তামিম-হোপের ব্যাটে খুলনার ২১০

খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে খুলনা টাইগার্স। প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা নিভু নিভু করছে। হাতে আছে মাত্র ৪টি ম্যাচ। পয়েন্ট মাত্র ৪। অবস্থান ৭ দলের মাঝে ছয়ে। শেষ চারে যেতে আর কোনো ম্যাচ হারা চলবে না। তারপরও অপেক্ষায় থাকতে হবে অন্য দলের অবস্থানের জন্য। এরকম একটি কঠিন পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন খুলনার ব্যাটাররা।
আসলে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল ও শাই হোপ। দুইজনের সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই ইনিংসে খুলনা টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে করেছে ২১০ রান। তামিম ৯৫ রান করে আউট হলেও শাই হোপ ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
খুলনার ইনিংস যে এমন পেট মোটা হবে তা কিন্তু তাদের ইনিংসের শুরুতে বোঝা যায়নি। সেখানে ছিল আগের ম্যাচগুলোর মতো ভাঙন। দলীয় ১৩ ও ব্যক্তিগত ১ রানে মাহমুদুল হাসান জয় ফিরে যান নাসিম শাহর বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে। এরপরই শুরু হয় তামিম ও শাই হোপের খেলা। তবে তা শুরুতেই ছিল না। ধীরে ধীরে তারা ময়ূরের মতো পেখম মেলেছেন।
শুরুতে তামিম বলে বলে রান করেছেন। যে কারণে প্রথম ১০ ওভারে রান উঠে ৮১। এরপর দুইজনেই শুরু করেন আগ্রাসী ব্যাটিং। যার ফলে পরের ১০ ওভারে রান আসে ১১৯ রান।
১০ ওভারের সময় তামিমের রান ছিল ৩৪ বলে ৩৭, শাই হোপের ২৬ বলে ৪৩ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার সময় তামিমের রান ছিল ৬১ বলে ৯৫। তখন শাই হোপ ছিলেন ৫৫ বলে ৯১ রানে অপরাজিত।
আগে হাফসেঞ্চুরি করেন শাই হোপ। ২৭ বলে ৪টি করে চার ও ছয় মেরে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। তামিম ২ ছয় ও ৫ চারে ৪৬ বলে করেন হাফসেঞ্চুরি। একপর্যায়ে তামিম এতটাই মারমুখী হয়ে উঠেন যে শাই হোপকে পেছনে ফেলে নব্বইয়ের ঘরে চলে যান। তার রান যখন ৯৫, তখন হোপের রান ৭৮। দলের রান ১৮ ওভারে ১৮১।
হোপের সেঞ্চুরি কঠিন হলেও তামিমের সম্ভাবনা ছিল বেশি। ১৯তম ওভার খেলে হোপ ১২ রান তুলে নিলে শেষ ওভারে দুইজনেরই সেঞ্চুরির সম্ভাবনা ছিল। তামিম ৯৫, হোপ ৯০। মোসাদ্দেকের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই তামিম খুশদিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে চলতি আসরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। জুটিতে তারা যোগ করেন ১৬.৩ ওভারে ১৮৪ রান। বিপিএলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। সর্বোচ্চ রান ২০১। ২০১৭ সালে মিরপুরে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের ক্রিস গেইল ও ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম এই রান করেছিলেন।
তামিম আউট হওয়ার পর হোপ স্ট্রাইক না পাওয়ায় তার সম্ভাবনা ঝুলে যায়। প্রথম তিন বল খেলে আজম খান ৪,৬ ও ১ রান নেওয়ার পর হোপের সম্ভাবনা আবার জেগে উঠে। কিন্তু পঞ্চম বলে ১ রান নিলে হোপের আশা আর পূর্ণ হয়নি।
এমপি/এসজি
