ইনুজরির মিছিলে নাঈম, বিকল্প নেই!
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলে ইনজুরির মিছিল যেন থামছেই না। একজন সুস্থ হয়ে উঠলে আরেকজন ইনজুরিতে পড়ছেন। এই ধারা শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে। এ সব ইনজুরি আবার বোলিং বিভাগে। প্রথমে পেসাররা, পরে সেখানে শামিল হন স্পিনাররাও। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন দিমুখ করুনারত্নের ব্যাটিংয়ের সময় ফিল্ডিং করতে গিয়ে তিনি ডান হাতের মধ্যম আঙ্গুলে চোট পেয়েছিলেন। পরে চোটগ্রস্ত আঙ্গুল নিয়েই তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করে যান। তার বোলিং দেখে কেউই টের পাননি যে নাঈম এভাবে ইনজুরি নিয়ে বোলিং করে যাচ্ছেন। ২৩ ওভার বোলিং করেন তিনি। যেখানে সাকিব ২৫ ও তাইজুল ৩৪ ওভার বোলিং করেছিলেন। চট্টগ্রাম টেস্টে শেষ হওয়ার পর নাঈমের এক্সরে করানোর পর সেখানে ফ্রাকচার ধরা পড়ে। তাকে সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগবে চার সপ্তাহের মতো। যে কারণে তার পক্ষে আর ঢাকা টেস্ট খেলা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রায় ১৫ মাস পর নাঈম ফিরেছিলেন জাতীয় দলে। তাও ইনজুরি আক্রান্ত ক্রিকেটারের পরিবর্তে। সেই ক্রিকেটার ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে শেখজামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে খেলতে গিয়ে একটি ম্যাচে মিরাজ ইনুজরিতে পড়েছিলেন। যা তাকে ছিটকে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ থেকে। এর ফলে সুযোগ পেয়ে যান নাঈম। ফিরেই তিনি বাজিমাত করেছিলেন। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করে ১০৫ রানে ছয় উইকেট নিয়ে। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হওয়াতে এক টেস্ট পর আবার ছিটকে গেলেন।
ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৩ মে। কিন্তু তার পরিবর্তে কাকে দলে নেওয়া হবে এ ব্যাপারে নির্বাচকরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। নাঈমের আগে শরিফুলও একইভাবে ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। তার পরিবর্তে কাউকে দলে না নিয়েই ঢাকা টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করা হয়েছিল। নির্বাচকরা যখন ঢাকা টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেন, তখন নাঈমকে দলে রাখা হয়েছিল। তার পরিবর্তে কাউকে দলে নিতে শনিবার (২১ মে) নির্বাচকরা নিজেদের মধ্যে আলাপ করবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচক কমিটির সদস্য হাবিুবল বাশার সুমন।
ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে আমরা যখন ঢাকায় ফিরছি, তখন নাঈমের বিষয়টি জানতে পারি। যেকারণে আমাদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি। আগামীকাল এ নিয়ে আলাপ করব।’
নাঈমের পরিবর্তে আদৌ কাউকে নেওয়া হবে কি না, তাও নিশ্চিত নয় বলে জানান হাবিবুল বাশার সুমন। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে অফ স্পিনারের অপশন কম। তারপরও আমরা আলোচনা করে ঠিক করবো কাউকে নেব কি নেব না?’
এমপি/আরএ/