বাংলাদেশের ‘ব্র্যান্ড’ ক্রিকেটে খেলা দেখে খুশি হাবিবুল বাশার
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট রহস্যের নাম। ২০০৫ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ খেলা শুরু করে ২০০৬ সালে। প্রথম দুইটি ম্যাচেই জয়ী ছিল। প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। যাদের শুরুটা এমন ছিল, পরে তারা খেই হারিয়ে ফেলে। এমনই খেই হারিয়ে ফেলে যে তাদের খেলা দেখে মনে হয়েছে টি-টোয়েন্টি খেলাই ভুলে গেছে। ২২ হজে খাচ্ছে হাবুডুবু। খেলা দেখা মনে হবে দুগ্ধশিশু।
জয় আসে মাঝে মাঝে। হারের তালিকায় ছিল হংকং, স্কটল্যান্ডের মতো দলও। ঘরের মাঠে নিজের সুবিধামত পিচ বানিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডকে হারালেও তা নিয়ে খুব একটা বাহবা বা উচ্চবাচ্য ছিল না। সেই বাংলাদেশ হঠাৎ করে বদলে গেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পেয়ে করেছে ধরাশায়ী। জিতে নিয়েছে প্রথমবারে মতো সিরিজ। এখন সামনে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচই বাংলাদেশ জিতেছে দাপট দেখিয়ে ৬ ও ৪ উইকেটে। বলা যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা মোটেই সুবিধা করতে পারেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছিল। আগের পাওয়া সবগুলো জয় থেকে এই দুইটি জয়কে আলাদা করে দেখছেন সবাই। এই দেখার কারণ বাংলাদেশ দলের কাছে যে রকম খেলা সবাই চেয়েছিলেন, সেই রকম খেলা সাকিবরা খেলতে পেরেছেন। বলা যায় বাংলাদেশ দীর্ঘপ্রতীক্ষার পর খেলতে পেরেছে নিজেদের ‘ব্র্যান্ড’র ক্রিকেট। নিজেদের ব্রান্ডের ক্রিকেট খেলতে পারাতে খুব্ই খুশি নির্বাচক কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশার।
মিরপুরে আজ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবশ্যই ((সিরিজ জেতায়) খুব ভালো লেগেছে। কয়েকটা কারণ অবশ্যই ছিল। আমরা যেই ব্র্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলাম, তা আমরা এই সিরিজে কিছুটা হলেও খেলতে পেরেছি। এ রকম খেলতে আমার অনেক দিন ধরেই চিন্তাভাবনা করছিলাম।, চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সবসময় হচ্ছিল না।
এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া জয় নিয়ে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘বিশ্বকাপের (২০২১) আগে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা যে উইকেটে খেলেছিলাম, সেটা একটু ভিন্ন ছিল। কিন্তু এবারের উইকেট সে রকম ছিল না। বল অতটা স্পিন করছে বলে মনে হয় না। কিছুটা মন্থর থাকতে পারে। আমরা মনে হয় না, খুব বেশি কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে ম্যাচ দুইটি জিতেছি। এজন্য আরও বেশি ভালো লাগছে। একটু স্পেশাল মনে হয়েছে আমার।’
এমপি/এমএমএ/