মাস্টার্স পাস করলেন মাহমুদউল্লাহ
দলের মাঝে মাহমুদউল্লাহর পরিচিতি ‘সাইল্যান্ট কিলার’ হিসেবে। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ১০৩ রানের ইনিংস রেখেছিল বড় ভূমিকা। একইভাবে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমি ফাইনালে উঠার পথে নিউ জিল্যান্ডেকে হারানো ম্যাচেও তার অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংসও একইরকম ভূমিকা রেখেছিল। তার এই দুই ইনিংস নিয়ে যে খুব বেশি মাতামাতি হয়েছে তা কিন্তু নয়। কারণ ‘কর্তা’ নিজেই তো চুপচাপ থাকতে বেশি পছন্দ করেন। ২২ গজের বাইরেও মাহমুদউল্লাহ অনেকটা ‘সাইল্যান্ট’। তাই তো তার ‘এমবিএ’ করার সংবাদটা সেভাবে আলোচিত হয়নি। যতটা হয়েছে সাকিবের ‘গ্র্যাজুয়েট’ হওয়া নিয়ে।
দুইজনে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘এআইইউবি’ থেকে নিজ নিজ ডিগ্রি অর্জন করেন। সমাবর্তনও হয়েছে একই দিনে। কিন্তু সাকিবের ডিগ্রি অর্জন নিয়ে সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছিল সরব। সাকিব নিজেও এ নিয়ে কথা বলেছেন। একই অনুষ্ঠানে এনামুল হক বিজয় ও কামরুল ইসলাম রাব্বিও সনদ নিয়েছেন। কিন্তু এই দুইজনই ছিলেন সম্পূর্ণ আড়ালে। এনামুল হকতো প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে নিজ ক্লাব আবাহনীর খেলা রেখেই মাঝ পথে গিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
নামুল হক বিজয়ের মতো মাহমুদউল্লাহরও প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে নিজ ক্লাব মোহামেডানের খেলা ছিল। তিনি আর খেলা রেখে অনুষ্ঠানে যাননি। পরে গিয়ে সনদ গ্রহণ করে ক্যাপ ও গাউন পরা ছবি নিজের ফেইসবুকে অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। তারপরই সবাই তার এই ডিগ্রি অর্জনের খবর জানতে পারেন। নিজের ছবি পোস্ট করে মাহমুদউল্লাহ লিখেছেন, ‘আলহামদুল্লিাহ। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা আলার আর্শিবাদে এবং আমি নিষ্ঠার সঙ্গে সবসময় চেষ্টা করেছি ক্লাস, অ্যাসাইন্টমেন্ট ও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এটা আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল, কিন্তু আমি এআইইউবি থেকে আমার এমবিএ সম্পন্ন করেছি। দুভার্গ্যবশত আমার ক্রিকেট ম্যাচ থাকায় আমি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারিনি। ধন্যবাদ জানাই আমার সম্মানিত শিক্ষক ও এআইইউবিকে।’
এমপি/এসএন