সাদমানের ডাবল সেঞ্চুরিতে শক্ত অবস্থানে দক্ষিণাঞ্চল
সাদমান ইসলামের ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিতে বিসিএলে চার দিনের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মজবুত অবস্থান তৈরি করেছে দক্ষিণাঞ্চল। মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে সাদমানের ২৪৬ রানের ইনিংসের সঙ্গে পরে মার্শাল আইয়ুবের অপরাজিত ১২০ রানে দক্ষিণাঞ্চল ৫ উইকেটে ৫০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে।
জবাবে মধ্যাঞ্চল ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে করেছে ৩৩ রান। আব্দুল মজিদ ১৬, সৌম্য সরকার ১৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন সোমবার (৬ মার্চ) সকালে আবার ব্যাট করতে নামবেন।
সাদমানের সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। জাতীয় দলের সাদা পোশাকের এই ওপেনার বাজে ফর্মের কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন। ঘরোয়া আসরেও খুব একটা ভালো করতে পারছিলেন না। অবশেষে রানে ফেরেন ফাইনালের আগের ম্যাচে। এই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লিগপর্বের খেলায় তিনি ১৩০ রান করেছিলেন। এবার করলেন ২৪৬ রান। তার আগের সেরা ছিল ১৮৯ রান। ২০১৮ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা মেট্রোর হয়ে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে খেলেছিলেন এই ইনিংস।
শনিবার প্রথমদিনই তিনি তিন অঙ্কের দেখা পেয়ে ১৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন। যা ছিল তার দ্বাদশ সেঞ্চুরি। আজ রবিবার সেটিকে তিনি ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি ছিল তার ৭২তম ম্যাচ। ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেতে সাদমানকে দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। বল খেলেন ৩৯৪টি। শুভাগত হোমের করা ইনিংসের ১৩৯তম ওভারের তৃতীয় বলকে কাভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে সাদমান পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত ডাবল সেঞ্চুরির দেখা।
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার সাদমান ও অধিনায়ক ফজলে মাহমুদ রাব্বি দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি। ফজলে মাহমুদ ৬ রান যোগ করেই ফিরে যান মুশফিক হাসানের বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলীর হাতে ধরা পড়ে। এরপর মার্শাল আইয়ুব এসে সাদমানের সঙ্গে জুটি বাঁধার পর দক্ষিণাঞ্চল পায় ইনিংসের সেরা জুটি। দুইজন পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২১৮ রান যোগ করেন।
মার্শাল আইয়ুবও ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরির দেখা পান ১৯৭ বলে। জুটি ভাঙে সাদমান আউট হলে। তিনি ৪৪৮ বলে খেলে ৩ ছক্কা ও ২৯ চারে ২৪৬ রান করে অকেশনাল বোলার মোহাম্মদ মিঠুনের বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলীর হাতে ধরা পড়েন। দলের রান যখন ৫ উইকেটে ঠিক ৫০০, তখনই দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষ থেকে আসে ইনিংস ঘোষণা।
এসময় মার্শল আইয়ুব ২১৪ বলে ৯ চারে ১২০ ও মঈন খান ৮ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। মধ্যাঞ্চলের হাসান মুরাদ ১৪৭ রানে নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিক হাসান ও আবু হায়দার রনি।
এমপি/এসজি