মোহামেডানের হয়ে খেলার আশাবাদ সাকিবের
যে দলে সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-মিরাজ-সৌম্যর মতো ক্রিকেটাররা থাকেন, সেই দলের শিরোপা জিততে না পারাটা অবাক করার মতোই। শিরোপা জিততে না পারলেও লড়াইয়ে শামিল থাকে ভালোভাবেই। অথচ অবাক করার মতো বিষয় ছিল সেই দল এসবতো দূরের কথা, শিরোপা লড়াইয়ের প্রথম ধাপ সুপার লিগেই উঠতে পারেনি। ১২ দলের লিগে ৬ দল খেলে থাকে সুপার লিগে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডানের সুপার লিগে খেলতে না পারার কারণ ছিল জাতীয় দলের নামি-দামী তারকা ক্রিকেটারদের মাঝে সাকিব-মুশফিক-মিরাজের মোহামেডানের হয়ে একটি ম্যাচও খেলতে না পারা। এসব ক্রিকেটারের এই শূন্যতা মোহামেডান তাদের অবশিষ্ট ক্রিকেটার দিয়ে পূরণ করতে পারেনি। তাই তাদের এরকম পরিণতি বরণ করে নিতে হয়েছিল।
গত মৌসুমে তারা মোহামেডানের হয়ে কোনো ম্যাচ না খেলায় সুপার লিগে তারা অন্য দলের হয়ে খেলেন। সাকিব লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে, মুশফিক-মিরাজ খেলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে।
এবারও মোহামেডান বলা যায় গতবারের দলটিই ধরে রেখেছে। সাকিব-মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যদের ধরে রেখে নতুন করে যাদেরকে নিয়েছে তাদের মাঝে অন্যতম হলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবার মোহামেডানকে চ্যাম্পিয়ন করানোর। একই রকম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাকিব আল হাসানও। তিনি বলেন, ‘আশা করি এবার আমরা একটা দল হয়ে খেলতে পারব। ওরকম একটা ফল আনতে পারব যেটা মোহামেডান অনেক দিন ধরে চাচ্ছে।’
তবে সাকিবকে পাওয়া নিয়েই আছে যত সংশয়। তার খেলা নিয়ে সংশয়ের কারণ একাধিক। বেশি ব্যস্ততা জাতীয় দলকে নিয়ে। এরপর আছে আইপিএল। ১৪ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষ হওয়ার পরদিন শুরু হবে ডিপিএল। এরপর ১৮ মার্চ শুরু হবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। এই সিরিজ ৮ এপ্রিল শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ যাবে একই দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড। এরপর জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে এসে ডিপিএলে খেলতে পারলেও সাকিব পারবেন না। কারণ তখন তিনি চলে যাবেন আইপিএল খেলতে। তারপরও সাকিব মোহামেডানের কর্তা ও সমর্থকদের আশ্বাস দিয়েছেন খেলার।
তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা আছে সবগুলো খেলার। জাতীয় দলের কমিটমেন্ট আছে। আইপিএলের কমিটমেন্ট একটা আছে। এর মাঝে মাঝে চেষ্টা করব যতটা সম্ভব টিমের সঙ্গে থাকার এবং ম্যাচগুলো খেলার।’
শনিবার (১১ মার্চ) জাতীয় দলের টিম হোটেলে মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির কর্তারা তাদের ক্লাবের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোহামেডান ক্লাবের পরিচালক মাহবুব আনাম, সিদ্দিকুর রহমানসহ আরও অনেকে। বৈঠক শেষে মাহবুব আনাম ও সিদ্দিকুর রহমান সাকিব ও ইমরুলকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হন। তখন এসব কথা বলেন সাকিব।
গতবার মোহামেডানের হয়ে সাকিব নিজেসহ মুশফিক ও মিরাজ কোনো ম্যাচ খেলতে না পারার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন জাতীয় দলের প্রতি ‘কমিটমেন্ট’। সাকিব বলেন, ‘মোহামেডান সুপার লিগে যেতে পারেনি। কারণ আমরা অনেক খেলোয়াড় ছিলাম যারা খেলতে পারিনি। সার্ভিসটা দিতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবে জাতীয় দলের কমিটমেন্টের কারণে আমরা দিতে পারিনি।’
এমপি/এসজি