মাশরাফির রুপগঞ্জে আটকে গেল আবাহনী
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের চলমান আসরে টানা তিন ম্যাচে নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়েছেন নাঈম ইসলাম। তিন ইনিংসে তিন অঙ্ক ছুঁতে না পারার আক্ষেপ সঙ্গী হয়েছিল অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের।
তবে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। লিস্ট-এ ক্রিকেটে নাঈমের ১১তম সেঞ্চুরির পর মাশরাফি বিন মুর্তজার দুর্দান্ত বোলিংয়ে আজ আবাহনীকে ১৪ রানে পরাজিত করেছে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ৬ উইকেটে ২৯৭ রানের বড় স্কোর গড়েছিল রুপগঞ্জ। নাঈম ছাড়া বড় স্কোর অবশ্য কারও ব্যাট থেকেই আসেনি। ২৬ রানে ২ উইকেট পতনের পর চিরাগ জানির সঙ্গে ৮৯ রানের জুটি গড়েন নাঈম। একপ্রান্ত আগলে খেলেছেন তিনি। ১০৯ বলে ১২৪ রানের (১৪ চার, ৪ ছয়) ইনিংস খেলেন তিনি। এ ছাড়া চিরাগ জানি ৪৯, রকিবুল হাসান ২২, সাব্বির রহমান ৩০, তানবির হায়দার অপরাজিত ২৩, মাশরাফি অপরাজিত ১৭ রান করেন। আবাহনীর পক্ষে মোসাদ্দেক ২টি উইকেট পান।
রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৮৩ রান করতে সমর্থ হয় আবাহনী। তৌহিদ হৃদয়, মোসাদ্দেকের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিও আবাহনীর হার ঠেকাতে পারেনি। তৌহিদ হৃদয় ৭৪, মোসাদ্দেক ৬৬, মুনিম শাহরিয়ার ২৬, নাঈম শেখ ৩৫, হানুমা বিহারী ১৮ ও সাইফউদ্দিন অপরাজিত ৪৩ রান করেন।
মোসাদ্দেক, তৌহিদ হৃদয়, জাকের আলীকে ফেরান মাশরাফি। রুপগঞ্জের অধিনায়ক ৬৩ রানে নেন গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট। সেঞ্চুরিয়ান নাঈম ইসলাম ম্যাচ সেরা হন।
অপর ম্যাচে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। আগে ব্যাট করে প্রাইম ব্যাংক ৪৯.৪ ওভারে ২৪৯ রানে অলআউট হয়। পরে ৪৭.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ২৫৩ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে খেলাঘর। পিনাক ঘোষ ৬৮, অমিত হাসান ৮৫ ও সালমান হোসেন অপরাজিত ৫৩ রান করেন। খেলাঘরের অমিত হাসান ম্যাচ সেরা হন।
এমপি/এমএমএ/