সুযোগ কাজে লাগাতে মুখিয়ে নাঈম
চট্টগ্রামের ছেলে অফ স্পিনার নাঈম হাসান। ২০১৮ সালে এই চট্টগ্রামেই উইন্ডিজের বিপক্ষেই তার অভিষেক হয়েছিল। আর অভিষেকেই ৫ উইকেট নিওেয় বাজিমাত করেছিলেন। কিন্তু শুরুর সেই ঝলক পরবর্তিতে আর ধরে রাখতে পারেননি। ফলে দলে হয়ে পড়েন অনিয়মিত। চলে আসা-যাওয়াার খেলা।
এই প্রক্রিয়া তিনি সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন উইন্ডিজের বিপক্ষে ২০২১ সালে মিরপুরে। এরপর আবার ফিরে এসেছেন আসন্ন শ্রীলঙ্কার ব্পিক্ষে হোম সিরিজে। এই ফিরে আসাটা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারত যদি মেহেদি হাসান মিরাজ প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লিগে ইনজুরিতে না পড়তেন।
দলে ডাক পাওয়ার পর রবিবারে ঢাকায় রির্পোটিং করে সবার সঙ্গে চলে গেছেন চট্গ্রামে। এখানে ১৫ মে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে নিজ এলাকাতে আবার ফেরা হতে পারে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে। সেরা একাদশে ফিরবেন এই আশায় বুক বেঁধে নিজেকে তৈরি করে নিচ্ছেন ২২ বছর বয়সী এই তরুন। সুযোগ পেলে সুযোগ কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর। নিচ্ছেন সেভাবেই প্রস্তুতি।
দেখছেন প্রতিপক্ষের ভিডিও। যাতে করে তার প্রস্তুতি ভালো হয় আর সুযোগ পেলে সাফল্য পেতে হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। আজ চট্টগ্রমে অনুশীলন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওদের ভিডিও দেখেছি আমি। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করা আছে। যদি সুযোগ পাই ভিডিও দেখার সুবিধাটা কাজে লাগতে পারে। ওদের দল দেখে সবারই ভিডিও দেখেছি।’
দলে আবার ফিরে আসতে পেরে খুশি নাঈম হাসান বলেন, ‘চিন্তা করছি আমার শতভাগ দেওয়ার আর নিজের প্রক্রিয়া ঠিক রাখার। আল্লাহর রহমতে খুব ভালো লাগছে। আবার সুযোগ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ বড় ভাইদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করতে খুব ভালো লাগে। ওদের থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। এখানকার পরিবেশও খুব ভালো।’
নাঈম সুযোগ পেলে মিরাজের শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। মিরাজ এক প্রান্ত থেকে লম্বা সময় ধরে বোলিং করে যান। নাঈমকেও সেই কাজটি করতে হবে। তা করার জন্য তিনি প্রস্তুত বলেও জানান। এনসিএল ও বিসিএলে লম্বা সময় ধরে বোলিং করার অভিজ্ঞতা আছে । এ নিয়ে তিনি স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গণা হেরাথের সঙ্গেও কথা বলেছেন জানিয়ে নাঈম বলেন, ‘টেস্টে একটা জায়গায় লম্বা সময় বোলিং করতে হয়। ও বলছিল ঐ জায়গায় ধৈর্য রেখে বল করতে হবে। সোহেল স্যারদের সাথে কাজ করেছি, এটা নিয়েও ওর সাথে কথা হয়েছে। জিজ্ঞেস করল কী কী কাজ করেছি। আমরা তো চার দিনের ম্যাচ খেলি বিসিএল, এনসিএল। ওখানেও তো লম্বা সময় বল করতে হয়। সমস্যা হবে না।’
বোলিংয়ের পাশাপাশি নাঈম হাসান ব্যাট হাতেও বেশ সফল। তবে তা ঘরোয়া ক্রিকেটে। জাতীয় দলের হয়ে এখনো সেভাবে নিজেকে ব্যাট হাতে প্রমাণ করতে পারেননি। এবার সুযোগ পেলে ব্যাট হাতেও দলে ভুমিকা রাখতে চান। জানান ব্যাট হাতে নিলে নিজেকে তার ব্যাটসম্যানই মনে হয়। তিনি বলেন, ‘ব্যাট হাতে নিয়ে নামলে নিজেকে ব্যাটসম্যান মনে করি। যতটা পারি দলে অবদান রাখার চেষ্টা করি।’
সুযোগ পেলে নাঈমকে সাকিবের সঙ্গে মিলে আক্রমণে যেতে হবে। এটা তার জন্য অনেক বড় পাওয়া বলে নাঈম মনে করেন। তিনি বলেন, ‘সাকিব ভাই থাকলে তো দলের একটা বোলার একটা ব্যাটসম্যান বেশি পাওয়া যায়। সঙ্গে উনি বোলারদের অনেক সহায়তা করেন।
এমপি/এমএমএ/