‘ঘরের খবর পরের কাছে বলতে মানা’
টি-টোয়েন্টি দল থেকে নেতৃত্ব হারানোর পাশাপাশি মাহমুদউল্লাহ দল থেকেও বাদ পড়েছেন। কিন্তু তা নিয়ে এতোটা আলোচনা বা সমালোচনা হয়নি, যতটা হচ্ছে মুশফিকুর রহিমকে বাদ দিয়ে। যদিও বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই দুই ক্রিকেটারকে ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি হয়তো স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি মুশফিকুর রহিম।
তার ফেসবুকে একটি ছবি পোষ্ট আর ইমোজি ব্যবহারে নানান সমালোচনা হচ্ছে। অনুশীলন শেষে ড্রেসিং রুমের সামনে মুশফিক চোখ বুঝে চেয়ারে হেলান দিয়ে আছেন। এতে বুঝা যায় যাচ্ছে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। আবার যে ইমুজি ব্যবহার করেছেন, সেটিও বিশ্রামের। এ নিয়ে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আরো পেশাদারিত্ব আচরন আশা করছেন।
সোমবার (২৫ জুলাই) পাঁচ তারকা হোটেলে জিম্বাবুয়ে সফরে ডাক পাওয়া খেলোয়াদড়দের নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ শেষে সাংবাদিকদের তিনি মুশফিকের এই ছবি নিয়ে বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা অনেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি এসব স্পর্শ করতে পারি না। কিন্তু আমি আজকে ছেলেদের একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছি যে পেশাদারিত্ব তৈরি করতে। আমাদের পেশাদার হতে হবে। আমামদের ক্রিকেট সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। হ্যাঁ আমাদের অনেকের মন খারাপ হতে পারে। বাদ পড়লে মন খারাপ হবে স্বাভাবিক। দলে ঢুকলে মন খুশি হয়। ভালো খেললে ভালো লাগে, খারাপ খেললে খারাপ লাগে।’
খালেদ মাহমুদ মুশফিককে অনেকটা কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে যতদিন পর্যন্ত এসব সংস্কৃতি আমরা তৈরি করতে পারব না ততদিন পর্যন্ত ভালো একটা দল হয়ে উঠতে পারব না। আমি যেমন পেশাদার, আমার চাকরির খবর তো বাসায় যায় না বা আমার বাসার খবর তো চাকরির জায়গায় এসে জানাই না যে আজকে আমি আমার বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে আসছি। এখানে বিষয়টা একই রকম। আমরা কীভাবে পেশাদার হতে পারি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের ক্রিকেট একটা পরিবার, এখানকার কথাগুলো বাইরে যাওয়াটাও একটা ভুল বার্তা দেয়। সেটা যে-ই দিচ্ছে বা যারা-ই দিচ্ছে এটা ভালো না, স্বাস্থ্যকর না। আমরা এসব নিয়েও কথা বলেছি। আমার মনে হয় যে এটা আমাদের সময় যে সংস্কৃতি গড়ে তোলা ‘
ড্রেসিং রুমের খবরও বাইরে যাওয়াটাকে ভালো বলে মনে করেন না খালেদ মাহমুদ।
খালেদ মাহমুদ মনে করেন মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। আজকের পর থেকে আর এ রকম ভুল আর কেউ করবে না।
তিনি বলেন, ‘মানুষইতো ভুল করে, ভুল থেকে শেখে। আমি মনে করি আজকের পর থেকে এগুলো আর হবে না। সবাই দায়িত্বশীল, যারাই বাংলাদেশ দলে খেলে। তারা দেশের ক্রিকেটের আইকন, দেশের আইকন। যেমন নুরুল হাসান সোহানকে শুধু দেশে না দেশের বাইরেও মানুষ চেনে। সুতরাং তারা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে বুঝবে। খেলাটা শুধু মাঠের না মাঠের বাইরেও অনেক খেলা আছে। সে জায়গাগুলোতেও আমাদের ভালোভাবে সামলে নিতে হবে, খুব সাবধানে সামলাতে হবে।’
এমপি/এমএমএ/