বৃষ্টিতে পণ্ড দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ
বৃষ্টি না থামায় শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড আর ব্যাট করতে নামতে পারেনি। ফলে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ দল টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের দেশের জার্সিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির সুবাদে বাংলাদেশ ৩৪৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল। মুশফিক ৬০ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ইনিংসের শেষ বলে। বাংলাদেশের ইনিংস নির্বিঘ্নে শেষ হয়।
বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির গতিও বাড়তে থাকে। সেই বৃষ্টি আর থামেনি। ফলে আয়ারল্যান্ডও আর ব্যাট করতে নামতে পারেনি। সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ছিল বিকাল ৫টার পর বৃষ্টি হবে। হয়েছেও তাই। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি এমনই মুষলধারে নামতে থাকে যে বিরতির পরও থামার নাম-গন্ধ ছিল না। আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররাও তাই আর ব্যাট করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। মাঝে একবার বৃষ্টি কমলেও গুঁড়ি গুঁড়ি পড়ছিল। এসময় গ্রাউন্ডসম্যানরা মাঠে নেমে পড়েছিলেন। কিন্তু পিচ কভার আর তোলার সুযোগ হয়নি। পরে আবার বৃষ্টির বেগ বেড়ে যায়।
এদিকে খেলার নিষ্পত্তি হতে হলে সর্বনিম্ন ২০ ওভার খেলা হতে হয়। আবার খেলা শুরুর শেষ সময় ছিল ৯টা ৩০ মিনিট। কিন্তু আম্পায়াররা আর সে পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি। সাড়ে ৮টার দিকেই তারা ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের আর সিরিজ জয় হয়নি। তার জন্য এখন অপেক্ষা করতে হবে ২৩ মার্চ শেষ ম্যাচের জন্য।
ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও বাংলাদেশের জন্য রেকর্ডময় হয়ে থাকবে। ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান করে বাংলাদেশ দলগত সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়েছে। আগের সর্বোচ্চ রান তারা করেছিল আগের ম্যাচে এই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করে। আজকের ম্যাচে মুশফিকুর রহিম ৬০ বলে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড গড়েছেন। আগের রেকর্ড ছিল সাকিবের ৬৩ বলে। একই ম্যাচে মুশফিক তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ৭ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন। তার আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন প্রথমে তামিম ইকবাল, পরে সাকিব আল হাসান। আজ ওপেনার লিটন কুমার দাসও ২ হাজার রান পূর্ণ করেন নবম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে। তার আগে ২ হাজার রান করেছিলেন তামিম ইকবাল (৮১৬৯), সাকিব আল হাসান (৭০৮৬), মুশফিকুর রহিম (৭০৪৫), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৪৯৫০), মোহাম্মদ আশরাফুল (৩৪৬৮), ইমরুল কায়েস (২৪৩৪), শাহরিয়ার নাফিস (২২০১) ও হাবিবুল বাশার (২১৬৮)।
এমপি/এসজি