শামসুন্নাহার যেন সাবিনা
মেয়েদের জাতীয় দলের গোলমেশিন বলা হয়ে থাকে সাবিনা খাতুনকে। আসলেই যেন গোলমেশিন। বাংলাদেশ জিতবে আর সাবিনা গোল পাবেন না, এ যেন ভাবাই যায় না। প্রথমবারের মতো সাফের মুকুট জয়ে সাবিনার অবদান ছিল খুব বেশি। একেতো অধিনায়ক। আবার করে গেছেন গোলের পর গোল। এমনি গোল করতে করতে তিনি হয়ে উঠেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা। দুটি হ্যাটট্রিক করে ৮ গোল দিয়ে তিনি হন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা। একই সঙ্গে জিতে নেন আসরের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের পুরস্কারও।
জাতীয় দলের পর এবার প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-২০ মেয়েদের আসরেও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখানে সাবিনার ভূমিকায় যেন অবতীর্ণ হয়েছিলেন শামসুন্নাহার। তিনি অধিনায়ক। আবার সাবিনার মতো করে গেছেন গোল। হ্যাটট্রিকও এসেছে। আর সবকিছুর সারমর্ম আসরে ৫ গোল করে তিনিই সর্বোচ্চ গোলদাতা। একই সঙ্গে জিতে নিয়েছেন আসরের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের পুরস্কারও।
চার দলের আসরে শামসুন্নাহার লিগপর্বে ভুটানের বিপক্ষে করেন হ্যাটট্রিক।
সাফের ফাইনালে ও অনূর্ধ্ব-২০ আসরের ফাইনালে সাবিনার সঙ্গে শামসুন্নাহারের একটি জায়গায় পার্থক্য ছিল। আর যে পার্থক্যে এগিয়ে শামসুন্নাহার। সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ ৩-১ গোলে জয়ী হয়েছিল। সাবিনা কোনো গোল করতে পারেননি। কিন্তু শামসুন্নাহার করেছিলেন ২ গোল। এই আসরেও শামসুন্নাহার করেন ১ গোল।
সাবিনার সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইয়ে কেউ ছিলেন না। কিন্তু শামসুন্নাহারের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন নেপালের আমিশা কার্কি। ফাইনালের আগে দুইজনেরই গোল ছিল ৪টি করে। ফাইনালে আমিশা কোনো গোল পাননি। শামসুন্নাহার এক গোল করে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করে ফেলেন। একইসঙ্গে জিতে নেন আসরের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের পুরস্কারও।
সাফের রানি হওয়ার পর বাংলাদেশ জিতে নিয়েছি সব পুরস্কার। যেখানে তালিকায় সর্বোচ্চ গোলদাতা ও মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড়ের পুরস্কার ছাড়াও জিতেছিল সেরা গোলরক্ষক (রুপনা চাকমা) ও ফেয়ার প্লে ট্রফি। এবার শুধু ফেয়ার প্লে ট্রফি জিততে পারেনি। এটি জিতে নিয়েছে ভুটান। কিন্তু সাফের মতো এবারও সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন রুপনা চাকমা।
এমপি/এসজি