অস্ট্রেলিয়ার ঘুম ভাঙলেও ইংল্যান্ড ঘুমিয়ে পড়েছে!
২০০০ সালে বাংলাদেশ আইসিসির দশম দেশ হিসেবে পূর্ণ সদস্য পদ লাভ করে। এর ফলে বাংলাদেশ মর্যাদা পায় টেস্ট খেলার। খেলবে গিয়ে অন্য দেশে। বাংলাদেশেও খেলতে আসবে অন্য দেশগুলো। কিন্তু বাংলাদেশ টেস্ট মযার্দা পেলেও কিছু কিছু দেশের তাচ্ছিল্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই যায়। যেখানে আইসিসিরও করার কিছু থাকে না?
সময়ের হিসেবে ২২ বছর। এ রকম এক চোখা নীতির কারণে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত একবার মাত্র অস্ট্রেলিয়া গিয়ে টেস্ট সিরিজ খেলে এসেছে। তাও ২০০৩ সালে। অস্ট্রেলিয়া সেই ম্যাচগুলো আবার আয়োজন করেছিল তাদের অখ্যাত দুই ভেন্যু ডারউইন এবং ক্রেয়ার্নসে।এই নামে যে অস্ট্রেলিয়ার দুইটি ক্রিকেট ভেন্যু আছে তা বাংলাদেশ খেলার সুবাদেই প্রথম অনেকেই জানতে পারেন। এরপর আইসিসি আরও বেশ কয়েকবার এফটিপি করেছে। কিন্তু তাতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে রাজি হয়নি।
এবার আইসিসির ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পাঁচ বছরের নতুন এফটিপিতে অস্ট্রেলিয়ার ঘুম ভেঙেছে। তারা বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে রাজি হয়েছে ২০২৭ সালের মার্চে দুই টেস্টের সিরিজের জন্য।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার যখন ঘুম ভেঙেছে তখন আবার ইংল্যান্ড ঘুমিয়ে পড়েছে। টেস্ট মযার্দা পাওয়ার পর বাংলাদেশ দুইবার ইংল্যান্ডে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলে এসেছে ২০০৫ ও ২০১০ সালে। প্রথমবার লর্ডস ও চেস্টার-লি-স্ট্রিটে এবং দ্বিতীয়বার লর্ডস ও ওল্ড ট্রাফোর্ডে। এরপর আর খেলেনি কোনো টেস্ট। এমন কি নতুন এফটিপিতেও নেই কোনো ইংল্যান্ড ভ্রমন। অথচ নতুন এফটিপিতে সবচেয়ে বেশি ১৫০টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
তবে এই সময়ে ইংল্যান্ড দুইবার আসবে বাংলাদেশে। ২০২৩ সালের মার্চে আসবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে। ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসবে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে।
ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতেও বাংলাদেশের জন্য দুর্গম হয়ে উঠেছিল। ২০০০ সালের ২৬ জুন টেস্ট মযাার্দ পাওয়ার পর সে বছরই ১০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছিল অভিষেক টেস্ট। এরপর ২০১৫ সাল পর্যন্ত খেলে আরও সাতটি টেস্ট। কিন্তু ভারতে গিয়ে খেলা অধরাই থেকে যায়। দেড় দশক পর ঘুম ভাঙে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।
তারা একটি মাত্র টেস্ট খেলার জন্য হায়দরাবাদে বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আবার আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুইটি টেস্ট খেলেছে ইন্দোর ও কলকাতায়। নতুন এফটিপিতে ভারতে বাংলাদেশের একটি সফর আছে। ২০৪ সালের সেপ্টেম্বরে দুইটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে যাবে বাংলাদেশ। আবার ২০২৫ সালের আগস্টে ভারত আসবে তিনটি করে ওয়নডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে।
এই তিনটি দেশ ছাড়া আর কোনো দেশে গিয়ে খেলতে বাংলাদেশকে কাঠখড় পোড়াতে হয়নি।
এমপি/এমএমএ/