তারপরও টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ সফল অধিনায়ক
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক কে? যে কেউ এক বাক্যে বলে দেবে মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু টেস্ট কিংবা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ রকম প্রশ্ন করা হলো সহজে উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ এই দুটি সংস্করণে বাংলাদেশের সাফল্য যে নেই বললেই চলে। তাই ‘সফল’ প্রশ্নটাও অসফল হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি এই দুই সংস্করণেই ঘটেছে অধিনায়কের পালাবদল এবং তা পরপর দুইটি সিরিজে। প্রথম উইন্ডিজ সফরে কেড়ে নেওয়া হয় মুমিনুলের টেস্ট নেতৃত্ব। তবে নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হলেও তাকে দলে রাখা হয়েছিল। খেলেছিলেন প্রথম টেস্টও। কিন্তু রানের দেখা না পাওয়ায় পরের টেস্টে তিনি বাদ পড়েন। উইন্ডিজ সফর শেষে বাংলাদেশ দল এখন দেশে ফিরে এসেছে। এ মাসেই যাবে জিম্বাবুয়ে সফরে। খেলবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এবার নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। সঙ্গে দল থেকেও বাদ। বিসিবির ভাষ্য ‘বিশ্রাম’। কিন্তু মাহমুদউল্লাহকে আবার ওয়ানডে দলে রাখা হয়েছে?
ওয়ানডের মতো টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাশরাফির মতো এককভাবে কাউকে সফল বলা না গেলেও মাহমুদউল্লাহর হাত ধরেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাফল্য এসেছে বেশি। মাহমুদউল্লাহ দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪৩টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জয় পেয়েছেন ১৬টিতে। হার ২৬টি। এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তার সাফল্য শতকরা ৩৮.০৯। তার পরেই আছেন মাশরাফি। তিনি ২৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১০টিতে জয় পেয়েছেন। হেরেছেন ১৭টিতে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। তার শতকরা সাফল্য ৩৭.০৩। এরপরই আছেন মুশফিকুর রহিম। ২৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৮টিতে জিতে ১৪টিতে হেরেছেন। নিষ্পত্তি হয়েছে একটিতে। শতকরা সাফল্য ৩৬.৩৬।
চতুর্থ স্থানে আছেন পঞ্চপাণ্ডবের আরেক পাণ্ডব সাকিব আল হাসান। নেতৃত্ব দেওয়া ম্যাচের সংখ্যা ২১টি। জয় সাতটি, হার ১৪টি। শতকরা সাফল্য ৩৩.৩৩। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে সদ্য অবসর নেওয়া তামিম ইকবাল এই ফরম্যাটে কোনো ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেননি।
এমপি/এসজি/