আয়ারল্যান্ডের কাছে হারে শুরু করেছিল বাংলাদেশ!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের পথ চলা সুখকর ছিল না। শুরু করেছিল হার দিয়ে। সময়টা ছিল ২০০৭ সালের উইন্ডিজ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। আসরের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। এই জয়ের সুফল বাংলাদেশ পেয়েছিল সুপার সিক্সে উঠে। বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছিল ভারতের।
সুপার সিক্সে উঠেও বাংলাদেশ চমক দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬৭ রান হারিয়ে। এই জয় বাংলাদেশ আবার পেয়েছিল প্রথম দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের কাছে বাজেভাবে হারের পর। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১০ ও নিউ জিল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ।
সুপার সিক্সে বাংলাদেশের অপর তিন প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও উইন্ডিজ। গ্রুপ পর্বে ভারত ও সুপার সিক্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর বাংলাদেশকে নিয়ে আশা বেড়ে যায়। আরও একাধিক জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু হয় । একাধিক না হলেও অন্তত একটি জয় সবার কাছে প্রত্যাশিত ছিল। আর এই জয়ের প্রত্যাশা ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। কিন্তু সে আশা গুড়েবালি হয় টাইগারদের।
ইংল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে ও উইন্ডিজের কাছে ৯৯ রানে হারলেও আয়ারল্যান্ডের কাছে ৭৪ রানে হার ছিল অপ্রত্যাশিত। এটি ছিল দুই দেশের প্রথম দেখা। বার্বাডোসের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে নেমে টস জিতে আইরিশরা ৭ উইকেটে ২৪৩ রান করেছিল।
ওপেনার পোর্টারফিল্ডের ৮৫, কেভিন ও’ব্রেইনের ৪৮ অধিনায়ক ট্রেন্ট জনসটনের ৩০ রানের সুবাদে আইরিশরা নিজেদের ভাণ্ডার গড়ে তুলেছিল। মাশরাফি ১০ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২ উইকেট। সাকিব নিয়েছিলেন ১ উইকেট ৪৪ রানে। আইরিশদের ইনিংসে ৪ জন ব্যাটসম্যান রান আউট হয়েছিলেন।
প্রতিপক্ষ বিবেচনায় ২৪৩ রান খুব বড় টার্গেট নয়। আবার যেখানে আছে একই আসরে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারানোর অভিজ্ঞতা, সেখানে আইরশিদের বিপক্ষে এই রান তাড়া করে জেতা বাংলাদেশের জন্য খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত সেই কঠিনের ফাঁদেই পড়ে।
ব্যাট হাতে ব্যাটসম্যানরা পড়েন ব্যর্থতার চোরাবালিতে। দলীয় ৫০ রানের আগেই একে একে ফিরে যান শাহরিয়ার নাফিস ৭, আফতাব আহমেদ ১২ ও সাকিব আল হাসান ৩ রানে। পরে মোহাম্মদ আশরাফুল ৩৯, অধিনায়ক হাবিবুল বাশার ৩২, তামিম ইকবাল ২৯ রান করলে বাংলাদেশ ৪১.২ ওভারে ১৬৯ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছিল। আয়ারল্যান্ডের কাইল ম্যাকালান ২৫, লংফোর্ড স্মিথ ২৭ কনসটন ৪০ ও রেনকিন ৪২ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
শুরুটা হার দিয়ে হলেও এরপর পরবর্তী সাক্ষাতে বাংলাদেশ নিজেদের মতো করে ফিরে আসে। এবারের সিরিজের আগে ১০ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৭টিতে। প্রথম ম্যাচ ছাড়া পরে হেরেছে আর ১টিতে। অপর ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল।
এমপি/এসএন