‘হাফ সেঞ্চুরি নয়, সেঞ্চুরি করতে হবে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের’
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে খেলতে নেমে বাংলাদেশ দল প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে সেই স্বপ্নের কবর দেয়। শেষ ম্যাচ জিতে ব্যবধান কমিয়ে আনতে পেরেছে। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ যেমন ব্যাটিং ব্যর্থতার জালে আটকা পড়েছিল, তেমনি শেষ ম্যাচেও। মোদ্দাকথা সব কটি ম্যচেই বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ২০৯, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯৪ ও শেষ ম্যাচে ২৪৬ রানে। কোনও ম্যাচেই ৫০ ওভার খেলতে পারেনি।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতাই বাংলাদেশের এই ভরাডুবির কারণ এই ব্যর্থতার মাঝেও সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে দুইটি হাফ সেঞ্চুরি। এক এসেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে। নেই কোনও সেঞ্চুরি। অথচ সিরিজে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদেরে আছে দুই দুইটি সেঞ্চুরি। দুইটি সেঞ্চুরিই তাদের ম্যাচ জেতাতে রেখেছে বড় ভুমিকা। শেষ ম্যচে ব্যাট হাতে ৭৫ ও বল হাতে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হওয়া সাকিব আল হাসান মনে করেন তাদের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা হাফ সেঞ্চুরি করেই আউট হয়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছে সেঞ্চুরি প্রত্যাশা করেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে তিনি বলেন, ‘টপ অর্ডারে আমাদের যারা ব্যাটিং করে থাকেন, তাদের কাছে প্রত্যাশা থাকে সেঞ্চুরি করার। কিন্তু ফিফটি করেই তারা আউট হয়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছে ফিফটি প্রত্যাশা নয়, সেঞ্চুরি প্রত্যাশা। এখানে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’
সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচ জিততে পারাতে নিজেদের অর্জন বলে মনে করছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘ঘরের মাঠে আমরা গত ৫-৭ বছর খুব ভলো খেলেছি। দূর্ভাগ্যজনক আমরা এই সিরিজ হেরে গেছি। হারলেও শেষ ম্যাচ আমরা যেভাব জিতেছি তার জন্য আমরা কৃতিত্ব পেতেই পারি। আমরা এই সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে’ হেরেও যেতে পারতাম। সবার মানমানসিকতা ছিল প্রশংসনীয়।’
ম্যাচটা হেরে গেলে বিষয়টা হয়তো সামনে চলে আসত ২০/৩০ রান কম হওয়ার বিষয়টি। জেতার পরও সাকিব বিষয়টি সামনে টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ২০/৩০ রান কম হয়েছিল। কিন্তু বোলাররা নিজেদের মেল ধরে নিজেদের কাজটা সঠিকভাবে করতে পারাতে আমাদের জয় সম্ভব হয়েছে।’
এমপি/এএস