সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রত্যাবর্তনে রিয়াল মাদ্রিদের শেষ মুহূর্তের যাদু

ছবি: সংগৃহীত

অবিশ্বাস্য! বাস্তবে একই ঘটনা বারবার ঘটতে পারে? এ যেন কল্পনাকেও হার মানানো। এমন ঘটনা গল্পে বা সিনেমার চিত্রনাট্যে লেখকের ইচ্ছায় দেখা যেতে পারে যত্রতত্র। তাই বলে বাস্তবে? একবার বা দুইবার নয়, তিন তিনবার। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদ নকআউট পর্বের শেষ ষোলো থেকে শুরু করে কোয়ার্টার ফাইনাল, এরপর সেমি ফাইনালেও তারা প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে পৌঁছে গেছে ফাইনালে। যেখানে তারা সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলকে। দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে ২৮ মে প্যারিসে।

রিয়াল মাদ্রিদ এই অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখার পথে একে একে পেছনে ফেলেছে শেষ ষোলোতে ফ্রান্সের প্যারিস সেন্ট জার্মাইকে (পিএসজি), কোয়ার্টার ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের চেলসিকে। সর্বশেষ বুধবার (৪ মে) রাতে ইংল্যান্ডের আরেক ক্লাব বর্তমান রানার্সআপ ম্যানচেষ্টার সিটিকে।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রত্যাবর্তনের অনেক গল্প আছে। কিন্তু সেগুলো ছিল কোনো কোনো আসরে কোনো একটি নির্দিষ্ট ক্লাবের একটি নির্দিষ্ট ম্যাচে। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের মতো এক আসরে টানা তিন ম্যাচে এ রকম প্রত্যাবর্তনের ঘটনা ফুটবলে বিশ্বে এই প্রথম।

প্রত্যাবর্তেনের সেরা গল্প বলা যায় বার্সেলোনার ক্ষেত্রে। ২০১৬ সালে পিএসজির মাঠে ৪-০ গোলে হেরে ন্যু ক্যাম্পে নিজেদের মাঠে খেলতে নেমেছিল বার্সেলোনা। পিএসজি ফাইনালে, ফুটবল খেলা যিনি বুঝেন না, তিনিও পিএসজির পক্ষে বাজি ধরবেন। কিন্তু মেসি-নেইমার-সুয়ারেজের সমন্বয়ে গড়া আক্রমণভাগ হাল ছাড়তে রাজি ছিল না। খেলা শেষ হওয়ার ৩ মিনিট আগে ৩ গোল করে তারা ৬-১ গোলে ম্যাচ জিতে অবিশ্বাস্য ঘটনার জন্ম দিয়েছিল ফুটবল বিশ্বে। ৫০ মিনিটে বার্সেলোনা ৩ গোল করার পর ৬২ মিনিটে কাভানির গোলে পিএসজির পাল্লা আবার ভারী হয়ে উঠে। খেলা গড়াচ্ছে শেষের দিকে। পিএসজিকে টপকাতে হলে বার্সেলোনাকে করতে হবে আরও ৩ গোল যা এক কথায় অবিশ্বাস্য। কারণ খেলা শেষ হতে বাকি মাত্র ২ মিনিট। সঙ্গে যোগ হবে কয়েক মিনিট ইনজুরি টাইম। ৮৮ মিনিটে ১ গোল ও ইনুজরি টাইমে আরও ২ গোল করে বার্সেলোনা জন্ম দিয়েছিল প্রত্যাবর্তনের সেরা গল্প।

যে রূপকথার জন্ম দিয়েছিল বার্সেলোনা, সেই বার্সেলোনাই নিজেরা আবার তার শিকার হয়েছিল ২০১৯ সালে। লিভারপুলের কাছে। নিজেদের মাঠে বার্সেলোনা জিতেছিল ৩-০ গোলে। কিন্তু লিভারপুলের মাঠে গিয়ে তারা ৪-০ গোলে হেরেছিল। ২০০৪ সালে ইতালির ক্লাব এসি মিলান কোয়ার্টার ফাইনালে স্প্যানিশ ক্লাব দেপোর্তিভো লা করুনার কাছে এ রকম ঘটনার শিকার হয়েছিল। প্রথমে নিজেদের মাঠে ৪-১ গোলে জিতে গিয়েছিল দেপোর্তিভোর মাঠে। কিন্তু সেখানে গিয়ে হেরে বসে ৪-০ গোলে। ফলে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে সেমিতে উঠে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি।

ফাইনালেও আছে এ রকম একটি প্রত্যাবর্তনের গল্প। এখানেও শিকার এসি মিলান। এবার তারা ফাইনালে শিকার হয় ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের কাছে। ২০০৫ সালে ইস্তামবুলে অনুষ্ঠিত ফাইনালে এসি মিলান এক পর্যায়ে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। ফাইনাল এখান থেকে শিরোপা না জেতার কোনো কারণই নেই। কিন্তু লিভারপুল সেখানে নতুন ঘটনার জন্ম দেয়। মালদিনির জোড়া ও ক্রেসপোর এক গোলে প্রথমার্ধেই এসি মিলান ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র ৩ ও ৬ মিনিটের ব্যবধান ৩ গোল পরিশোধ করে লিভারপুল অবিশ্বাস্যভাবে খেলায় ফিরে আসে। নির্ধারিত সময় খেলা ৩-৩ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে লিভারপুল ৩-২ গোলে জিতে এসি মিলানের মুখের খাবার কেড়ে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মেতে উঠে।

এ সবই হার মেনেছে রিয়াল মাদ্রিদের প্রত্যাবর্তনের কাছে। বিপদ সংকুল পথ পাড়ি দিয়ে এক একটি বাধা অতিক্রম করেছে। শেষ ষোলোতে তারা পিএসজির মাঠে ১-০ গোলে হেরে নিজেদের মাঠেও প্রথমে ১ গোল হজম করে আরও বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরে বেনজামার হ্যাটট্রিকে ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে ৩-২ ব্যবধানে বাধা অতিক্রম করে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে। এখানে তারা পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেলসিকে।

স্ট্যাম্পফোর্ড ব্রিজে চেলসির মাঠে তারা বেনজামার আরেকটি হ্যাটট্রিকে ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে সেমির পথে এক পা দিয়েই রাখে। কারণ খেলা হবে আবার নিজেদের মাঠে। কিন্তু এবার চেলসি জন্ম দিতে চেয়েছিল প্রত্যাবর্তনের নতুন গল্প। ১৫, ৫১ ও ৭৫ মিনিটে তারা ৩ গোল করে ২ লেগ মিলিয়ে তারা এগিয়ে যায় ৪-৩ ব্যবধানে। ৮০ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ একটি গোল পরিশোধ করে খেলায় সমতা আনে ৪-৪। এরপর খেলা গড়ায় ইনজুরি টাইমে। আর তখনই ত্রাতা হয়ে হাজির হন সেই করিম বেনজামা। ইনজুরি টাইমের ৬ মিনিটে তিনি গোল করে একই আসরে প্রত্যাবর্তনের দ্বিতীয় গল্প লেখেন। তারপর আসে সেমি ফাইনাল।

ম্যানসিটির মাঠে তারা ৪-৩ গোলে হেরে নিজেদের মাঠে আসে। বাঁধা অতিক্রম করতে হলে ২ গোলে জিততে হবে। সেখানে গোলই হচ্ছিল না। ৭৩ মিনিট গিয়ে উল্টো গোলই হজম করে বিদায়ের ধ্বনি শুনতে থাকে। খেলার শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষায়। যে কেনো সময় বাজতে পারে বাঁশি। আর রেফারির বাঁশি বাজলেই ফাইনালে টানা দ্বিতীয় বারেরমতো ফাইনালে উঠে যাবে ম্যানসিটি। আবার টানা দ্বিতীয়বারের মতো হবে অল ইংলিশ ফাইনাল। কিন্তু এই আসর যাদের প্রত্যাবর্তনের গল্পে ভরা তারা কী এতো সহজে বিদায়ের ধ্বনি শুনতে চাইবে? যেখানে আছেন আবার করিম বেনজামা নামে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এক ফুটবলার। তাইতো রেফারির শেষ বাঁশি বাজার আগেই ব্রাজিলিয়ান নতুন সেনসেশন রদ্রিগো ৯০ মিনিটে গোল করে দলকে উজ্জীবিত করে তুলেন। কিন্তু তখনো তাদের বিদায় ঘণ্টার শঙ্কা কাটেনি। ৫-৪ গোলে পিছিয়ে। এ সময় শুরু হয় ইনজুরি টাইম। ডিসপ্লেতে দেখানো হয় ৬ মিনিট। রিয়ালের জন্য পোয়াবারো। প্রথম মিনিটেই রদ্রিগো আবারও গোল করে দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন। এদিকে দুই লেগ মিলে খেলায় তখন সমতা ৫-৫। নির্ধারিত সময় খেলা শেষ হলে ফলাফল ৫-৫ থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৫ মিনিটেই ত্রাতা হয়ে হাজির হন সেই করিম বেনজামা। পেনাল্টি থেকে গোল করে তিনি দলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। যা দুই লেগ মিলে রিয়াল মাদ্রিদ প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় ৬-৫ গোলে। খেলার বাকি সময় ম্যানসিটির পক্ষে আর সম্ভব হয়নি। এই ব্যবধান কমানোর। ফলে এক আসরে রিয়াল মাদ্রিদ টানা তিন ম্যাচে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে।

এবার দেখার পালা ফাইনালে তারা লিভারপুলের বিপক্ষে কী করে?

এমপি/আরএ/

Header Ad

ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম আঙুলের চোটে পড়ে ইতোমধ্যেই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে পরেছেন। টেস্ট সিরিজে না থাকলেও আশা ছিল ওয়ানডে সিরিজে ফিরবেন মুশফিক। তবে সেই আশাতেও এবার দেখা দিয়েছে শঙ্কা। বিসিবির নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে যে চোট পুরোপুরি না সারায় মুশফিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামতে না পারার সম্ভাবনাই বেশি।

আঙুলের ইনজুরির কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকেই বাইরে ছিলেন মুশফিক। তখনই ধারণা করা হয়েছিল যে তার মাঠে ফেরা কিছুটা সময় লাগবে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে মুশফিক মাঠে ফিরতে পারেন বলে জানা গেছে।

এদিকে কুঁচকির চোটের কারণে টেস্ট সিরিজ মিস করা নাজমুল হোসেন শান্তর অবস্থা অনেকটাই উন্নতির দিকে। বিসিবি সূত্র বলছে, তার চোট নিয়ে করা এমআরআই রিপোর্ট সন্তোষজনক হলে ওয়ানডে সিরিজে ফিরতে পারেন তিনি।

এছাড়া গুঞ্জন রয়েছে, আবুধাবি টি-টেন লিগ শেষ করে ওয়ানডে দলে যোগ দিতে পারেন সাকিব আল হাসান। তবে বিসিবি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেওয়ায় এটি এখনো অনিশ্চিত।

বিসিবি চলতি সপ্তাহেই ওয়ানডে দল ঘোষণা করতে পারে বলে জানা গেছে। একদিকে মুশফিকের অনুপস্থিতি, অন্যদিকে সাকিব ও শান্তর সম্ভাব্য ফেরা—এসব মিলিয়ে দলের গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে কিপিং করার সময় চোট পান মুশফিক। এরপর থেকেই তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে। টেস্ট সিরিজে ফেরার আশাও ব্যর্থ হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজ দিয়েও ফেরা সম্ভব হলো না। এখন অপেক্ষা মুশফিককে চোটমুক্ত হয়ে ফের মাঠে দেখার।

Header Ad

জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-ঘোষিত এক দফায় ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দাবি তোলা হয়েছিল। গণ-অভ্যুত্থানের সফলতার পর নিজেরাই এ দাবি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে আরও একধাপ এগিয়ে এবার নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধীরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা নাহিদ ইসলামকে নেতৃত্বে রেখে দল গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরুর মাস জানুয়ারিতেই আলোচিত নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসতে পারে।

এখনও দলের নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দলটি তারুণ্যনির্ভর হচ্ছে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বিভিন্ন জেলা সফর করেছেন। ওই সময় নতুন দল গঠনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলন পরিচালনার জন্য গঠিত এই প্ল্যাটফর্মকে সাংগঠনিক রূপ দিতে গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। একই সঙ্গে গঠন করা হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কাজ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি। দল গঠনের প্রক্রিয়া নিয়েও কিছুদিন ধরে কাজ করছেন। তারা মনে করেন, বিপ্লব-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে মানুষ নতুন রাজনৈতিক শক্তিকে দেখতে চায়।

জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি দায়িত্বশীল সূত্র সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত জানিয়েছে, জানুয়ারিকে সামনে রেখেই তাদের প্রস্তুতি চলছে। জানুয়ারিতে তারা নতুন একটি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে পারেন। অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে নেতৃত্বে রেখেই তারা দল গঠনের চিন্তা করছেন।

সূত্রটি আরও বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের উদ্যোগেই নতুন এই দল হবে। নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা এবং বাইরের বিভিন্ন দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন হতে পারে এই দল। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে।

নতুন দল গঠন করলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি থাকবে। প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে এই দুটি সংগঠন।

নাম প্রকাশ না করে জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষপর্যায়ের এক নেতা বলেন, ‘নাহিদ ইসলামকে সামনে রেখে আমরা জানুয়ারিতে দল গঠনের বিষয়ে ভাবছি। সে ক্ষেত্রে তাকে দল গঠনের আগে উপদেষ্টার পদ ছাড়তে হবে। সবকিছু চূড়ান্ত হলে আমরা আশা করি, সেটি তিনি করবেন। নাগরিক কমিটি ঢাকাসহ দেশের সব থানাপর্যায়ে কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলাপর্যায়ে কমিটি করার কাজ করছে। জানুয়ারির মধ্যেই সেটি সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষপর্যায়ের আরেক নেতা প্রায় একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তারুণ্যনির্ভর দল গঠন করতে চাই। দেশের জনগণ তরুণ নেতৃত্বকেই বেছে নেবেন। তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে নাহিদ ইসলামকেই আমাদের যোগ্য মনে হয়েছে।’

জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের আলোচনা শুরু হয় গত সেপ্টেম্বরে। ৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র পুনর্গঠন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও ‘নতুন বাংলাদেশের’ রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সফল করার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির ৫৬ সদস্যের একটি কমিটি আত্মপ্রকাশ করে।

প্রায় একই সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও বিভিন্ন জেলায় সফর শুরু করেন। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫টি জেলায় তারা কমিটি ঘোষণা করেছেন। বাকি জেলাগুলোও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটি ঢাকায় ২০টির বেশি থানাপর্যায়ের কমিটি ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলার কমিটিও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে। এই কমিটিগুলো নতুন দল গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জানুয়ারির আগে আগে আমরা সব জেলার কমিটি ঘোষণা করব।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, রাজনৈতিক দলগুলোর গতানুগতিক ধারার যে রাজনীতি, সেটা থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য এবং বাংলাদেশের জনগণের অধিকার রক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন, শক্তিশালী করা একই সঙ্গে মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলাম রাইজিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে। ইতোমধ্যে আমরা ঢাকার ২০টি জেলায় কমিটি ঘোষণা করেছি এবং অন্য জেলাগুলোর অনেক থানাপর্যায়ের কমিটি প্রস্তুত আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, সে আহ্বানে সাড়া দিয়েই অভ্যুত্থানে যারা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন, শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত সদস্য, নারী, সামাজিক, সংখ্যালঘু, কৃষক, শ্রমিকশ্রেণি এবং এলাকাভিত্তিক সব জাতিসত্তার প্রতিনিধিত্ব কমিটিতে রাখা হচ্ছে।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ এবং উভয়ের কাছে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রস্তাব পৌঁছে দিতে গত ৮ আগস্ট গঠন করা হয় লিয়াজোঁ কমিটি।

সেদিন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার আগ মুহূর্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ছয় সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি ঘোষণা করেন। লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ঠিক এক মাস পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৮ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সেখানে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যদের প্রায় সবাই রয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘নতুন ধরনের রাজনৈতিক শক্তি, রাজনৈতিক দল অবশ্যই প্রয়োজন আছে। পুরনো দলগুলোর নির্ধারিত রাজনৈতিক আদর্শ আছে।

২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক ভাব, রাজনৈতিক ভাষা জনগণের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। এই নতুন ভাবভঙ্গি, ভাষা ধারণ করবেন তারা। এটা ধারণ করার জন্য নতুন রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রয়োজন আছে এবং সেটা আমরা দেখতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে তরুণরাই ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মূল চালিকাশক্তি, সে স্পিরিট ধারণ করার যোগ্যতম দাবিদার তারাই। ফলে তারুণ্যনির্ভর নতুন রাজনৈতিক দল অবশ্যই গঠন হবে। তারা যে যেখানেই থাকুক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একত্র হয়ে নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তি বা দলে রূপান্তরিত হবেন এবং সেটা নির্বাচনের আগেই। সে ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেকেই যুক্ত হবেন।’

নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে যে তরুণ সমাজ এবং নাগরিকরা এসেছেন, ওইসময় তাদের মধ্যে একটা উদ্যোগের আকাক্সক্ষা দেখেছি। তারা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে দেশ পুনর্গঠন চান।

সেই পুনর্গঠন ও উদ্যোগকে ফ্যাসিলিটেট করার জন্য গত ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করে। আমরা এর মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে বিভিন্ন জায়গায় কমিটি গোছাচ্ছি। ঢাকায় আমাদের ৫০ শতাংশ কমিটি গোছানো শেষ। সারা দেশেই কমিটি ঘোষণার কাজ চলমান।’

রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি জনগণের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের আকাক্সক্ষা ছিল, সেটি তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা আশা করি, আগামী এক দুই মাস পরই বাংলাদেশের মানুষের সামনে সুন্দরভাবে কোনো দলের বাস্তব রূপ আমরা দেখতে পাব।

এটি জাতীয় নাগরিক কমিটির একক কোনো উদ্যোগ নয়, এটা তরুণদের উদ্যোগ। জাতীয় নাগরিক কমিটি সে উদ্যোগকে ফ্যাসিলিটেট করবে। আমাদের একটা আকাক্সক্ষা, নতুন রাজনৈতিক দল শহীদ ও আহতদের যে আকাঙ্ক্ষা সে স্পিরিটটা তাদের ধারণ করতে হবে।’

সূত্র: দেশ রূপান্তর

Header Ad

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে কর্মরত চিকিৎসকরা সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নিতে বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাদের এই নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন দপ্তর কিংবা সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসকদের বৈদেশিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বছরে (সর্বশেষ ১২ মাস) সর্বোচ্চ দুইবার বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ কিংবা কর্মশালা ইত্যাদিতে যেতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত (দায়িত্ব পালনরত), কেবল সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অধ্যয়নরত সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গমন করতে পারবেন।

আমন্ত্রণকারী সংস্থার নিজস্ব ডোমেইনভুক্ত ওয়েবমেইল থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবমেইলে (secretary@hsd.gov.bd, cc: admin1@hsd.gov.bd) আমন্ত্রণপত্রের অনুলিপি বা কপি পাঠাতে হবে। আমন্ত্রণকারী সংস্থা যাবতীয় খরচ (ভিসা ফি, উভয় পথের বিমানভাড়া, আবাসন ব্যবস্থা বা খরচ ইত্যাদি) বহন করবেন বলে সংস্থা থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রমাণক হিসেবে দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া বৈদেশিক প্রমাণস্বরূপ প্রোগ্রামে যোগদানের ও সমাপ্তি দিনের ছবি দাখিল করতে হবে। যথাযথ মাধ্যমে অগ্রায়নকৃত আবেদনে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ থাকতে হবে। অগ্রায়নের আগে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্র ১ নম্বর থেকে থেকে ৯ নম্বর শর্ত যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলো (ভেরিফায়েড অ্যান্ড ফাউন্ড ওকে) লিখে প্রত্যয়ন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়, যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিবেচ্য মনে করেন।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, উপরিউক্ত নির্দেশনাসমূহ আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে চিকিৎসকদের আমন্ত্রণের ভিত্তিতে বিদেশে সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান