‘ইংল্যান্ডের পেস বোলিং বাংলাদেশের জন্য বড় চালেঞ্জ’
এই সময়ে তিন ফরম্যাটেই ইংল্যান্ড দুর্ধর্ষ এক দল। খেলছে আগ্রাসী ক্রিকেট। তা যেমন টেস্ট ক্রিকেটে, তেমনি রঙিন পোশাকেও। টেস্ট ক্রিকেটতো ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রঙিন পোশাকের ক্রিকেট বানিয়ে ফেলেছেন। তার শিষ্যরা খেলছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মেজাজে। এর ফলও পাচ্ছে জয় তুলে নিয়ে। যদিও আজ নিউ জিল্যান্ডের কাছে একই ধাপে খেলে টানটান উত্তেজনায় হেরেছে মাত্র ১ রানে।
নিউ জিল্যান্ড সফরে থাকার পরও ইংল্যান্ডের আরেকটি দল এসেছে বাংলাদেশে। খেলবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। শক্তিতে তারা কিছুটা দুর্বল হলেও বাংলাদেশের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। নতুন করে পুরোনো দায়িত্বে ফিরে আসা কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মনে করেন, এমন ইংল্যান্ডকে ‘বধ’ করতে হলে তাদের মতো করেই খেলতে হবে আগ্রাসী ক্রিকেটে। এই আগ্রাসী ক্রিকেট মানে হাথুরুসিংহের কাছে শুধু ব্যাটিং নয়, তিন বিভাগেই।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি যখন আগের দফায় দায়িত্বে ছিলাম, তখনো আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছি। বাংলাদেশ দল আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে না, এটা যদি আপনারা বলেন তাহলে আমি বিশ্বাস করব না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা আগ্রাসী ক্রিকেট বলতে শুধু ব্যাটারদের আগ্রাসনই দেখে থাকেন। কিন্তু আমার কাছে শুধু তাই নয়। আমার কাছে আগ্রাসী খেলা মানে তিন বিভাগেই। তা যেমন ফিল্ডিং আগ্রাসী করে সাজানোর মাধ্যমে হতে পারে, তেমনি বোলিংয়েও। আমরা এভাবেই ভালো করার চেষ্টা করব।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাফল্য পেতে হাথুরু মনে করেন তাদের পেস বোলিং বিভাগ বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, ‘তাদের পেস আক্রমণ সেরা। ৫ জন পেসারের সঙ্গে আছে ৩ জন স্পিনার। তবে তাদের পেস বোলিং মোকাবিলা করাটাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।’
ইংল্যান্ডের এবারের পাঁচ পেসার হলেন- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় স্যাম কারান, মার্ক উড, জোফরা আর্চার, সাকিব মাহমুদ এবং ক্রিস ওকস।
ইংল্যান্ড পূর্ণশক্তির দল নিয়ে না আসায় হাথুরুসিংহে বলেন, ‘এটা ঠিক, তারা পূর্ণশক্তির দল নিয়ে আসেনি। আমরা পূর্ণশক্তির দল। আমরা আমাদের স্কিল ও শক্তির উপর নির্ভর করছি। নিজেদের অবস্থান বুঝতে তাদের বিপক্ষে খেলাটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। এমন কন্ডিশনে তাদের বিপক্ষে ভালো করতে পারলে নিজেদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে।’
ইংল্যান্ডের দুইটি দল দুই জায়গায় খেলছে। হাথুরু বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে খেললে আপনাকে সব সময় ভালো করার মনমানসিকতা থাকতে হবে। কিন্তু তাদের দল হিসেব করে যদি আপনি খেলেন। সাফল্য পান, সেটিকে আর অনুপ্রেরণা বলা যাবে না। এটা ঠিক আমাদেরকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে। তাদের দুইটা দল দুই জায়গায় খেলছে। এতেই বোঝা যায় তাদের শক্তির গভীরতা কতটা বেশি।’
এমপি/এসজি