১২ ইনিংস পর মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি
রব উঠা শুরু হয়ে গিয়েছিল মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে। তার ব্যাটে রান নেই। সেই মুশফিকের ব্যাট পেয়েছে রানের দেখা। ১২ ইনিংস পর চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তিনি খেলেছেন ৭০ রানের ইনিংস। এটি ছিল তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৩তম হাফ সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের ক্রিকেট এ পর্যায়ে আসার পেছনে যে কজন ক্রিকেটারের রয়েছে বিশেষ অবদান, মুশফিক তাদের অন্যতম একজন। পঞ্চপাণ্ডবের এক পাণ্ডবও তিনি।
রান করতে না পারার কারণে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছিলেন আসা-যাওয়ার মাঝে। টানা ব্যর্থতায় একপর্যায়ে সরে দাঁড়ান এই ফরম্যাট থেকে। বাদ পড়ার আগে তার ইনিংসগুলো ছিল ৪, ১,৩০,১,০,৮, ২৯। এই ৭ ইনিংসে আগে তিনি করেছিলেন অপরাজিত ৫৭ রান। ২০২১ সালে শারজাহতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে সেই ম্যাচের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা।
এটা গেল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। টেস্ট ক্রিকেটে ২০২২ সালের মে-তে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস খেলার পর আর কোনো হাফ সেঞ্চুরি নেই। একে একে খেলেছিলেন ৫টি ইনিংস। রান করেছিলেন যথাক্রমে ২৩, ২৮, ২৩, ২৬ ও ৯।
ওয়ানডে ক্রিকেটেও তার অবস্থা ছিল বেশ মলিন। ২০২২ সালের ৫ আগস্ট হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস খেলার পর পরের ৭টি ইনিংস ছিল ২৫, ০, ১৮, ১২, ৭, ১৬ ও ১২। এরপর আজ পেলেন আবার হাফ সেঞ্চুরির দেখা। সব মিলিয়ে ১২ ইনিংস পর।
মুশফিকের আজকের হাফ সেঞ্চুরি ছিল দলের ক্রান্তিকালে। ১৭ রানে দুই ওপেনার লিটন দাস (০) ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল (১১) ফিরে যাওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২১.৩ ওভারে যোগ করেন ৯৮ রান। তার ৪৩তম হাফ সেঞ্চুরি এসেছে ৬৯ বলে ৪টি বাউন্ডারিতে।
সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত হাফ সেঞ্চুরি করার পরপরই আউট হয়ে গেলেও মুশফিক এগোচ্ছিলেন আরও সামনের দিকে। কিন্তু ৭০ রানে গিয়ে তাকে থেমে যেতে হয় আদিল রশিদের বলে বোল্ড হয়ে। তার ৯৩ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি।
এমপি/এসজি