আবারও ছিটকে গেলেন শরিফুল
ইনজুরি যেন পিছু ছাড়ছে না পেসার শরিফুলের। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েও কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি ইনজুরির কারণে। দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার পর তিনি পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন। যা তাকে ছিটকে দিয়েছিল সফর থেকে। পরে সফর শেষ হওয়ার আগেই আরেক ইনজুরিতে পড়া পেসার তাসকিনের সঙ্গে তিনিও দেশে ফিরে আসেন।
দেশে ফিরে আসার পর শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। এর আগে তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরেও পাঠানো হয়েছিল। সুস্থ হয়ে শরিফুল চট্টগ্রামে দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্টের একাদশে তাকে রাখাও হয়। কিন্তু শেষ করতে পারেননি টেস্ট। তার আগেই ইনজুরিতে পড়ে শুধু চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিন নয়, দ্বিতীয় টেস্ট থেকেও তিনি ছিটকে পড়েছেন। বিসিবির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানানো হয়। শরিফুল ছিটকে পড়লেও তার পরিবর্তে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য কাউকে দলে নেওয়া হয়নি।
শরিফুল ব্যথা পেয়েছিলেন চতুর্থ দিন দুইবার। কাসুন রাজিথার করা ১৬৭ নম্বর ওভারের তৃতীয় বলে প্রথমে তার ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে আঘাত করে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে শরিফুল ব্যাটিং করে যান। কিন্তু ১৭০ নম্বরে ওভারের প্রথম বলে ব্যাটিং করার সময় আঘাত পান। এরপর তিনি মাঠ ছেড়ে বের হয়ে আসেন। পরে এক্সরে করানোর পর রিপোর্টে দেখা যায় তার ডান হাতের কনিষ্ট আঙুলে চিড় ধরেছে। সুস্থ হয়ে উঠতে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ সময়ের প্রয়োজন হবে।
বিসিবির ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম বলেন, ‘চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ের সময় শরিফুল ইসলাম ডানহাতে ব্যথা পাওয়ার পর দিনের খেলা শেষে তার এক্স-রে করানো হয়। রিপোর্টে দেখা যায় তার ডান হাতের পঞ্চম আঙুলে চিড় ধরা পড়েছে। এ রকম ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে তিন সপ্তাহ লাগে। সঙ্গে দুই সপ্তাহের রিহ্যাবে থাকতে হয়। যে কারণে তাকে পেতে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ সময় লাগবে।’
শরিফুলকে দ্বিতীয় টেস্টে হারালেও প্রথম টেস্টে তার শূন্যতা অনুভব করবে দল। কারণ আজ শেষ দিন তাকে ছাড়াই শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। শরিফুল প্রথম ইনিংসে ২০ ওভারে তিন মেডেন নিয়ে ৫৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থেকে ছিলেন। পরে ব্যাট হাতে তিন রানে অবসরে যান।
এমপি/এসএন