খাজার পর গ্রিনের সেঞ্চুরি, রানপাহাড়ে অস্ট্রেলিয়া
প্রথম দিনে সেঞ্চুরি হাঁকান উসমান খাজা। দ্বিতীয় দিনে ক্যামেরন গ্রিন। দুই জনের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ভারতের বিপক্ষে রানপাহাড়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। পেয়েছে ৪৮০ রানের সংগ্রহ। চলমান বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে এটাই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ কোনো দলের। শুক্রবার সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়াকে থামানোর নেপথ্যে ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এদিন আরও ৫ উইকেট শিকার করেন ভারতীয় স্পিনার, সবমিলে ৬টি। তার ঘূর্ণিজাদুর পর বিনা উইকেটে ৩৬ রানের সংগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ভারত।
আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারতীয় বোলারদের ভুগিয়েছেন খাজা ও গ্রিন। দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় স্বাগতিকদের। খাজা প্রথম দিনেই শতকের কোটা স্পর্শ করেন। গ্রিন অপরাজিত ছিলেন ৪৯ রানে। দ্বিতীয় দিনে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার। অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি খাজার। তবে এই যুগলের অবিশ্বাস্য প্রতিরোধে আহমেদাবাদে শক্ত অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া। খাজা ও গ্রিনের ব্যাটে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন কোনো বিপদ ছাড়াই পার করে দেয় সফরকারীরা। তবে দ্বিতীয় সেশনে পথ হারান তারা। তাদের ২০৮ রানের জুটি ভাঙেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
দলীয় ৩৭৮ এবং ব্যক্তিগত ১১৪ রানে ভারতীয় স্পিনারের শিকার বনেন গ্রিন। ক্যারিয়ারের ২০তম টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। এর আগে ক্রিকেটের লংর্গার ভার্সনে ৬ বার হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আউট হন তিনি। আহমেদাবাদে তার ১৭০ বলের ইনিংসে ছিল ১৮টি চারের মার। গ্রিনকে আউট করার ওভারেই অস্ট্রেলিয়ার আরেক উইকেটের পতন ঘটান অশ্বিন। কিপার-ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারিকে রানের খাতা খুলতে দেননি তিনি। অশ্বিনের ঘূর্ণি জাদুর শেষ নয় এখানেই। এদিন অস্ট্রেলিয়ান পতন হওয়ার ৬ উইকেটে পাঁচটি শিকার করেন ভারতীয় এই স্পিনার।
খাজার গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নেন আরেক স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ১৮০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস উপহার দেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। খাজার ৪২২ বলের ইনিংসে ছিল না কোনো ছক্কার মার, চার মারেন ২১টি। তিনি আউট হওয়ার পূর্বে অস্ট্রেলিয়ার আরেক উইকেটের পতন ঘটে অশ্বিনের ঘূর্ণিতে। মিশেল স্টার্ককে শ্রেয়াস আইয়ারের ক্যাচ বানান তিনি।
অশ্বিনের স্পিনেই ৪৮০ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। ৩৪ রান করা নাথান লায়নকে শিকার করে পাঁচ উইকেটের কোটা পূর্ণ করেন তিনি। এরপর টড মার্ফিকে (৪১) এলবির ফাঁদে ফেলেন ৩৬ বছর বয়সি এই স্পিনার। এরপর শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে পথ হারাননি রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল। দুজনে অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ১৭ ও ১৮ রানে।
এএজেড