পেশাদার খেলোয়াড়দের সব মেনে নিতে হয়
উইন্ডিজ থেকে বাংলাদেশের প্রথম বহর আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। প্রথম বহরে সদস্য ছিলেন ছয়জন। যেখানে ক্রিকেটার ছিলেন মাত্র দুইজন তাসকিন ও মিরাজ। বাকিরা দলের কোচিং স্টাফ ও সদস্য। দ্বিতীয় ও শেষ বহর আসবে আগামীকাল।
বাংলাদেশের এবারের সফর ছিল পূর্ণাঙ্গ। সর্বশেষ চার বছর আগের সফরও ছিল একইভাবে পূর্ণাঙ্গ। ২০১৮ সালের সেই সফরে বাংলাদেশ দুই টেস্টের সিরিজ হারলেও জিতেছিল টি-টোয়েন্টি ও একদিনের সিরিজ। কিন্তু এবার একই রকম ফলাফল হয়নি। দুই টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও হেরেছিল ২-০ ব্যবধানে। কিন্তু তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ অবার জিতেছিল উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে। কিন্তু কেন এ রকম ভিন্ন ফলাফল? হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট কিন্তু টানা পাঁচদিন ভালো ক্রিকেট খেলতে হয়। আপনি দেখেন একটা সেশন খারাপ খেললে অন্য সেশনে ভালো করার সুযোগ থাকে। টানা পাঁচদিন যে দল ভালো করে তাদেরই ফল পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। আবার টি-২০ যদি বলেন খুব অল্প সময়ের খেলা যে, এক দুটা ওভারে মোমেন্টাম বদলে যায়। সো দুটা ওরকম। ওয়ানডেটা যেহেতু আমরা অনেকদিন ধরে ভালো খেলে আসছি। ওয়ানডেতে সবাই খুব ভালো টাচে থাকে, সবাই ওই বিশ্বাসটা করে। আমাদের ভেতর যেসব খেলোয়াড় আছে, অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও আছে যারা সব সময় খেলে। অবশ্য ওয়ানডেতে আমরা কমফোর্টেবল। সব সময়ই ভালো ক্রিকেট খেলি। ৪/৫ বছর ধরে ভালো রেজাল্টও করে আসছি। যে জিনিসটা সফলতা পায় অবশ্যই ওই জিনিসটায় সবাই বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকে।’
উইন্ডিজ থেকে আসার পরপরই মিরাজদের উড়াল দিতে হবে জিম্বাবুয়েতে। বিশ্রামের খুব বেশি সময় নেই। একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটাকে মেনে নিয়েই খেলতে হবে বলে জানান মিরাজ। তিনি বলেন, ‘ইনশাল্লাহ দেখেন আমরা পেশাদার খেলোয়াড়। আমাদের অবশ্যই খেলতে হবে। আমি মনে করি যে যতদিন ক্রিকেট খেলব এবং যেই খেলুক না কেন পেশাদার খেলোয়াড়দের এভাবেই হওয়া উচিত। কারণ দেখেন যে আমরা হয়ত চারদিন সময় পেয়েছি। তারপর আমাদের জিম্বাবুয়ে সিরিজ, তারপর হয়তো খুব তাড়াতাড়ি অনেক খেলা আছে। সো চারটা দিন পরিবারের সঙ্গে ইনজয় করার চেষ্টা করব।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের ধারাবাহিক ভালো করাটা ধরে রেখে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আরও ভালো করা সম্ভব বলে মনে করেন মিরাজ। তিনি বলেন,‘ ২০২৩ বিশ্বকাপ তো বেশি দূরে নেই। হয়তো ১ বছর ২/৩ মাস আছে। কিন্তু আমরা যেভাবে যাচ্ছি, আমাদের যেভাবে ওয়েটা আছে। সো আমি মনে করি এই প্রসেসে আগালে আমাদের সামনে বিশ্বকাপটা আরও বেশি ভালো হবে। কারণ অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও থাকবে। অলমোস্ট তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মুশি ভাই, রিয়াদ ভাই আছেন, তারা তো অনেক অভিজ্ঞ। তারপর আমি মোস্তাফিজ, লিটনরাও খেলেছে। অলমোস্ট আমরা যারা আছি তাদেরও পাঁচ বছর ক্যারিয়ার হয়ে যাবে আন্তর্জাতিক। সো মোটামুটি ভালো একটা একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলতে পারব।’
আগামী বিশ্বকাপের পর আর হয়তো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দেখা যাবে না সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহকে। তারা থাকা অবস্থাতেই বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব কি না? জবাবে মিরাজ বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের সবারই দায়িত্ব। কারণ আমরা অবশ্যই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করলে আমাদের নিজেদের জন্য যেরকম ভালো হবে দেশের জন্যও ভালো হবে। সো তারা থাকতে অবশ্যই বড় একটা অর্জন করার চেষ্টা করবো। কিন্তু এটা তো আপনি বলতে পারেন না যে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ানই হব। আমরা চেষ্টা করতে পারি, হয়তো ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। যে কীভাবে বিশ্বকাপটা জেতা যায় সে ওয়েটা আমরা বের করতে পারি। এটা তো লাকের উপর। আমরা তো স্বপ্ন দেখি এশিয়া কাপ জিতব, বিশ্বকাপ জিতব।
এমপি/