মধ্যাঞ্চলকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চল
তৃতীয় দিন শেষেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বিসিএলে দক্ষিণাঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার। দক্ষিণাঞ্চল ৫ উইকেটে ৫০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করার পর মধ্যাঞ্চল তৃতীয় দিনেই ফলোঅনে পড়ে। আবার একই দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট।
এক দিনেই তারা দুই ইনিংস মিলে হারিয়েছিল ১৩ উইকেট। চতুর্থ দিন তাই তাদের হার দেখার অপেক্ষা ছিল। সেই হারটা আসছে কীভাবে। ইনিংস ব্যবধানে, না দক্ষিণাঞ্চলকে আবার ব্যাট করতে পাঠিয়ে। সেখানে তারা ২৩৭ রানে অলআউট হয়ে হার মানে ইনিংস ও ৩৩ রানে। প্রথম ইনিংসে তারা করেছিল ২৩০ রান। ১০ আসরের মাঝে দক্ষিণাঞ্চলের এটি ছিল ষষ্ঠ শিরোপা। এর আগে তারা শিরোপা জিতেছিল ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০মৌসুমে।
মধ্যাঞ্চলের হার আরও বড় হতে পারত যদি আবু হায়দার রনি ও শরিফউল্লাহ অষ্টম উইকেট জুটিতে ১২১ রান যোগ করতে না পারতেন। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুন ও জাকের আলী আজ খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। ৩ উইকেটে ৬৬ রান নিয়ে খেলতে নেমে ভাঙন আসে দলীয় ৭৭ রানে। এই একই রানে প্রথমে জাকের আলী ২৩ ও মোহাম্মদ মিঠুন ৪৯ রান করে বিদায় নেন। এরপর তাদের ইনিংসে ভয়াবহ ধস নামে। শতরানের আগেই ৯০ রানে হারায় ৭ উইকেট।
৩ উইকেটে ৭৭ রান থেকে দলের সংগ্রহ পরিণত হয় ৭ উইকেটে ৯০। মাত্র ১৩ রানে নেই ৪ উইকেট। এরকম অবস্থায় শরিফউল্লাহ ও আবু হায়দার রনি স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কেটে দলের হারকে সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রামে শামিল হন। সেখানে তারা সফলও হন জুটিতে ৩৪.৪ ওভারে ১২১ রান যোগ করে। দুইজনেই আউট হন হাফ সেঞ্চুরি করে। শরিফউল্লাহ ১১৪ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৬৩ রান করে এবং আবু হায়দার ১২৭ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৭৭ রান করে খালেদের শিকার হন শেষ ব্যাটার হিসেবে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আবু হায়দার রনির এটি ছিল ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। আর চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি।
রনিকে আউট করে খালেদ ৫ উইকেট নেন। এটি ছিল তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পঞ্চমবার ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া। এই দুইজন ছাড়াও ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মোহাম্মদ মিঠুনও ছিলেন তার শিকার। খালেদের অপর দুই শিকার ছিলেন আব্দুল মজিদ ও আরিফুল হক। খালেদ ৭৪ রানে নেন ৫ উইকেট। নাজমুল ইসলাম অপু ৪৮ রানে নেন ৩ উইকেট। মঈন খান ২ উইকেট নিতে খরচ করেন ৪৫ রান।
২৪৬ রানের ইনিংস খেলে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের সাদমান ইসলাম। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মধ্যাঞ্চলের জাকের আলী।
এমপি/এসজি