ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির সুবিধার্থে বিসিবিতে গ্রিন হাউজ স্থাপনা

শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব মৌসুমে যাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নির্বিঘ্নে অনুশীলন করতে পারেন সেজন্য ‘গ্রিন হাউজ’ অনুশীলন সুবিধা তৈরি করতে যাচ্ছে বিসিবি। মিরপুরের হোস অব ক্রিকেটের একাডেমি মাঠে এজন্য ১০টি করে ২০টি উইকেট আনা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক ও গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। আজ তিনি মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘একাডেমিতে গ্রিন-হাউজ এফেক্টের যে অনুশীলন সুবিধা, যা নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াতে আছে, আমরা সেরকম স্থাপন করতে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘উত্তর-দক্ষিণ দিক মিলিয়ে আমরা ২০টি উইকেট আনব। জুনের মধ্যেই এটি স্থাপিত হবে। এতে ভরা বর্ষায়ও স্বাভাবিকভাবে খেলা যাবে।’
গ্রিন হাউজ প্রস্তুত করা হবে ৩০ মিটার প্রশস্ত ও ৭৫ মিটার লম্বা। বৃষ্টির মৌসুমে পর্দা টেনে দেওয়া হবে চার পাশে। এতে করে অনুশীলনে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে না।
বৃষ্টির সময় যেমন পর্দা টেনে দেওয়া হবে, তেমনি গরম থেকে বাঁচতে গ্রীষ্মকালে পর্দা সরিয়ে নেওয়া হবে। এ গ্রিন হাউজ উইকেট প্রথম চালু করে নিউ জিল্যান্ড। পরে অস্ট্রেলিয়াতেও এটি চালু করা হয়।
মাহবুব আনাম বলেন, ‘এটি এক ধরনের ইনডোর সুবিধার মতোই। বর্ষায় পর্দা টেনে অনুশীলন করা যাবে। তবে বর্ষা ছাড়া অন্য সময় পর্দা খুলে নেওয়া যাবে’। তিনি বলেন, ‘বর্ষার সময় আমাদের ইনডোর ছাড়া আর খুব একটা অনুশীলনের জায়গা থাকে না। আগামী এক বছরের মধ্যে একটা সুন্দর পরিকল্পনায় আমরা এটিকে নিয়ে আসব।’
আগামী বর্ষায় মৌসুমেই এটি ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়ে মাহবুব আনাম বলেন, ‘আশা করি এই বর্ষায় এটি ব্যবহার করা যাবে। ব্যবহার করলেই আমরা বুঝতে পারব এর থেকে কতটা উপকার পাওয়া যাচ্ছে।’
এটি স্থাপন করতে সব মিলিয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে বলে জানান মাহবুব আনাম। এটিকে তিনি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে উল্লেখকরে বলেন, ‘এটিকে আমরা পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নিচ্ছি। যদি এখানে সফল হই তাহলে অন্যান্য যে অনুশীলন সুবিধা তৈরি করছি, সেখানেও হয়তো ব্যবহার করতে পারব।’
এমপি/এসএন
