ইংল্যান্ড ‘বধ’ মিশনে সাকিবের ৩০০
বাংলাদেশের জন্য মাইলস্টোনের ম্যাচ ছিল শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। ম্যাচটি ছিল মিরপুরের ২০০তম ম্যাচ। এমন একটি ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল খুবই বাজেভাবে। সেই সঙ্গে হাতছাড়া হয় সিরিজও। সব হারিয়ে নিয়মরক্ষার সিরিজের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামে এসে ধরা দেয় সব সাফল্য। বাংলাদেশ জয় পায় পাক্কা ৫০ রানে। ম্যাচে আবার সাকিব আল হাসান বিশ্বের ১৩তম বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। সঙ্গে বোনাস হিসেবে ছিল ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
৩০০ উইকেট থেকে সাকিব ৪ উইকেট দূরে ছিলেন। অভিষিক্ত রেহান আহমেদকে আউট করে সাকিব তার ৩০০তম শিকার পূর্ণ করেন। রেহান হয়তো নিজেও খুশি হবেন সাকিবের এমন অর্জনে নিজেকে জড়িত রাখতে পেরে।
সাকিব এই অর্জন স্পর্শ করতে ম্যাচ খেলেছেন ২২৭টি। এই ম্যাচ খেলার দিক দিয়ে তিনি আবার আরেকটি অর্জন ছুঁয়েছেন। তা হলো ৩০০ উইকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হওয়া। সাকিবের আগে এই অর্জনে আছেন লঙ্কান গ্রেট মুত্তিয়া মুরালিধরন। তিনি ৩০০ উইকেট নিতে ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২টি। মুরালিধরনের উইকেট ৩৫০ ম্যাচে ৫৩৪টি।
সাকিবের সামনে যেসব বোলার আছেন তাদের সবাই ক্রিকেটে ‘ইতি’ টেনেছেন। ১২ জনের সবাইকে অতিক্রম করা সম্ভব হবে না সাকিবের পক্ষে। কিন্তু কয়েকজন আছেন তার হাতছোঁয়া দূরত্বে। একেবারে কাছেই আছেন ৩০৫ উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। ভারতের জাবাগাল শ্রীনাথের উইকেট ৩১৫টি। শ্রীনাথকে সম্ভব না হলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজে ভেট্টোরিকে টপকে যাওয়া সম্ভব সাকিবের।
এ ছাড়া এ বছরই শ্রীনাথের পাশাপাশি সনাথ জয়সুরিয়ার ৩২৩ উইকেটও টপকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে সাকিবের। কারণ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর পাল্টা সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ যাবে ইংল্যান্ডে। এরপর আছে এশিয়া কাপ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ। তারপর বিশ্বকাপ ক্রিকেট। উইকেট পাওয়া অব্যাহত থাকলে এদেরকে অতিক্রম করে একসময় অনিল কুম্বলের ৩৩৭, মালিঙ্গার ৩৩৮ উইকেট অতিক্রম করা সময়ের ব্যাপার শুধু সাকিবের।
তবে ব্রেট লির ৩৮০, ম্যাকগ্রার ৩৮১, শন পোলকের ৩৯৩, শহীদ আফ্রিদির ৩৯৫, চামিন্দা ভাসের ৪০০, ওয়াকার ইউনুসের ৪১৬ উইকেট টপকে যেতে সাকিবকে অবশ্য বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু ওয়াসিম আকরামের ৫০২ কিংবা মুরালিধরনের ৫৩৪ উইকেট হয়তো সাকিবের টপকানো সম্ভব হবে না।
এমপি/এসজি