন্তু এই চাপকে আর বাড়তে দেননি তামিম ইকবাল। মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে তিনি আর কোনো উইকেটেরই পতন হতে দেননি। ২৪.৫ ওভার খেলে অবিচ্ছিন্ন থেকে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বাকি রান সংগ্রহ কেরে নেন। জুটিতে তারা যোগ করেন ১১৯ রান।
তামিম ইকবাল ৭৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর সেঞ্চুরি করেন ১৪৫ বলে এনামুল হক জুনিয়রকে এক্সটা কাভার দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। ম্যাচসেরা তামিম ১৫৬ বলে ১২ চারে ১০৯ ও মুশফিকুর রহিম ৫৭ বলে ২ চারে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। খালেদ আহমেদ ৪৬ রানে নেন ২ উইকেট।
এমপি/এসজি