মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-২০
প্রথম দিনেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল

সাফের রানি বাংলাদেশ। এখনো সবার স্মৃতিতে ঝলমলে। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রচিত হয়েছিল এই নতুন ইতিহাস। হিমালয় কন্যাকে তাদের মাটিতে হারিয়ে সাবিনারা বাংলারা ইতিহাসে লিখেছিলেন নতুন অধ্যায়। তারপর দেশে ফিরে আসা। ছাদ খোলা বাসে চড়ে অভ্যর্থনা পাওয়া। বিদানবন্দর থেকে বাফুফে ভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা- এখনো সবার অন্তরে জীবন্ত হয়ে আছে। সেই সাবিনা-মারিয়া-কৃষ্ণা আঁখি-সানজিদাদের অনুজরা নামছেন নতুন মিশন নিয়ে। এই মিশনের নাম সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ।
সাফের এটি নতুন আসর। বাংলার জমিনেই বসেছে এই আসর। শুরু হচ্ছে আজ। ভেন্যু কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তাফা কামাল স্টেডিয়াম। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সেই নেপালই। খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এটি আজ হবে দিনের দ্বিতীয় খেলা। প্রথম খেলা ভারত বনাম ভুটান। প্রথমবারের আয়োজনে দল এই চারটিই।
একদিন বিরতি দিয়ে দুইটি করে খেলা। খেলা হবে লিগ পদ্ধতিতে। পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দল খেলবে ফাইনাল। ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে ৯ ফেব্রুয়ারি।
গতবার এই আসর হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৮ বছরের মেয়েদের নিয়ে। ভারতের জামসেদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল তিন দলের আসর। তৃতীয় দল নেপাল। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে হয়েছিল আসর। পয়েন্ট সমান হলেও গোল গড়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। ভারত হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন।
মেয়েদের সাফের যেকোনো বয়সভিত্তিক আসরেই বাংলাদেশ সব সময় ফেভারিট থাকে। এবারও তার ব্যতীক্রম নয়। আপাতত ফাইনাল খেলাটা নিশ্চিত করতে চান শামসুন্নাহার জুনিয়ররা। তিনি বলেন, ‘আমরা আগে ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা সেভাবেই মাঠে নামব। প্রথম ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে। ম্যাচটা জিতে আমরা শুরু করতে চাই।’
এই শামসুন্নাহার জুনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য। জাতীয় দলের আরও বেশ কয়েকজন আছেন এই দলে। কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটন বলেন, ‘জাতীয় দলরে খেলোয়াড়রা তো আমাদের আছেই। এ ছাড়াও বেশ কিছু সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়ও তৈরি হচ্ছে। যেমন ধরুন রিপা, আফিদা। এরা তৈরি হচ্ছে আগামীর জন্য। এই র্টুনামন্টে তারা নিজেদের মেলে ধরতে পারবে এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের চ্যালঞ্জ জানাতে পারবে।’
এই আসর সামনে রেখে বাংলাদেশ দল খুব বেশি দিন একত্রে অনুশীলন করতে পারেনি। তবে অনুশীলন না করলেও তারা খেলার মাঝেই ছিল। মেয়েদের লিগে সবাই খেলেছেন। ৩১ জানুয়ারি লিগ শেষ হওয়ার পরই জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু হয়।
খেলোয়াড়রা খেলার মাঝে থাকায় তাদের নিয়ে আশাবাদী কোচ ছোটন বলেন, ‘মেয়েরা লিগে খেলার মধ্যেই ছিল। তারা ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার পর ফিজিক্যাল এবং মেন্টাল ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। এ ছাড়া টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল ফিটনেসের দিকেও তাদের নজর দিয়েছি।’
এসএন
