বিপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড রান তাড়া করে কুমিল্লার জয়
বিপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড ২১০ রান তাড়া করে জয়ের নতুন ইতিহাস গড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আজ সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনা তামিম ইকবাল (৯৫) ও সাই হোপের (৯১*) ব্যাটের ভেলায় ভেসে ২ উইকেটে ২১০ রান করেও বাঁচতে পারেনি। জনসন চার্লসের অপরাজিত ১০৭ রানের সঙ্গে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৭৩ রানের ইনিংস কুমিল্লাকে ১.৪ ওভারে ওভার থাকতে রান তাড়ার নতুন রেকর্ড গড়ে ৭ উইকেটে জয় এনে দেয়। আগের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল এই খুলনা টাইগার্সের। ২০২০ সালের আসরে মিরপুরে ঢাকা প্লাটুনের ৪ উইকেটে করা ২০৫ রান অতিক্রম করেছিল ২ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে।
এই হারে কুমিল্লা ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফে খেলা নিশ্চিত করেছে। খুলনার সম্ভাবনা আরও গভীর অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে উঠল। ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া রংপুর রাইডার্স আর একটি ম্যাচ জিততে পারলে খুলনা দর্শক হয়ে যাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো।
রান ফোয়ারার ম্যাচে খুলনার তামিম ইকবালের ৯৫ ও সাই হোপের অপরাজিত ৯১ রানের পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুমিল্লার জনসন চার্লস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। জনসন চার্লস ৫৩ বলে ১০ ছক্কা ও ৫ চার এবারের বিপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে নেন। এটি ছিল চলতি আসরের চতুর্থ সেঞ্চুরি। তিনি শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ১১ ছক্কা ও ৫ চারে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। মোহাম্মদ রিজওয়ান করেন ৩৯ বলে ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৭৩ রান। দুই জনে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১২২ রান যোগ করেন ১১.৩ ওভারে। তামিম- হোপ দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেছিলেন ১৭.৩ ওভারে ১৮৪ রান।
দুই দল মিলে ২৭টি ছক্কা ও ৩৪টি চার মারেন। খুলনার ইনিংসে ১২টি ছক্ক ও ১৭টি চার এবং কুমিল্লার ইনিংসে ১৫টি ছক্কা ও ১৭টি চার ছিল।
বিশাল রান তাড়া করতে নেমে কুমিল্লার জন্য বড় ধাক্কা ছিল ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই লিটনকে হারানো। তবে আউট হওয়ার মাধ্যমে নয়, আহত হয়ে। শফিকুলের প্রথম বলকে বাউন্ডারি মেরে সীমানা পার করে লিটন দ্বিতীয় বলেই মাঠ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। লিটনকে হারানোর এই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই কুমিল্লাকে আবারো ধাক্কা খেতে হয় দলীয় ২২ রানে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে হারালে। শফিকুলের বলে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন তিনি।
ইমরুলের এই আউট কুমিল্লার জন্য মঙ্গল বয়ে আনেন। কারণ এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জনসন চার্লস বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। এদিন মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলেন নিজের প্রথগত ব্যাটিং ধারার বিপরীত। ধীরে সূচনা করা যার বৈশিষ্ট্য, সেই রিজওয়ান ছিলেন অবাক করার মতো মারমুখী। চারটি করে চার ও ছয় মেরে মাত্র ২৪ বলে করেন এবারের বিপিএল নিজের তৃতীয় ও দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। জনসন চার্লসও পিছিয়ে ছিলেন না। তিনি ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৩৫ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। চলতি আসরে এটি ছিল তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।
এই দুইজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কারণে কুমিল্লা রান সংগ্রহে খুলনার চেয়ে এগিয়ে ছিল। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে খুলনার রান ছিল ১ উইকেটে ৩৭, সেখানে কুমিল্লা রান ১ উইকেটে ৫৩। ১০ ওভার শেষে খুলনা করেছিল ১ উইকেটে ৮১। কুমিল্লার ছিল ১ উইকেটে ৯৯।
এমনি করে দুই জনেই বলের সঙ্গে রানের আকাশ-পাতাল ব্যবধান ক্রমেই কমিয়ে আনছিলেন। ১০.১ ওভারে ১২২ রান যোগ হবার পর মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হলে ভাঙ্গে জুটি। ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৩৯ বলে ৭৩ রান করে রিজওয়ান আউট হন নাসুমের বলে হোপের হাতে ধরা পড়ে। এ সময় দলের রান ছিল ১৩.৪ ওভারে ১৪৪। জয়ের জন্য তখনও প্রয়োজন ৩৮ বলে ৬৭ রানের। খুব কঠিন নয়। সেটিকে আরও সহজতর করে তুলেন ম্যাচ সেরা জনসন চার্লস তার ৫৬ বলে ১১ ছক্কা ও ৫ চারে অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস খেলে।
রিজওয়ান আউট হওয়ার পর তিনি কি পরিমাণ মারমুখী খেলেছেন, তা বুঝা যায় জয়ের জন্য অবশিষ্ট ৬৬ রানের মাঝে বাকি দুই ব্যাটসম্যানের অবদান ছিল খুশদিল শাহর ১২ ও মোসাদ্দেকের অপরাজিত ৪ রানের। খুশদিলের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যে ৫৯ রাম আসে সেখানে কুশদিল করেন ১২ রান।
এমপি/আরএ/
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড ২১০ রান তাড়া করে জয়ের নতুন ইতিহাস গড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আজ সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনা তামিম ইকবাল (৯৫) ও সাই হোপের (৯১*) ব্যাটের ভেলায় ভেসে ২ উইকেটে ২১০ রান করেও বাঁচতে পারেনি। জনসন চার্লসের অপরাজিত ১০৭ রানের সঙ্গে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৭৩ রানের ইনিংস কুমিল্লাকে ১.৪ ওভারে ওভার থাকতে রান তাড়ার নতুন রেকর্ড গড়ে ৭ উইকেটে জয় এনে দেয়। আগের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল এই খুলনা টাইগার্সের। ২০২০ সালের আসরে মিরপুরে ঢাকা প্লাটুনের ৪ উইকেটে করা ২০৫ রান অতিক্রম করেছিল ২ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে।
এই হারে কুমিল্লা ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফে খেলা নিশ্চিত করেছে। খুলনার সম্ভাবনা আরও গভীর অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে উঠল। ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া রংপুর রাইডার্স আর একটি ম্যাচ জিততে পারলে খুলনা দর্শক হয়ে যাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো।
রান ফোয়ারার ম্যাচে খুলনার তামিম ইকবালের ৯৫ ও সাই হোপের অপরাজিত ৯১ রানের পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুমিল্লার জনসন চার্লস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। জনসন চার্লস ৫৩ বলে ১০ ছক্কা ও ৫ চার এবারের বিপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে নেন। এটি ছিল চলতি আসরের চতুর্থ সেঞ্চুরি। তিনি শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ১১ ছক্কা ও ৫ চারে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। মোহাম্মদ রিজওয়ান করেন ৩৯ বলে ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৭৩ রান। দুই জনে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১২২ রান যোগ করেন ১১.৩ ওভারে। তামিম- হোপ দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেছিলেন ১৭.৩ ওভারে ১৮৪ রান।
দুই দল মিলে ২৭টি ছক্কা ও ৩৪টি চার মারেন। খুলনার ইনিংসে ১২টি ছক্ক ও ১৭টি চার এবং কুমিল্লার ইনিংসে ১৫টি ছক্কা ও ১৭টি চার ছিল।
বিশাল রান তাড়া করতে নেমে কুমিল্লার জন্য বড় ধাক্কা ছিল ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই লিটনকে হারানো। তবে আউট হওয়ার মাধ্যমে নয়, আহত হয়ে। শফিকুলের প্রথম বলকে বাউন্ডারি মেরে সীমানা পার করে লিটন দ্বিতীয় বলেই মাঠ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। লিটনকে হারানোর এই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই কুমিল্লাকে আবারো ধাক্কা খেতে হয় দলীয় ২২ রানে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে হারালে। শফিকুলের বলে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন তিনি।
ইমরুলের এই আউট কুমিল্লার জন্য মঙ্গল বয়ে আনেন। কারণ এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জনসন চার্লস বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। এদিন মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলেন নিজের প্রথগত ব্যাটিং ধারার বিপরীত। ধীরে সূচনা করা যার বৈশিষ্ট্য, সেই রিজওয়ান ছিলেন অবাক করার মতো মারমুখী। চারটি করে চার ও ছয় মেরে মাত্র ২৪ বলে করেন এবারের বিপিএল নিজের তৃতীয় ও দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। জনসন চার্লসও পিছিয়ে ছিলেন না। তিনি ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৩৫ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। চলতি আসরে এটি ছিল তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।
এই দুইজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কারণে কুমিল্লা রান সংগ্রহে খুলনার চেয়ে এগিয়ে ছিল। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে খুলনার রান ছিল ১ উইকেটে ৩৭, সেখানে কুমিল্লা রান ১ উইকেটে ৫৩। ১০ ওভার শেষে খুলনা করেছিল ১ উইকেটে ৮১। কুমিল্লার ছিল ১ উইকেটে ৯৯।
এমনি করে দুই জনেই বলের সঙ্গে রানের আকাশ-পাতাল ব্যবধান ক্রমেই কমিয়ে আনছিলেন। ১০.১ ওভারে ১২২ রান যোগ হবার পর মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হলে ভাঙ্গে জুটি। ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৩৯ বলে ৭৩ রান করে রিজওয়ান আউট হন নাসুমের বলে হোপের হাতে ধরা পড়ে। এ সময় দলের রান ছিল ১৩.৪ ওভারে ১৪৪। জয়ের জন্য তখনও প্রয়োজন ৩৮ বলে ৬৭ রানের। খুব কঠিন নয়। সেটিকে আরও সহজতর করে তুলেন ম্যাচ সেরা জনসন চার্লস তার ৫৬ বলে ১১ ছক্কা ও ৫ চারে অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস খেলে।
রিজওয়ান আউট হওয়ার পর তিনি কি পরিমাণ মারমুখী খেলেছেন, তা বুঝা যায় জয়ের জন্য অবশিষ্ট ৬৬ রানের মাঝে বাকি দুই ব্যাটসম্যানের অবদান ছিল খুশদিল শাহর ১২ ও মোসাদ্দেকের অপরাজিত ৪ রানের। খুশদিলের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যে ৫৯ রাম আসে সেখানে কুশদিল করেন ১২ রান।
এমপি/আরএ/