শেখ কামালের অবদান সকলের মনে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, 'শেখ কামালের নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের যুব সমাজ নিজেদের গড়ে তুলবে এবং শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশের মর্যাদাকে আরও সমুন্নত করবে। মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল আমাদের জন্য যে নীতি আদর্শ, কর্মপন্থা ও দিক নির্দেশনা রেখে গেছেন তা থেকে আমাদের যুব সমাজ তাদের চলার পথে তার আদর্শকে সামনে রেখে, তা অনুসরণ করে নিজেদের গড়ে তুলবে।'
শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সাত ক্যাটাগরিতে ৯ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। তারা হলেন- হারুনুর রশীদ (আজীবন সম্মাননা), লিটন কুমার দাস (খেলোয়াড়), আব্দুলল্লাহ হেল বাকি (খেলোয়াড়), মোল্লা সাবিরা সুলতানা (খেলোয়াড়), দিয়া সিদ্দিকী (উদীয়মান খেলোয়াড়), মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম (উদীয়মান খেলোয়াড়), মো. সাইদুর রহমান প্যাটেল ( ক্রীড়া সংগঠক), নাজমা শামীম (ক্রীড়া সংগঠক), কাশি নাথ বসাক (ক্রীড়া সাংবাদিক)। দুটি প্রতিষ্ঠান হলো- বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) এবং গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড (ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক/স্পন্সর)। অনুষ্ঠানে লিটন দাস ও শরিফুল ইসলাম জিম্বাবুয়েতে দলের সঙ্গে থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। লিটন দাসের পক্ষে তার স্ত্রী দেবিশ্রী বিশ্বাস সঞ্চিতা ও শরিফুল ইসলামের পক্ষে তার ভাই আশরাফুল ইসলাম পুরস্কার গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রবর্তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, 'এর ফলে মুক্তিযোদ্ধা এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ কামালের অবদান সকলের মনে থাকবে।'
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ক্রীড়া সংগঠক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ এবং স্পন্দন শিল্প গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কাজী হাবলু স্মৃতিচারণমূলক বক্তৃতা রাখেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত ‘এক আলোর পথের যাত্রী’ শীর্ষক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। প্রধানমন্ত্রী পরে শেখ কামালকে নিয়ে রচিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আলোকিত তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি’ শীর্ষক সচিত্র স্মারক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। ১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বিপদগামী একদল সেনাকর্মকর্তার নির্মম বুলেটে মাত্র ২৬ বছর বয়সে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের সঙ্গে শাহাদাত বরণ করেন।
উল্লেখ্য, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে এবং বনানীস্থ শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর সংস্থা দেশব্যাপী কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা আয়োজন করেছে। বিকেএসপি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে আয়োজন করা হয় রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন শেখ কামালের জন্মদিন পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এমপি/এসজি/