পেসাররা খেলবেন বিশ্রাম থেকে
এ বছরই অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তারই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নতুন করে ফিরে আসা কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের তত্ত্বাবধানে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এসব করতে গিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একসঙ্গে ৫ পরিবর্তন এনে তার সুফলও পেয়েছে দল। ৩ ম্যাচের সিরিজে ইংলিশদের করেছে বাংলাওয়াশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আবার সেরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। কিন্তু এবার আয়ারল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে সেখানেও হাত দিয়েছেন কোচ। দলে পরিবর্তন আনার পর এবার একাদশেও তার প্রভাব পড়তে যাচ্ছে।
এই প্রভাবের দুই রকম ধরন হতে পারে। ব্যাটারদের ক্ষেত্রে পরখ করা হলেও পেসারদের ক্ষেত্রে তা হবে বিশ্রাম। শুক্রবার (১৭ মার্চ) সিলেটে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দিয়েছেন সেই রকমই ইঙ্গিত। পেসারদের বিশ্রামে রাখার কারণ যাতে করে বিশ্বকাপের আগে সবাইকে তরতাজা পাওয়া যায়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে তাসকিন আহমেদকে বিশ্রামে রাখা হয়েছিল। খেলেছিলেন এবাদত হোসেন। তিনি পেয়েছিলেন ২ উইকেট। সেই সিরিজে আবার দলে থাকার পরও কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খুবই ভালো বোলিং করা হাসান মাহমুদ।
কোচ বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে যাতে করে আমরা তাসকিনকে পুরো ফিট পাই, সে কথা মাথায় রেখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তাকে খেলানো হয়নি।’ তাসকিন সম্বন্ধে কোচ আরও বলেন, ‘সে আমাদের মূল স্ট্রাইক বোলার। সে বিশ্বমানের। সে অনেকের মতো অনেক জোরে বল করে।’
তিনি বলেন, ‘তাসকিন ও ফিজকে (মুস্তাফিজ) আমরা বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলাম। কারণ আমাদের আগামীতে অনেক খেলা আছে। এটি করলে দলে আর যে পেসাররা আছে তাদের একটি খেলার সুযোগও তৈরি হয়।’
হাসান মাহমুদ সম্বন্ধে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমাদের যদি আরও খেলা থাকত, তাহলে আমরা অবশ্যই ওকে (হাসান মাহমুদ) খেলাতাম। আমরা পেসারদের বেশি করে ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা করছি। এতে করে তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। আর আমাদেরও বুঝতে সুবিধা হবে তারা কেমন করছে।’
তিনি বলেন, ‘সে (হাসান মাহমুদ) যেভাবে (টি-টোয়েন্টিতে) চাপের ওভারগুলো করেছে, তা ছিল খুবই প্রশংসনীয়। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তার বাটলারকে আউট করা ছিল ম্যাচের আসল টার্নিং পয়েন্ট।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মিরাজের সরাসরি থ্রোতে বাটলারের রানআউটকেও হাথুরুসিংহে ম্যাচ জয়ের উৎস বলে জানান। তিনি বলেন, ‘ওই ম্যাচের দিকে তাকালে মিরাজের রানআউটটা সামনে চলে আসে। ম্যাচে তার ফিল্ডিংটা আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পেরেছি। বাটলারের রানআউটের পর ইংল্যান্ডের সব বাঁ-হাতি ব্যাটাররা আসতে শুরু করে। বাটলার থেকে গেলে ম্যাচের সিনারি ভিন্ন হতে পারত।’
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মোস্তাফিজের বোলিং নিয়েও প্রশংসা করেন হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, ‘একটি ম্যাচে ছোট ছোট কিছু লড়াই আছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এমন সব ক্রিকেটারদের খুঁজছি, যারা প্রয়োজনে দলের হয়ে ভূমিকা রাখতে পারে। তারা যদি এরকম ভূমিকা সব সময় রাখতে পারে তাহলে তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। দলও তাদের প্রতি ভরসা করতে পারে। ফিজ শেষ ম্যাচে উইকেট পায়নি। কিন্তু যেভাবে বোলিং করেছে তার ২টি ওভার খেলার মোমেন্টামই বদলে দিয়েছিল।’
এসময় হাথুরুসিংহে সাংবাদিকদের কাছে একটি বিষয় চাওয়ার দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা যখন কোনো বিষয় নিয়ে লিখেন বা বলেন, আমি চাই এসব ছোট ছোট বিষয়গুলো, যা খেলার মোমেন্টাম বদলে দেয়, তা গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরবেন। এতে করে ওরা আত্মবিশ্বাস পায়। কারণ আপনাদের লেখা বা বলা ওরা পড়ে ও শুনে। তাই এই কাজটি আপনারা করতে পারেন।’
এমপি/এসজি