বাংলাদেশের সঙ্গে কম ম্যাচ খেলাতে অবাক ইসিবি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে ২০০০ সালে। কিন্তু এটি পেতে পারত আগের বছর। না পাওয়ার কারণ ছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন না করা। এই দুই দেশের সমর্থন নিয়ে পরের বছর বাংলাদেশ পায় ক্রিকেটের বনেধি পরিবারের সদস্য পদ।
টেস্টের সদস্য পদ পেতে বাংলাদেশ যেমন এই দুইটি দেশের বিরোধিতার মুখে পড়েছে তেমনি টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পরও তাদের অসহযোগিতা বিদ্যমান। দুটি দেশই যেমন বাংলাদেশে এসে আতিথিয়েতা নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী হয় না তেমনি আতিথিয়েতা দিতেও। শাক দিয়ে মাছ ডাকার মতো দুইটি দেশ বাংলাদেশে খেলতে আসে আবার বাংলাদেশকে নিয়ে যায় নিজেদের দেশে।
টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৩ বছরের পথ পরিক্রমায় অস্ট্রেলিয়া একবার মাত্র বাংলাদেশকে টেস্ট খেলার আতিথিয়েতা দিয়েছে। খেলতে এসেছে দুইবার। অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য কিছুটা উদার। তারা তিনবার বাংলাদেশে খেলতে এসে দুইবার দিয়েছে আতিথিয়েতা। দুইবারই বাংলাদেশ ক্রিকেটের মক্কা বলে পরিচিত লর্ডসে টেস্ট খেলেছে।
এই যে দুইটি দেশ বাংলাদেশকে আতিথিয়েতা দেওয়ার ক্ষেত্রে নাক উঁচু মনোভাব দেখায় সেখানে যেন আইসিসির কোনও কিছু কিরণীয় থাকে না। আসলে আইসিসি নিধিরাম সর্দার। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি দেখে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে বোর্ডের কর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশি বেশি ম্যাচ খেলার আগ্রহ দেখিয়েছেন ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রিচার্ড থমসন।
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের ওয়ানডে ম্যাচ দেখতে ইসিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের সিইও রিচার্ড গাউল্ডও এসেছেন। মিরপুরে বসে দেখেছেন প্রথম দুইটি ওয়ানডে ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে মাত্র ২০৯ রান করেও বাংলাদেশের লড়াকু খেলা ইসিবি চেয়ারম্যানকে মুগ্ধ করেছে। এই মুগ্ধতায় তার কন্ঠ থেকে বের হয়ে এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশি বেশি ম্যাচ খেলার আগ্রহ। তার এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুণ হাসান পাপন।
সোমবার চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ৫০ রানে জয় পাওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ ইসিবি সভাপতি বাংলাদেশে খেলার পরিবেশ, আয়োজন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ লড়াই করছে দেখে সে জানিয়েছে কেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের আরও বেশি খেলা হচ্ছে না তা সে বুঝতে পারছে না।’
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘তিনি নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। আমাকে বলেছেন এবার গিয়ে তিনি এ বিষয়টির উপর নজর দেবেন। আমাদের সঙ্গে কো-অপারেশন আরও কিভাবে বাড়ানো যায় তা তিনি দেখবেন। ‘এ’ টিম থেকে শুরু করে অনুর্ধ্ব-১৯ টিম, কোচিংয়ের ব্যাপার এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম করবে।’
এমপি/এসআইএইচ