প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ

সাফের রানি হওয়ার পর এবার সাফ অনূর্ধ্ব-২০ মেয়েদের আসরেও রানি হওয়ার ঘ্রাণ পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের শেষের দিকে রিপা ও অধিনায়ক শামসুন্নাহারের গোলে বাংলাদেশ ২-০গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে। এখন দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ চাইবে এই ব্যবধান ধরে রেখে শেষ হাসি হেসে উল্লাসে মেতে উঠতে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ যেভাবে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেছে, তাতে করে দ্বিতীয়ার্ধে গোল ধরে রাখা নয়, ব্যবধান আরও বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই হয়তো খেলতে নামবে।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও সেই গোল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ৪২ মিনিট পর্যন্ত। তবে এর আগে গোল না পাওয়া ছিল ভাগ্যের বিড়ম্বনা। যেভাবে একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে খেলেছেন শামসুন্নাহাররা আর একের পর এক গোলের সহজ সুযোগ তৈরি করে কাজে লাগাতে পারেননি তা ছিল অবিশ্বাস্য।
যে গোল বাংলাদেশ ৪৩ মিনিটে পেয়েছে, সেটি পেতে পারত ২ মিনিটেই। মাহফজুার লম্বা পাস ধরে শামসুন্নাহার বল নিয়ে ভেতরে ঢোকার সময় বিপদ আঁচ করতে পেরে নেপালের গোলরক্ষক পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে আসেন। এসময় শামসুন্নাহার বল ঠেলে দেন আকলিমাক। কিন্তু আকলিমা ফাঁকা পোস্টে বল বারের অনেক উপর দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। পরের মিনিটেই কর্নার থেকে মাহফুজার হেড পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়।
১৮ মিনিটে রিপার কাছ থেকে বল পেয়ে আকলিমার মাটি কামড়ানো শট নেপালের গোলরক্ষক ধরলেও হাত ফসকে বের হয়ে যায়। সেই বল পরে নেপালের রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড় গোলরক্ষককে ব্যাক পাস দেন। এ নিয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফ্রি-কিক দাবি করেন। কিন্তু রেফারি তা কর্ণপাত করেননি। প্রকৃত নিয়ম হলো এভাবে গোলরক্ষককে ব্যাক পাস দেওয়ার নিয়ম নেই। দিলে তা ফ্রি-কিক পায় প্রতিপক্ষ।
বাংলাদেশের একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা নেপাল প্রথম সুযোগ পায় ৩৬ মিনিটে। আমিশার গড়ানো শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ৪ মিনিট পরই বাংলাদেশ আবার সুযোগ পায়। রিপার উড়ন্ত শট নেপালের গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন।
অবশেষে ৪২ মিনিটে বাংলাদেশ গোলের মুখ দেখে। স্বপ্না রাণীর কাছ থেকে বল পেয়ে আকলিমা বল ধরে এগোনোর সময় নেপালের রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড় ট্যাকেল করলেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। পরে সেই বল পেয়ে যান রিপা। তিনি কোনাকুনি শটে নিশানাভেদ করেন। বুকের ভেতর জমাট হয়ে থাকা উল্লাসের পাখাগুলো ডানা মেলে উড়তে থাকে বাংলার আকাশে। ফাইনালের গোল বলে কথা। প্রথমার্ধের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে (৪৫+১) বাংলাদেশ পেয়ে যায় দ্বিতীয় গোল। নিজেদের সীমানা থেকে উঁচু পাস দেন আফিদা। সেই বল নেপালের প্রতীক্ষা চৌধুরী ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল পেয়ে যান শামসুন্নাহার। বিপদ আঁচ করতে পেরে পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে আসেন নেপালি গোলরক্ষক। কিন্তু তাতে কী? শামসুন্নাহার দেখে-শুনে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে স্বস্তিতে যান বিরতিতে।
এমপি/এসজি
