ফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে ‘আবার’ সেই নেপাল

‘আবার’ শব্দটি নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলের বিভিন্ন আসরে প্রযোজ্য হয়ে উঠেছে। এই ‘আবার’ এর কারণও আছে। সাফের নতুন রানি হওয়ার পথে বাংলাদেশ ৩-১ গোলে হারিয়েছিল নেপালকে। আবার এই নেপালের বিপক্ষেই ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আজ এই আসরের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আবার সেই নেপালই। তাই আজ আবারও নেপালকে হারাতে পারলে বাংলাদেশ মুকুট জিতবে। কমলাপুর বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের যে শুধু জয়ের কাব্যই আছে তা কিন্তু নয়, আছে হারের বেদনাও। গত বছরই অনূর্ধ্ব-১৫ মেয়েদের আসরে বাংলাদেশ নেপালের কাছে হারের কারণেই আবার শিরোপা জিততে পারেনি। তিন দলের আসরে ডাবল লিগ পদ্ধতির আসরে বাংলাদেশ প্রথমবার নেপালের কাছে হারে ১-০ গোলে। পরেরবার ছিল ১-১ গোলে অমিমাংসিত।
বাংলাদেশ ফাইনালে এসেছে প্রত্যাশিতভাবেই। আসর শুরু হওয়ার আগে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ফাইনালে খেলার লক্ষ্যের কথা। সেই কথা রেখেছেন কোচ গোলার রব্বানি ছোটন ও অধিনায়ক শামসুন্নাহার। ফাইনালে আসার পথে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করার পর ভারতের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করে। শেষ ম্যাচে ভুটানকে হারিয়েছিল ৫-০ গোলে।
ফাইনালে বাংলাদেশের পথ যতটা মৃসন ছিল, নেপালের পথ ছিল ততটাই কঠিন। তাদের ফাইনালে আসা ছিল অনেকটাই অপ্রত্যাশিত। ফাইনালে খেলতে হলে তাদের শেষ ম্যাচে ভারতকে হারাতেই হতো। সেখানে ভারতের প্রয়োজন ছিল শুধুই ড্র। নেপাল সেই অসাধ্য সাধন করে প্রথম এক গোল হজম করার পর। পরে দিয়েছিল তিন গোল। যে কারণে নেপালকে হারিয়ে আসর শুরু করলেও বাংলাদেশ আজকের ম্যাচে নেপালকে আর আগের মতো দেখার সুযোগ নেই।
কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের কথায় ছিল সে রকমই পূর্বাভাস। তিনি বলেন, ‘নেপালকে শক্তিশালী দল মনে করেই মাঠে নামব। ওদের কয়েকজন খেলোয়াড়ের খেলা বেশ চোখে পড়েছে। ভারত ও আমাদের বিপক্ষে ওরা যে দুইটি ম্যাচ খেলেছে, সেই দুইটি ম্যাচ আমরা বিশ্লেষণ করেছি। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামব।’
অধিনায়ক শামসুন্নাহার ফাইনালে খেলতে চান লিগে নেপালের বিপক্ষে যে রকম খেলেছিলেন, সেই খেলাটিই খেলতে। তিনি বলেন, ‘নেপালের সঙ্গে এই টুর্নামেন্টে আমরা আগে যেভাবে খেলেছিলাম, সেভাবেই ফাইনালেও খেলার চেষ্টা করব। খেলার মধ্যে যেসব সুযোগ আসবে আমরা অবশ্যই তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’
বাংলাদেশের কাছে হারতে হারতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া নেপাল দল আর হারতে চায় না। ঘুরে দাঁড়াতে। তাই তারা নিতে চায় প্রতিশোধ। কোচ ইয়াম প্রসাদ গুরুংয়ের কণ্ঠে ছিল প্রতিশোধ নেওয়ার তেজ। তিনি বলেন, ‘লিগে আমরা বাংলাদেশের কাছে হেরেছি। আশা করি ফাইনাল জিতে প্রতিশোধ নিতে পারব। আমরা ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরতে চাই।’
জেতার জন্য নেপালের কোচ খেলার ধরন বদলানোর কথাও জানালেন। জানিয়েছেন বাংলাদেশের দুর্বলতার কথাও। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে হারাতে আমরা আমাদের খেলার ধরনে পরিবর্তন আনব। ভিন্ন কৌশলে খেলব। বাংলাদেশের দুর্বল দিক আমরা চিহ্নিত করেছি। আমরা তাদের সেই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।’
এমপি/এসএন
