‘টি-টোয়েন্টিতে সবাই রান করা পছন্দ করেন’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলার প্রচলনই করা হয়েছে বাণিজ্যের জন্য। এই বাণিজ্যের মূল সূত্রই হলো রান। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে বোলারদের উইকেট পাওয়ার চেয়ে ব্যাটারদের চার-ছক্কায় বেশি দেখতে আগ্রহী হন দর্শক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাই।
তাই বোলারদের দাপটে একটি দলের ১২০-১৩০ রানের চেয়ে ব্যাটারদের দাপটে ১৮০-১৯০ কিংবা ২০০ রানই সবার কাম্য। নতুন করে শুরু করা বাংলাদেশ দলের পুরোনো কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও এই ফরম্যাটে তার যাত্রা পথে শুনিয়েছেন সে রকমই আগ্রহের কথা, দর্শকরা রান করা দেখতে পছন্দ করে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পর সমান ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে চট্টগ্রামে, আগামীকাল ৯ মার্চ থেকে। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কোচ বলেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিনোদন। সবাই রান করা দেখতে পছন্দ করে। বিনোদন পেতে হলে রান করতে হবে। তাই নয় কি? রান করা দেখার জন্য দর্শকরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দেখতে মাঠে এসে থাকে। বোলাররা ভালো করার কারণে ব্যাটাররা যদি রান করতে না পারেন, সেটি ভিন্ন বিষয়। তারপরও আমি মনে করি দর্শকরা রান করা দেখতেই পছন্দ করেন বেশি। সবাই চান ম্যাচ যাতে ২০ ওভার পর্যন্ত যায়। এতে করে সবারই লাভ হয়। দর্শকরা আনন্দ পেয়ে থাকেন। স্পন্সররাও লাভবান হয়ে থাকে। টেলিভিশনে দর্শকরাও আকৃষ্ট হয়ে থাকে বেশি। তাই আমিও চাই সেটি হোক।
কিন্তু আগামীকাল এই রান করার ক্ষেত্রে দুই দলই হোঁচট খেতে পারে। কারণ খেলা হবে শেষ ওয়ানডে ম্যাচ যে উইকেটে হয়েছিল, সেই উইকেটেই। প্রথম ওয়ানডের উইকেট ছিল মন্থর। দুই দলই অলআউট হয়েছিল। বাংলাদেশ ৪৮.৫ ওভারে ২৪৬ ও ইংল্যান্ড ৪৩.১ ওভারে ১৯৬ রান করে অলআউট হয়েছিল। ৪৮ ঘণ্টার মাঝে আবার খেলা হওয়ায় উইকেটে রানের দেখা পাওয়া যাবে আরও কম। কারণ উইকেট মন্থর ছিল। বল নিচু হয়ে এসেছিল। যে কারণে ব্যাটাররা সহজে রান করতে পারেননি। তাই চন্ডিকা বলেন, এই উইকেটে দুই দিন আগে ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছে। কাজেই দুই দিনেই কোনো কিছু বদলানো যাবে না। যতটুকু মনে হচ্ছে উইকেটের চরিত্র একই রকম হবে!
হাথুরুসিংহে আসার পর ওয়ানডে দল নিয়ে কাজ শুরু করেন। টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে কাজ শুরু করেছেন আজ থেকে। শেষ ওয়ানডের পর মঙ্গলবার ক্রিকেটাররা বিশ্রামে ছিলেন। টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে কী রকম প্রত্যাশা হাথুরুসিংহের? জবাবে তিনি বলেন, আজই প্রথম দেখলাম টি-টোয়েন্টি দলকে। আগামী বিশ্বকাপকে (২০২৪ সালের বিশ্বকাপ) সামনে রেখে মাত্রই আমাদের পথ চলা শুরু হলো। যেতে হবে বহুদূর। আমি এখন পর্যবেক্ষণ করব। কোথায় আমাদের ঘাটতি আছে। কোথায় উন্নতি করতে হবে। নিজেদের শক্তির জায়গা কোথায়। আমাদের পরিকল্পনা কী হতে পারে।
এমপি/এসজি