জেতা ম্যাচ হাতছাড়া সিটি ক্লাবের
টানটান উত্তেজনা। শেষ ওভারে সিটি ক্লাবের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২ রানের। বোলার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ক্রিজে সিটি ক্লাবের আসিফ আহমেদ রাতুল ২০ ও রবিউল হক ৩ রানে। প্রথম ২ বলেই দুই ব্যাটার ৫ রান নিয়ে ম্যাচকে অনেকটা সিটি ক্লাবের গ্রিপে নিয়ে নেন। শেষ ৪ বলে করতে হবে ৭ রান। অনেক সহজ। কিন্তু সেই সহজ আর সহজ থাকেনি। নিতে পারেনি ৭ রান। উল্টো ২ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে মাত্র ২ রান। হাতছাড়া হয় নিশ্চিত জয়। হার মানে ৫ রানে।
সিটি ক্লাবকে এই সুযোগ এনে দিয়েছিল বৃষ্টি। শেখ জামাল আগে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রান করে। পরে বৃষ্টির কারণে সিটি ক্লাবের সামনে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে টার্গেট দাঁড়ায় ৩২ ওভারে ১৬৮। কিন্তু সেই রান আর তাদের করা হয়নি। শেখ জামালের এটি ছিল ৩ ম্যাচে তৃতীয় জয়। সিটি ক্লাবের টানা তৃতীয় হার।
খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব উদ্বোধনী জুটিতে ১১০ রান করার পরও ২২৮ রানে অলআউট হওয়াটা ছিল অবাক করার মতো। দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৈকত আলী ২১.৫ ওভারে ১১০ রান যোগ করেন। ১৫ রানের ব্যবধানে আউট হন দুই ব্যাটার। প্রথমে সৈকত আলী ৬৩ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৫২ রান করে মো. আসিফ হাসানের বলে বোল্ড হন। সাইফ হাসান ৭৯ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৬ রান করে আউট হন নয়নের বলে সাইফুলের হাতে ধরা পড়ে।
উদ্বোধনী জুটির এই সাফল্য পরের ব্যাটাররা আর ধরে রাখতে পারেননি। আসা-যাওয়ায় শামিল হন। ফজলে রাব্বি ৩৬ ও তাইবুর ৩৯ রান করা ছাড়া পরে আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। রবিউল হক ৩৬ রানে নেন ৪ উইকেট। তৌফিক ৬১ রানে নেন ২ উইকেট।
৩২ ওভারে ১৬৮ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে সিটি ক্লাব একটু দেখে-শুনে খেলা শুরু করে। কিন্তু উইকেটে কেউই সেট হতে পারছিলেন না। ছোট ছোট ইনিংস খেলে সবাই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। তৌফিক খান তুষার খেলেন ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৩ বলে ৪২ রানের ইনিংস। রাফসান করেন ৩৬ রান। একপর্যায়ে তাদের রান ছিল ৫ উইকেটে ৩০ ওভারে ১৫২। ১২ বলে করতে হবে ১৬ রান। হাতে ৫ উইকেট। জয় হাতছোঁয়া দূরত্বে। শফিকুলের করা ৩১তম ওভারে মাত্র ৪ রান আসলে শেষ ওভারে গিয়ে প্রয়োজন পড়ে ১২ রানের। সেই ১২ রানও নেওয়া সম্ভব হয়নি সিটি ক্লাবের ব্যাটারদের। ৬ রান নিয়ে তারা হার মানে ৫ রানে।
শফিকুল ইসলাম ৩৭ রানে নেন ৩ উইকেট।
এমপি/এসজি