পরবর্তী ব্যস্ত এফটিপি নিয়ে বিসিবির রোটেশন পদ্ধতি
আইসিসির পরবর্তী এফটিপিতে বাংলাদেশকে ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। ২০২৩ সাল থেকে ২০২৭ এই পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ৩৪ টেস্ট, ৫৯ ওয়ানডে ও ৫১ টি-টোয়েন্টি খেলবে। সব মিলিয়ে ১৪৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বাংলাদেশের চেয়ে ম্যাচ সংখ্যায় এগিয়ে আছে শুধু উইন্ডিজ। তারা খেলবে দুইটি বেশি। টেস্ট ক্রিকেটে পথচলা শুরু করার পর বাংলাদেশ এই স্লটেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে।
৩৬৫ দিনে ১৪৪ ম্যাচ। টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা ধরলে খেলার দিন আরও বেড়ে যাবে। পাঁচ দিনের হিসেবে ৩৪ টেস্টে ১৭০ দিন। সঙ্গে ৫৯ ওয়ানডে ও ৫১ টি-টোয়েন্টি মিলে আরও ১১০ দিন। সব মিলিয়ে ২৮০ দিন। এর বাইরে আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্ট তো আছেই। আছে ঘরোয়া বিপিএল, ডিপিএল। এনসিএল বা বিসিএলের কথা না বাদই দেওয়া হলো। চলতি এফটিপিতে বাংলাদেশের ম্যাচের সংখ্যা ছিল কম। তারপরও সিরিজের পিঠে সিরিজ ছিল। দেখা গেছে এক সিরিজ শেষ হতে না হতেই আরেকটি সিরিজ খেলতে হচ্ছে। যে কারণে দুই সিরিজের মাঝে ক্রিকেটাররা খুব একটা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। সময়ের হিসেবে এক সপ্তাহেরও কম। এরকম আরও হয়েছে। ম্যাচ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ আরও কমে আসবে। এতে করে ক্রিকেটারদের উপর ধকল যাবে বেশ ভালোই। অনেকেই হয়তো এই ধকল সামাল দিতে পারবেন না। তাই বিসিবি বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব সহকারেই নিয়েছে। তারা পরিকল্পনা করেই এগুতে চায়। এগুতে চায় রোটেশন পদ্ধতিতে। বিশ্ব ক্রিকেটের ডাকসাইটের দলগুলোও এই পদ্ধতি অনুসরণ করছে। দুর্বল বা কম শক্তির দলগুলোর বিপক্ষে তারা দ্বিতীয় সারির দল পাঠাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মিরপুরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘যখন আমাদের এফটিপিটা চূড়ান্ত হবে তখন আমাদের আলোচনা করে পরিকল্পনা নিতে হবে। এটার পরিকল্পনা প্রয়োজন। শিডিউল থাকতে হবে, কে কোথায় অংশগ্রহণ করবে, কে কোথায় পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ক্রিকেটাররা না, টিম ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন তারাও ব্যস্ততম সময় পার করবেন।’
এমপি/এসজি/