তাইজুলে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
তাইজুলের ঘূর্ণিতে চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পঞ্চম ও শেষ দিনের প্রথম শেসনেই বাংলাদেশ সফরকারি শ্রীলঙ্কার দুই উইকেট তুলে নিয়েছে। তাদের রান চার উইকেটে ১২৮। এগিয়ে আছে মাত্র ৬০ রানে। এই সেশনে তারা সংগ্রহ করেছে দুই উইকেটে ৮৯ রান। শ্রীলঙ্কার রক্ষাকবচ হয়ে আছেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ৪৪ ও ধনাঞ্জায়া ডি সিলভা ১২ রানে। লঙ্কানদের পতন হওয়া তিন উইকেটের সব কটিই নিয়েছেন তাইজুল। এমনকি রান আউটটিতেও ছিল তাইজুলের একক অবদান। দিনের খেলার বাকি এখনো দুই সেশন। বাংলাদেশ যদি দ্রুতই লঙ্কানদের অলআউট করে দিতে পারে, তাহলে টার্গেট খুব বেশি দাঁড়াবে না। সেক্ষেত্রে জয়ের জন্য একটা চেষ্টা করে দেখতেই পারে। তবে প্রথম সেশনে ম্যাচের যে চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে, তাতে করে একটি রোমাঞ্চকর সমাপ্তিই অপেক্ষা করছে।
এই যে ম্যাচের যে চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে, যেখানে রোমাঞ্চকর সমাপ্তির পূর্বাভাস দিচ্ছে, তা কিন্তু দিনের প্রথম ঘণ্টায় ছিল না। আগের দিন ৩৯ রানে লঙ্কানদের দুই উইকেট তুলে নেয়ার পর সফরকারিরা বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল। ফুরফুরে হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ শিবির। শেষ দিন লঙ্কানদের যতো দ্রুত সম্ভব রান করতে না দিয়ে অলআউট করার চেষ্টা করবে- এমন ছবি মনে মনে এঁকেই রাতে সবাই ঘুমাতে গিয়েছিল বাংলাদশ দল। কিন্তু দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই সব কিছু ওলট-পালট হয়ে যায়। কোথায় লঙ্কানদের আটকে রাখা হবে, সেখানে তারা আগ্রাসী। মারমুখী ব্যাটিং করে দ্রুতই রান করছে। এক প্রান্তে অধিনায়ক করুনারত্নে দেখে-শুনে খেললেও অপরপ্রান্তে দিনের শুরুতে তার নতুন সঙ্গী কুশাল মেন্ডিস ছিলেন মারমুখী মেজাজে। তার মারমুখী ব্যাটিংয়ের কারণে প্রথম ঘণ্টায় লঙ্কানদের রান উঠে ১৩.৫ ওভারে ৬৭। কুশাল মেন্ডিসের রান ছিল ৪১ বলে ৪৮। কুশাল মেন্ডিস যখন ক্রিজে আসেন, তখন করুনারত্নের রান ছিল ১৯। সেখানে প্রথম ঘণ্টায় তিনি কুশাল মেন্ডিসের পেছনে পড়ে যান। তার রান ছিল ৯০ বলে ৩৪। কিন্তু পানি পানের বিরতির পরই খেলার চিত্রনাট্য বদলে যায়।
সেখানে ঘাতক হয়ে দেখা দেন তাইজুল। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই তিনি ফিরিয়ে দেন মারমুখী কুশাল মেন্ডিসকে। তার বল পা বাড়িয়ে রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। বল গিয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। শেষ হয় তার এক ছক্কা ও আট চারে সাজানো ৪৩ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। এক ওভার পর তিনি বড় আঘাত হানেন প্রথম ইনিংসে মাত্র এক রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি করতে না পারা ম্যাথিউসকে আউট করে। ১৫ বল খেলে কোনো রানই করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তাইজুলকে উড়িয়ে খেলতে গিয়ে তার হাতেই ক্যাচ দেন ম্যাথিউস। পরের ওভারে তাইজুল পেতে পারতেন আরেকটি উইকেট। ব্যাটসম্যান ছিলেন করুনারত্নে। এই ওভারে দুই দুইবার তিনি কঠিন ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান। প্রথমে উইকেট ছেড়ে বের হয়ে এসে খেলতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন। কিন্তু ফিল্ডার মাহমুদুল হাসান জয় তা ধরতে পারেননি। বল তার একটু সামনে পড়ে। এক বল পর লেগ স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন। ফিল্ডার ছিলেন ইয়াসির আলী। কিন্তু বল পড়ে তারও সামনে। ফলে পারেননি ধরতে।
এসএন