৩ উইকেট হারালেও তামিম টিকে আছেন
বিনা উইকেটে ১৬২ থেকে তিন উইকেটে ১৮৪। ২২ রানে নেই তিন উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে পটাপট তিন উইকেট হারিয়ে বংলাদেশ শুরুর সূচনটা ধরে রাখতে পারেনি। যেভাবে রান করে যাচ্ছিল, তাতে করে লঙ্কানদের কপালে চিন্তার ভাজ রেখা ক্রমেই কড় হচ্ছিল। পটাপট তিন উইকেট তাদের খেলায় ফিরে আনার একটা রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে।
দ্রুত তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশের জন্য মনোকষ্টে কারণে হলেও আনন্দের সংবাদ হলো একবার রিভিউ নিয়ে এবং একবার জীবন পেয়ে তামিম ইকবাল এখনো অক্ষত আছেন ১৩৩ রানে করে। তার সঙ্গে ১৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম। চা বিরতিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ২২০। এই শেসনে বাংলাদেশ তিন উইকেটে ৬৩ রান যোগ করে।
বাংলাদেশ মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল উৎফুল্ল চিত্তে। একদিকে কোনো উইকেটে পড়েনি। তামিম-মাহমুদুলের উদ্বোধনী জুটি অক্ষত। অপরদিকে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। যে কারণে মধ্যাহ্ন বিরতির পর সব আকষর্ণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি। সেই সেঞ্চুরির দেখা পেতে তার খুব বেশি সময় লাগেনি। মধ্যাহ বিরতির চতুর্থ ওভারেই তিনি কাঙিখত দধম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান ১৬২ বলে ১২ বাউন্ডারিতে।
কিন্তু তার আগেই হারাতে হয় সঙ্গি মাহমুদুল হাসান জয়কে। মধ্যাহ্ন বিরতির দ্বিতীয় ওভারেই আর কোনো রান না করেই মাহমুদুল ফিরে যান আশিতা ফার্নান্ডোর বলে স্লিপে নিরোশান ডিকাভেলার হাতে ক্যাচ দিয়ে। জুটি ভাঙ্গে ১৬৩ রানে। এই রান প্রথম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের চতুর্থ সেরা। তাদের সামনে আছে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের ১৮৫, ২২৪ ও ৩১২ রানের তিনটি জুটি। এই জুটি ভাঙ্গার পর নাজমুল হাসান শান্ত ও মুমিনুল হক দ্রুতই বিদায় নিলে চাঙ্গা হয়ে উঠে লঙ্কাননা।
দুই জনেই দ্ইু রান করে আউট হন ষষ্ট বোলার হিসেবে বল হাতে তুলে নিয়েই কাসুন রাজিতা নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচে পরিণত করেন উইকেটের পেছনে ডিকাভেলার হাতে। এই কাসুন রাজিতা এই টেস্টে ছিলেনই না। তিনি বিশ্ব ফার্নন্ডোর কনকাশন সাব হিসেবে খেলছেন তৃতীয় দিন থেকে। প্রথম ওভারেই তিনি শুধু সাফল্য পাননি। পরে অধিনায়ক মুমিনুল হককে বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেয়ার পাশাপাশি মুমিনুলের ব্যর্থতার পাল্লা আরও ভারী করে তুলেন। মুমিনুল এই নিয়ে টানা পাঁচ ইনিংসে এক অংকের ঘরে আউট হলেন।
এমপি/এমএমএ/