বাটলারকে আউট করার ভাবনা জানালেন হাসান মাহমুদ
হঠাৎ করে আলোচনায় পেসার হাসান মাহমুদ। এমন নয় যে তিনি বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য ‘ঘাতক’ হয়ে উঠেছিলেন। কিংবা করেছেন ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। তারপরও হাসান মাহমুদ আলোচনা।
তার এই আলোচানায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যেখানে ডেথ ওভারে এসে তিনি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের টুটি চেপে ধরেছিলেন। শেষ ৫ ওভারের ২ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছিলেন মাত্র ১ ও ৪ করে ৫ রান। যে কারণে খুবই ভালো অবস্থানে থাকার পরও ইংল্যান্ড শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৩০ রান সংগ্রহ করে। উইকেট হারিয়েছিল ৪টি। যার ২টিই ছিল আবার হাসান মাহমুদের।
ম্যাচের প্রথম ১০,এমন কি ১৫ ওভারের সঙ্গে মেলালে ইংল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহের কিন্তু কোনো মিল খেঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ ১০ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ৮০। ১৫ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১২৬।
প্রথম ১০ ওভার বিবেচনা করলে ইংল্যান্ডের রান ২০০ অতিক্রম করার কথা। ১৫ ওভার বিবেচনা করলে ১৭০ রানের বেশি। কিন্তু হাসান মাহমুদের কারণেই তা আর সম্ভব হয়নি। ইংল্যান্ডের ইনিংসের মতই হাসান মাহমুদের বোলিংয়র শুরুর সঙ্গে আবার তা মেলানো যায় না। কারণ প্রথম ২ ওভারে তিনি রান দিয়েছিলেন ১৯।
প্রথম ওভারে ৪ রান দেয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে রান দিয়েছিলেন ১৭। যেখানে শেষ ২ বল ছিল আবার ছক্কা। তাক এই ছক্কা দুইটি মেরেছিলেণ আবার জস বাটলার। পরে আবার এই জস বাটলারকে তিনি আউট করে তার প্রতিশোধ নেন। এরপর তার ফিরে আসা।
হাসার মাহমুদ আক্রমণে এসেছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের দুরন্তপনার সময়। যখন বাটলারের ব্যাটে রানের ফুলকি ছুটছে। প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়ে কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন হাসান। পরের ওভারে আবার তালোগল পাকিয়ে ফেলেন। দিতে হয় সেই ১৭ রান। এরপর আবার তাকে আক্রমনে নিয়ে আসা হয় ১৭ নম্বার ওভারে।শেষ ওভারের কথা চিন্তা করলেও কিংবা শেষ ২ বলের কথা মাথায় আনলে হাসানের মনোবল দুর্বল থাকারই কথা। কারণ, উইকেটে তখনো সেই বাটলারই। কিন্তু এবার আর তাকে কোনোরকম সুযোগই দেননি হাসান মাহমুদ। প্রথম বলেই বাজিয়ে দেন মৃত্যুর ঘণ্টা। ইতি ঘটে বাটলারের ইনিংসে। সঙ্গে যেন লেখা হয়ে যায় ইংল্যান্ডের হার।
কীভাবে সম্ভব হলো বাটলারকে আটকানো। আবার ফিরে আসার পর মনে মনে কী ভাবনা ছিল হাসান মাহমুদের। সংবাদ সম্মেলনে এসেছিল এ প্রশ্ন। জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই সময় ও (বাটলার) যে আমাকে পরপর ২টা ছক্কা মারছে, আমি ছয়ের দিকে তাকাইনি। আমি দেখিনি ও কী করতেছিল। আমি ভাবতেছিলাম আমি কী করব। শেষ দুই ওভারে আমার চ্যালেঞ্জ ছিল এনিহাউ আমাকে এটি ডিফেন্ড করতে হবে। আমি সেটা করার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার চিন্তা থাকে বল বাই বল করা। একটা বল খারাপ হলেও পরের বলে ফোকাসটা রাখি, আমার শক্তির জায়গায় থাকি। ওই সময়টায় নিজের ক্যারেক্টারটা দেখাতে পছন্দ করে।’
ডেথ ওভারে বোলিং করা নিয়ে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানরা সব বল মারতে চায়। তাই লক্ষ্য থাকে ডট বল করার। অবশ্যই যেই বলে ডট পাওয়া যাবে সেই বলটাই করার চেষ্টা করি। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি, ডেথ ওভারে বল করাটা ভীষণ উপভোগ করি।’
এমপি/এমএমএ/