ইফতিখার-সাকিবে দুর্দান্ত জয় বরিশালের

পাওয়ারপ্লের শেষ না হতেই সাজঘরে চার টপ-অর্ডার ব্যাটার। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তখন ফরচুন বরিশালের পুঁজি মোটে ৪৬ রান। অথচ ম্যাচ শেষে তারাই ৬৭ রানে জয়ী! ইফতিখার আহমেদ ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং তাণ্ডবেই শুরুর ধাক্কা সামলে এমন দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ইফতিখার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অধিনায়ক সাকিব। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৩৮ রানের সংগ্রহ পায় তাদের দল, যা বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় দলীয় সর্বোচ্চ।
প্রতিপক্ষের রানের পাহাড় টপকানো সম্ভব হয়নি রংপুরের। তাদের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেটে ১৭১ রানে। টুর্নামেন্টের নবম আসরে প্রথম দেখায় বরিশালের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছিল তারা। সবমিলে টানা চতুর্থ জয় পেল পাঁচ ম্যাচ খেলা বরিশাল। অপরদিকে, রংপুরের পঞ্চম ম্যাচে এটা তাদের তৃতীয় হার।
শোয়েব মালিকের নেতৃত্বাধীন রংপুর এদিন রান তাড়ায় লড়াইয়ের ধারে কাছেও ছিল না। শেষ দিকে লড়ে গেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ২৪ বলে তার ৪৪ রানের ইনিংসে কমেছে কেবল দলের হারের ব্যবধান। বরিশালের হয়ে ৩ উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও কামরুল হাসান পান ২টি করে উইকেট।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষের বোলারদের তুনোধুনো করেন ইফতিখার ও সাকিব। অথচ পর পর দুই ওভারে জোড়ায় জোড়ায় আঘাত হেনে বরিশালকে খাদের কিনারায় ছিটকে দিয়েছিলেন হারিস রউফ ও হাসান মাহমুদ। ইনিংসে পঞ্চম ওভারে এনামুল হক বিজয় (১৪) এবং ইব্রাহিম জারদানকে (০) আউট করেন হারিস।
এরপর মিরাজ (২৪) ও মাহমুদউল্লাহকে (০) সাজঘরে পাঠান হাসান। বাকিটা সময় ছিল ইফতিখার-সাকিব জুটির তাণ্ডব। তাদের ৮৬ বলের প্রতিরোধে দলের খাতায় যোগ হয় ১৯২ রান। ইফতিখার ৪৫ বলে তার ১০০ রানের ইনিংস সাজান ৬ চার এবং ৯ ছক্কায়।
উইকেটে অপরপ্রান্তে সাকিব অপরাজিত ছিলেন ৮৯ রানে। তার ৪৩ বলের ইনিংসে ছিল ৯ চার এবং ৬ ছক্কা।
এসএন
