দশম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তামিম
আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু করার পর উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করে ফেলেন। কিন্তু অপরপ্রান্তে রিলে দৌড়ের বাটন পরিবর্তনের মতো সঙ্গী পরিবর্তন হতেই থাকে। সেই জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লু-শাহরিয়ার নাফিস থেকে শুরু করে সর্বশেষ মাহমুদুল হাসান জয়। এই জয়ের সঙ্গেও তামিম ইকবালের শুরুর রসায়নটা ভালো হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকাতে দুজনে প্রথম জুটি বেধেছিলেন। মাহমুদুল হাসানর জয় উভয় ইনিংসে কোনো রানই করতে পারেননি। তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটি বাঁধার আগে তিনি নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করেছিলেন। যে কারণে উভয় ইনিংসে কোনো রান না করার পরও তার উপর আস্থা হারানোর কোনো কারণ ছিল না। চট্টগ্রাম টেস্টে খেলতে নেমে দুই জনে মিলে উপহার দিয়েছেন ১৬২ রান। আর তামিম ইকবাল পেয়ে গেছেন নিজের ক্যারিয়ারের দশম শতকের দেখা। তার উপরে আছেন ১১ সেঞ্চুরি করে অধিনায়ক মুমিনুল হক।
ইনজুরির ও ব্যক্তিগত কারণে মাঝে প্রায় এক বছরের মতো ২২ গজের বাইরে ছিলেন তামিম ইকবাল। এ সময় তিন ফরম্যাটেই কোনোটিতেই তাকে দেখা যায়নি। আবার ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়ে। দীর্ঘ বিরতিতে ফিরলেও তারে ব্যাটে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। ওয়ানডে সিরিজে অপরাজিত ৮৭ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন। অপর দুইটি ইনিংস ছিল ১ ও ৪১ রানের। একটি টেস্ট খেলে উভয় ইনিংসে করেছিলেন ৪৭ ও১৩ রান। এবার হাঁকালেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার। আশিত ফার্নান্ডোর বল স্কয়ার লেগে খেলেই তামিম হেলম্যাট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন। ১৬২ বলে খেলে ১২ চারে তিনি সাজানো তার সেঞ্চুরির ইনিংস। আগের দিনের ৩৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে ৭৩ বলেই পেয়ে যান ৩২তম হাফ সেঞ্চুরি। লাঞ্চের সময় তার রান ছিল ৮৯। তবে তামিমের সেঞ্চুরি দেখে যেতে পারেনি মাহমুদুল হাসান জয়। তার সেঞ্চুরির একটু আগেই তিনি আউট হয়ে যান ৫৮ রানে।
তামিম ইকবালেল এই সেঞ্চুরি ছিল ২০১৯ সালের পর। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাামিলটনে তিনি করেছিলেন ১২৬ রান। এরপর তিনি দুইটি ইনিংসে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েছিলেন। ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে তিনি দুটি টেস্টেই আউট হয়েছিলন ৯০ ও ৯২ রানে। এ ছাড়া ৭৪ রানের ইনিংসই ছিল তিনটি। যার একটি ছিল আবার অপরাজিত। একটি ৫০ রানের ইনিংসও ছিল।
তামিম ইকবাল প্রথম সেঞ্চুরি করেন ২০০৯ সালে কিংস্টনে উইন্ডিজের বিপক্ষে ১২৮ রানের ইনিংস খেলে। এরপর একে একে সেঞ্চুরির ইনিংসগুলো ছিল যথাক্রমে ১৫১, ১০৩, ১০৮, ১০৯, ১০৯, ২০৬, ১০৪, ১২৬।
এমপি/আরএ/