হাসান বিষে নীল আইরিশরা
বাংলাদেশ দলের বৃহস্পতি তুঙ্গে। ধুলো মুঠো সোনা হয়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিরিজে যাকে খেলানো হচ্ছে তিনিই গোল্ডেন ‘এ’ প্লাস পেয়ে পাস করছেন। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের জন্য এখন মধুর সমস্যা এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ল্যাবরেটরি থেকে তিনি বাদ দেবেন কাকে এবং কীভাবে?
হাথুরুসিংহের এবারের পরীক্ষায় গোল্ডেন ‘এ’ প্লাস পেয়ে পাস করেছেন পেসার হাসান মাহমুদ। মাত্র ৮.১ ওভার বোলিং করে ৩২ রানে নিয়েছেন ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট। তার এই আগুনঝরা বোলিংয়ে আইরিশরা মাত্র ১০১ রানে গুটিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে যা ছিল তাদের সর্বনিম্ন রান। তার আগের সেরা বোলিং ছিল ২০২১ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরে ২৮ রানে ৩ উইকেট। তার ৩২ রানে ৫ উইকেট আবার বাংলাদেশের ১২তম সেরা বোলিং। ২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে সবার সেরা আছেন মাশরাফি।
হাসান মাহমুদ আজ খেলেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার অষ্টম ম্যাচ। দলে তিনি নিয়মিত নন। আইরিশদের পেয়ে অন্যরা যখন নিজেদের পেখম মেলে ধরছেন, তখন হাসান মাহমুদ নিজেও সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি। নিজেও পেখম মেলে ধরেন।
দিবা-রাত্রির খেলা মাগরিবের আজানের সময় শেষ হওয়ার কারণ হলেন এই হাসান মাহমুদ। আইরিশরা সিরিজে টানা তৃতীয়বারের মতো টস জিতে এবার ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল। বাংলাদেশকে আর ব্যাটিং করতে পাঠায়নি। কারণ আগের দুই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে পাঠিয়ে তারা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। এবার নিজেরা ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল যাতে করে বাংলাদেশের মতো ইনিংস পেটমোটা করতে পারে। তার পরিবর্তে, সেখানে তারা মুখ থুবড়ে পড়ে। কারণ হাসান শুরুতেই মাত্র ২২ রানে তাদের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান স্টিফেন ডোহেনি, পল স্টার্লিং, হ্যারি টেক্টরকে আউট করেন। পরে আউট করেন লরকান টাকারকে। আর গ্রোয়াম হিউমকে আউট করে ইনিংসের শেষ উইকেট নিয়ে তিনি ৫ উইকেট নেওয়ার চক্র পূর্ণ করেন।
হাসান আজ ২ স্পেলে বোলিং করেন। প্রথম স্পেলে তিনি ৬ ওভারে ১টি মেডেনসহ ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় স্পেল ছিল ২.১ ওভারের। ৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পেয়ে হাসান মাহমুদ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি খুবই রোমাঞ্চিত এই পারফরম্যান্সে।’
হাসান মাহমুদ বলেন,‘আবহাওয়া ও কন্ডিশন পেসারদের পক্ষে ছিল। এরকম কন্ডিশনে আমরা বোলিং এনজয় করেছি।’
পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডকে কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই উন্নতিতে পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ড নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন। বোলাররা ক্রমান্বয়ে উন্নতি করে যাচ্ছে। আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি নতুন বলকে কাজে লাগাতে।’
এমপি/এসজি