বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করে আবাহনীর জয়, ২ ম্যাচ পরিত্যক্ত
একসময় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) গুরুত্ব ছিল সবচেয়ে বেশি। খেলা হতো শীত মৌসুমে। টেস্ট স্ট্যাটাসের পর বদলে যায় সেই চিত্র। এখন ডিপিএলের জায়গা দখল করেছে বিপিএল। বিসিবির কাছে গুরুত্বও পায় বেশি। ডিপিএল যেন সৎ সন্তান। বৃষ্টির ভরা মৌসুমে জায়গা হয়েছে তার। তাইতো আসর শুরু হতে না হতেই পড়েছে বৃষ্টির কবলে।
আসরের প্রথম দিন থেকেই বৃষ্টি এসে বাগড়া দিচ্ছিল। কিন্তু কোনো ম্যাচের প্রাণ কেড়ে নিতে পারেনি। কিন্তু আজ (১৯ মার্চ) লিগের চতুর্থ দিন তিন ম্যাচের দুটিই গেছে বৃষ্টির পেটে। বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করে একটি ম্যাচ শেষ পর্যন্ত নিষ্পত্তি। যেখানে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে আবাহানী ১০ রানে জয় পেয়েছে শাইন পুকুরের বিপক্ষে। পণ্ড হয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও মোহামেডান এবং গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও নবাগত লিওপার্ডসের ম্যাচ।
নারায়ণগঞ্জ খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে আবাহনী ফিল্ডিং করতে নামে। বৃষ্টির কারণে বিলম্বে শুরু হওয়া খেলা নেমে আসে ৩৩ ওভারে। এসময় শাইন পুকুর ৮ উইকেটে ১৯৬ রান করে। সাজ্জাদুল হক রিপন ৩৬, খালেদ হাসান ৩৫, অভিষেক মিত্র ৩৩ রান করেন। আবাহনীর হয়ে তানভীর ইসলাম ২৭ রানে নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩১ ও রকিবুল হাসান ৩৩ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ ১৬ ওভারে ৯১ রান যোগ করেন। নাঈম ৪৩ রান করে আউট হন। এরপর এনামুল ও মাহমুদুল হাসান জুটি বেঁধে এগোতে থাকেন। দলের রান যখন ২১ ওভারে ১ উইকেটে ১১৪, তখন আবার বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর আর খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। ফলাফল নির্ধারণ করতে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হয়। যেখানে দেখা যায় ২১ ওভারে আবাহনীর জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ১০৪ রানের। কিন্তু সে সময় তাদের রান ছিল ১১৪। ফলে ১০ রানে ম্যাচ জিতে আবাহনী। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা এনামুল হক বিজয় এই ম্যাচে ৬৪ বলে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচসেরা হব তানভীর ইসলাম।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও মোহামেডানের ম্যাচটি টি-টোয়েন্টিতে রূপ নিয়েছিল। ২১ ওভারের ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৫ উইকেটে ২২২ রান করে। ‘টেস্ট ’ ক্রিকেটারের লেবেল লাগানো মুমিনুল হক খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস। তার ৪১ বলের ইনিংসে ছিল ১ ছক্কা ও ১১ চার। আমানদ্বীপ ৩৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৮ চারে ৬৩ রান করেন। এ ছাড়া শামীম হোসেন ২১ বলে ৩৭ ও ইমরানুজ্জামান ১৪ বলে ২৫ রান করেন। মোহামেডানের হয়ে খালেদ ২৯ রানে নেন ২ উইকেট।
২২২ রান তাড়া করে মোহামেডানের পক্ষে ম্যাচ জেতা সম্ভব হতো কি না তা পরের বিষয়। কিন্তু তারা সে চেষ্টাই করতে পারেনি।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও নবাগত ঢাকা লিওপার্ডসের ম্যাচটি ২০ ওভারে নেমে এসেছিল। তবে এখানে মিরপুরের ম্যাচের মতো রান উৎসব হয়নি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৩ উইকেটে মাত্র ৯৭ রান করে। সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে ভারতের রাভি তেজার ব্যাট থেকে। ১টি করে উইকেট নেন মো. সোহেল রানা, চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা ও সোহরাওয়ার্দী শুভ।
ছোট টার্গেটের পেছনে ছুটে লিওপার্ডস ছিল জয়ের পথেই। ১৩.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৭৭ রান করার পর আলোর স্বল্পতা কারণে ম্যাচ আর শেষ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে ২০ ওভার খেলা না হওয়ায় বৃষ্টি আইনও প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে ম্যাচ হয়ে পরিত্যক্ত। দুই দল ১ পয়েন্ট করে ভাগাভাগি করে নেয়। লিওপার্ডসের হয়ে পিনাক ঘোষ সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের সুমন খান ৮ রানে নেন ২ উইকেট।
এমপি/এসজি