সুযোগ পাওয়া ও বাদ পড়াদের নিয়ে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ পাঁচটি পরিবর্তন এনে বিপিএলের পারফরমারদের নিয়ে দল সাজিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে দল তুলে দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। তার ফলও পায় বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডকে ৩ ম্যাচের সিরিজে ‘বাংলাওয়াশ’ করে। তাওহিদ হৃদয়, রনি তালুকদার নিজেদের মেলে ধরেন। এক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে তানভীর ইসলামও যোগ্যতা প্রমাণ করেন। শামীম হোসেন পাটোয়ারি ২টি ম্যাচ খেললেও ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি। রেজাউর রহমান রাজা কোনো ম্যাচই খেলেননি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমন সফল সিরিজের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে আবার আনা হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন ৪ জন। সুযোগ পেয়েছেন তিনজন। বাদ পড়া ৪ জনের ২ জনই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলে প্রথমবার ডাক পেয়েছিলেন। তারা হলেন- রেজাউর রহমান রাজা ও তানভীর ইসলাম। বাদ পড়া অপর দুইজন হলেন- আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান। দলে প্রথমবারের মতো নেওয়া হয়েছে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ও উইকেটকিপার ব্যাটার জাকের আলী অনিককে। ফিরিয়ে আনা হয়েছে বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামকে।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে এক বছরের জন্য আমরা যে প্রস্তুতি শুরু করেছি, সেজন্য বেশি সংখ্যক ক্রিকেটার আমরা পাব।’ কিন্তু রেজাউর রহমান রাজাকে তো দেখারই সুযোগ হলো না। তিনিসহ বাদ পড়াদের নিয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছেন নান্নু। তিনি বলেছেন, ‘যারা এই সিরিজে নেই, ওদের জন্যও সুযোগ অবশ্যই থাকবে। চোখের আড়াল হবে না।’
দলে প্রথমবারের মতো ডাক পাওয়া দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা। জাকের আলীকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘জাকের আলী অনিক ঘরোয়া ক্রিকেট এবং ‘এ’ দলের হয়ে যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করে। এজন্য ওকে আমরা দলে নিয়েছি।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে জাকের আছেন রানের মাঝেই। সর্বশেষ বিপিএলে তিনি চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ১২০.৬৮ স্ট্রাইক রেটে ১১ ম্যাচে ১৭৫ রান করেন। তবে লংগার ভার্সনের ম্যাচে তার পারফরম্যান্স ছিল ঈষর্ণীয়। বিসিএলে তিনি ৬ ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন তিনটি। হাফ সেঞ্চুরি ছিল একটি। ৯৮.৪০ গড়ে রান করেছিলেন ৪৯২।
লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে নেওয়া হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদায়। গত কয়েকটি সিরিজ থেকে তিনি নিয়মিত নেট বোলার হিসেবে বোলিং করে আসছেন। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২১ সালের জুনে। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ১৪টি। উইকেট নিয়েছেন ৬টি।
বাংলাদেশের লেগ স্পিনারদের কোনো ইতিহাস নেই। জুবায়ের হোসেন হারিয়ে গেছেন। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে দিয়েও আশার প্রদীপ জ্বালানো যায়নি। এবার রিশাদ পরীক্ষা। তাকে নিয়ে নান্নু বলেন, ‘রিশাদ হোসেনকে আমরা একটু দেখতে চাচ্ছি। যেহেতু আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে খেলা। এই সিরিজটায় আমরা ওকে দেখব। আমাদের ম্যানেজমেন্টও চাচ্ছিল একটা লেগ স্পিনার। এজন্যই আমরা রিশাদ হোসেনকে যুক্ত করেছি। ও আমাদের এইচপির সঙ্গে অনেক দিন কাজ করেছে।’
নতুন যারা দলে এসেছে তারা ভালো করবেন আশাবাদ ব্যক্ত করে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘যারা নতুন এসেছে তাদের জন্য অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম এটা। আশা করছি, ওরা নিজেদেরকে সেভাবেই মেলে ধরতে পারবে। এই সিরিজটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
এমপি/এসজি