মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইমরুল-এনামুল-খালেদকে দলে ভিড়িয়েছে মোহামেডান

সময় যেন বহতা নদী। চলে আপন গতিতে। সময়কে যারা কাজে লাগাতে পারে তারা সফল হয়, যারা পারে না, তারা হয় ব্যর্থ। এ সময়কে কাজে লাগিয়েই এক সময় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব নিজেদের ইতিহাসে একের পর এক সাফল্য রচনা করেছে। পেয়েছে আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা। ঠাঁই করে নিয়েছিল দর্শক হৃদয়ের মনি কোঠায়। মোহামেডানের সাফল্যে যেমন বাঁধভাঙা জোয়ার তৈরি হতো, তেমনি ব্যর্থতায় তৈরি হতো হতাশার সাগর। ক্লাবের পরাজয়ে মারামারি করে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। এক মৌসুম চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে, তা হোক ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা হকি (এ তিনটি খেলায় মোহামেডানের ছিল দাপুটে বিচরণ), পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হতেই হতো। কদাচিৎ ঘটত এর ব্যতীক্রম। এখন সবই ইতিহাস। বর্তমান মোহামেডান যেন সেই ইতিহাসের কঙ্কাল! নেই কোনো সাফল্য। ‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়া কাকে বলে তা যেন ভুলতে বসেছে। ইদানিং আবার বেশ নড়চড়ে বসেছে ক্লাবটি। সর্বশেষ পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ফুটবল ও ক্রিকেটে শক্তিশালী দল গড়ে ধীরে ধীরে আবার আগের ইতিহাসে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে ক্রিকেটে।

মোহামেডান গত মৌসুমে জাতীয় দলের এক ঝাঁক তারকা ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়ে রীতিমতো বাজিমাত করেছিল। সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন, মিরাজ, সৌম্যর মতো ক্রিকেটাররা নাম লেখান মোহামেডান। তারায় তারায় ঝিলিক করতে থাকে মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটিতে। এ রকম তারকা নির্ভর দল মোহামেডান আগে গড়ত। সাম্প্রতিক সময়ে তা ছিল বিরল। আগের মতো সমর্থকদের সে রকম বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা না গেলেও এখনও যারা ক্লাবঅন্তঃপ্রাণ সমর্থক, তাদের চোখে-মুখে আনন্দের বাঁধভাঙা জোয়ার তৈরি হয়। দীর্ঘদিন পর আবার তারা শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বুনন করতে শুরু করেন। কিন্তু এ সবই ছিল রাজ্যের কল্পনা। কারণ মোহামেডান শিরোপা জেতা দূরে থাকে। আশে-পাশেও থাকতে পারেনি। এমন কী সুপার লিগেও উঠতে পারেনি। লিগে হয়েছিল সপ্তম।

মোহামেডান এক ঝাঁক তারকা খেলোয়াড়দের দলে ভেড়ানো ছিল অনেকটা বিদ্যুৎ চমকানোর মতো ঝিলিক। কারণ জাতীয় দলে ব্যস্ততার কারণে সাকিব-শফিক-মিরাজ মোহামেডানের হয়ে কোনো ম্যাচই খেলতে পারেননি। ইনজুরির কারণে তাসকিন ছিটকে যান। মাহমুদউল্লাহ খেলেন সাতটি ম্যাচ। গতবারের ব্যর্থতা ভুলে শিরোপা জেতার জন্য মোহামেডান এবারও তারকা নির্ভর দল গড়েছে। যদিও পরবর্তী মৌসুমের লিগ শুরুর তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু মোহামেডান দল-বদলের কাজটি সেরে রেখেছে। মোহামেডানের মতো অনেক ক্লাবই নিজেদের কাজটি করে রেখেছে।

মোহামেডানের কর্মকর্তাদের ইচ্ছে ছিল গতবারের দল ধরে রাখার পাশাপাশি কিছু নতুন খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়ে গতবারের দুর্বলতা ঢাকার। কিন্তু সে সুযোগ তারা পাননি। গতবার মুশফিক ও মিরাজ মোহামেডানের হয়ে কোনো ম্যাচ না খেলাতে পরে তারা ছাড়পত্র নিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে খেলেন। লিগে শেখ জামাল চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। এবার এই দুই ক্রিকেটারকেই শেখ জামাল আর ছাড়েনি। যদিও মিরাজের ব্যাপারে মোহামেডানের আপত্তি আছে বলে ক্লাব সূত্রে জানা গেছে। গতবার শেখ জামালে খেলার জন্য ছাড়পত্র নেওয়ার সময় মোহামেডান থেকে নেওয়া অগ্রিম টাকা মুশফিক সম্পূর্ণ ফেরত দিলেও মিরাজ আংশিক দিতে পেরেছিলেন। বাকি টাকা পরের মৌসুমে মোহামেডানে খেলে সমন্বয় করে দেবেন বলে মিরাজ লিখিত দিয়েছিলেন। মোহামেডানের কর্মকর্তাদের বিশ্বাস মিরাজ তার কথা রাখবেন।

মোহামেডান গতবারের ক্রিকেটারদের মাঝে ধরে রেখেছে মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন, সৌম, নাজমুল ইসলাম অপু, আব্দুল মজিদ, শুভাগত হোম, আরিফুল ইসলাম, মুশফিক হাসানকে। ছেড়ে দিয়েছে পারভেজ ইমন, জাহিদুজ্জামান, ইয়াসির আরাফাত, সোহরাওয়ার্দী শুভ, রুবেল মিয়া, হাসান মাহমুদ, সালাহউদ্দিন শাকিলকে।

মোহামেডান নতুন খেলোয়াড় সংগ্রহে চমক দেখিয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে দলে ভিড়িয়ে। গতবার তার নেতৃত্বেই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এ ছাড়া বিপিএলে তার নেতৃত্বই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। গতবার লিগে ইমরুল কায়েস নেতৃত্বের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১৫ ম্যাচে রান করেছিলেন ৫১৩। একটি সেঞ্চুরি আর তিনটি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। লিগে তিনি ছিলেন দশম সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। এবার তার নেতৃত্ব আর ব্যাটিং দুইটিই পাবে মোহামেডান। ইমরুল কায়েসের মতো মোহামেডান দলে ভিড়িয়েছে আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক এনামুল হক জুনিয়রকে। গতবার লিগে তিনি রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন।

মোহামেডান অভিজ্ঞদের পাশাপাশি নিয়েছে তরুণদেরও। যেখানে সর্বাগ্রে নাম আসবে জাতীয় দলে সাদা পোশাকের পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদের। এ ছাড়াও তারা নিয়েছে আরেক তরুণ পেসার রুহেল মিয়াকে। গতবার তিনি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে না লেখালেও কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। মোহামেডানের আগ্রহ ছিল গতবার লিগে বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে হাজার রান করা প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে। কিন্তু বিজয়কে দলে টেনে নিয়েছে আবাহনী।

মোহামেডানের খেলোয়াড় ধরে রাখা-ছেড়ে দেওয়া আর নিয়ে আসার পর বাকি থাকল সাকিবের বিষয়টি। মোহামেডান সুপার লিগে উঠতে না পারার কারণে গতবার তিনিও মুশফিক-মিরাজের মতো ক্লাবের হয়ে কোন ম্যাচ খেলতে পারেননি। পরে ছাড়পত্র নিয়ে খেলেছিলেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে। এবারও তাকে ধরে রাখতে চায় মোহামেডান। কিন্তু সাকিবের ব্যাপরে আগ্রহ আছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে। আবার আবাহনীও তাকে চায়। তাই সাকিবের ঠিকানা কোথায় হবে তা নিশ্চিত নয়! সম্ভাবনা বেশি আবাহনীতে খেলার। একটি সূত্রে জানা গেছে সাকিবেরও ইচ্ছে সে রকমই।

এমপি/এসএন

 

Header Ad

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে হত্যা, গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এর আগে, মুফতি হারুন ইজহারের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার ও এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদ।

Header Ad

এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ

ফাইল ছবি

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছিনা, এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপরে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এটি জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা সরকার দেখবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দিতে চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন হতে পারে। তবে আইন শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের পর্যায়ে গেলে সেটি দেখা হবে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তবে এটা কতটা বিকশিত হবে সে দায়িত্ব সাংবাদিকদের- এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কম। এখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংবাদকক্ষগুলোকে। তাৎক্ষণিক ভোল পাল্টানো সমাধান নয়, সত্য স্বীকারের মাধ্যমে জাতীয় পুনর্মিলন সম্ভব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না। এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে। আমরা চাই না, আগের আমলের মত পুলিশ জনতার বুকে গুলি চালাক। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

মূলত বিশ্বের প্রতিটি বিপ্লবের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এরকম অবনতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর করা, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা সরকার সমর্থন করে না। এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে টলারেট (সহ্য) করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো নিয়ে একটি উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি কয়েক দিন ধরে। গতকালও এ রকম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল অফিসের সামনে। আজকে রাজশাহীতে তাদের অফিসে ভাঙচুর হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের বক্তব্যটি হচ্ছে, কোনো গণমাধ্যম বা পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি জনগণের কোনো অংশের অভিযোগ থাকে, ক্ষোভ থাকে, তারা সেটি প্রকাশ করতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে, ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে প্রকাশ করে। মানুষের সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেন জনগণ অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে যেন আমরা বিরত থাকি।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধর্মের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারপর দিবাগত রাত ১২টার বিশেষ স্কটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় রাখা হয়। ‌চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাকে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

পুনশ্চ, অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি