সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৩৬৫ রানে থামল বাংলাদেশ, মুশফিক অপরাজিত ১৭৫

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে অলআউট করতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। ২৪ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের ইনিংস গিয়ে থেমেছে ৩৬৫ রানে। শেষ ব্যাটসম্যান এবাদত রান আউট হলে যবনিকা ঘটে বাংলাদেশের ইনিংসের। তখন মাথা উঁচু করা ১৭৫ রানে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম।

লাঞ্চের এক মিনিট আগে বাংলাদেশের নবম উইকেটের পতন হলে আধা ঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়েছিল শেষ উইকেটের পতনের লক্ষে। এবাদতকে নিয়ে মুশফিক এই সময় পার করে দেন। কিন্তু লাঞ্চের পর আরও বেশি সময় টিকতে পারেননি। মাত্র ৩.২ ওভার খেলে পাঁচ রান যোগ হওয়ার পরই এবাদত রান আউট হয়ে যান। লাঞ্চের আগেও তিনি একবার রান আউটের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন উইকেট কিপার ডিকাভেলা বল ধরতে না পারলে। পরে সেই রান আউটই হলেন। রাজিথার বলে কঠিন দুই রান নিতে গিয়ে এবাদত আর পৌঁছাতে পারেননি। ইনিংসে ষষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি শূন্য রানে আউট হন। এবাদত এভাবে রান আউট হওয়াতে ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকার পরও মুশফিককে হতাশ হতে দেখা যায়। কারণ তার সামনে ছিল চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। তার এই ইনিংসের পর আছে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস। এই তিনটি ইনিংস হলো- অপরাজিত ২১৯, অপরাজিত ২০৩ ও ২০০। প্রথম দুইটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, অপরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি ছিল তার প্রথম।

প্রথম দিন টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর ২৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল যখন অকুল ধরিয়াতে ভাসছিল তখনই সেখানে মাঝি হয়ে হাজির হন মুশফিক ও লিটন। দুইজনে ষষ্ট উইকেট জুটিতে রেকর্ড গড়া ২৭২ রান করে বাংলাদেশের জন্য ত্রাতা হয়ে উঠেন। প্রথম দিনে আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি তারা। লিটন আউট হন আজ সকালে প্রথম সেশনে ক্যারিয়ারের সেরা ১৪১ রান করে। পরে তাইজুলকে নিয়ে মুশফিক ৪৯ রান যোগ করলে বাংলাদেশের ইনিংস ৩০০ রান ছাড়িয়ে সাড়ে তিনশ অতিক্রম করে ৩৬৫ রানে গিয়ে থামে। তাইজুল আউট হয়েছিলেন ১৫ রানে। মুশফিক, লিটন ও তাইজুল ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করতে পারেননি। মুমিনুল ৯ ও নাজমুল ৮ রান করেন। ছয়জন ব্যাটসম্যান আউট হন শূন্য রানে। তারা হলেন-দুই ওপেনার মাহমুদুল, তামিম, সাকিব, মোসাদ্দেক, খালেদ ও এবাদত। শ্রীলঙ্কার হয়ে কাসুন রাজিথা ৫৪ রানে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেন। আশিতা ফার্নান্ডো চার উইকেট নেন ৯৩ রানে।

এসআইএইচ

 

Header Ad

হামলার পেছনে ইউসিবি গ্রুপ

মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ

অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলায় ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) প্রায় ৭০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি এ দাবি করেন।

অধ্যক্ষ নয়ন বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলায় আমাদের ১২তলা ভবনের কোনো কাঁচ আর অক্ষত নেই। ৫টি লিফট, কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট, ৩ শতাধিক ফ্যান, প্রায় ৩০টির মতো ল্যাপটপ, অসংখ্য কম্পিউটারসহ মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস লুট করেছে। এতে করে প্রায় ৭০ কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে।

এ সময় তিনি ঘটনার জন্য ন্যাশনাল মেডিকেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউসিবি নামের একটি গ্রুপ থেকে হামলার উসকানি ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ নয়ন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে আমরা ভাবিনি। আমাদের সব ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কুচক্রী মহল কাজ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা আমরা চাই না।

হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখেনি বলেও অভিযোগ করেন ডিএমআরসি অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, সকাল থেকেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় তারা দূরে থেকে পরিস্থিতি দেখেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ঘটনাস্থলে থাকা ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। আমরা চাই না দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এভাবে আক্রান্ত হোক। কলেজ ভার্সাস কলেজ প্রতিযোগিতা হোক, মারপিট হোক এটা কিন্তু আমরা কখনো চাই না। আমি সব কলেজের গভর্নিং বডি এবং অভিভাবককে বলব, আপনাদের সন্তানকে বাসায় রাখুন। এটা আলোচনার মধ্যে সমাধান হবে। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, এই জাতীয় সমস্যা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিকেল চারটায় তাদের সঙ্গে বসেছি। আমরা চেষ্টা করছি আলাপ-আলোচনার মধ্যে যেন সমাধান হয় সে প্রচেষ্টা আমরা রাখব। সর্বশক্তি দিয়ে আমরা এটা অব্যাহত রাখব। বর্তমানে আমাদের সঙ্গে র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। সবার প্রচেষ্টায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Header Ad

ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত

সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।

সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।

মামলার আসামিরা হলেন- ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু(৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ।

Header Ad

সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের মঙ্গলবারের (২৬ নভেম্বর) চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৩ সালের চতুর্থ বর্ষ স্নাতক পরীক্ষার সময়সূচি থেকে মঙ্গলবারের (২৬ নভেম্বর) পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো। তবে স্থগিত করা পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি শিগগির ঘোষণা করা হবে।

এছাড়া পূর্বঘোষিত সময়সূচির অন্যান্য পরীক্ষা অপরিবর্তিত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রবিবার ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি করেছে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীরা। ফলে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে বেশ খানিকটা সময় প্রয়োজন। যার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি