ভারতকে হারাতে বাংলাদেশের টার্গেট ২৩০
একটা সময় মনে হয়েছিল ভারত রানের পাহাড় গড়বে। অন্তত উদ্বোধনী জুটিতে ৭৪ রান আসার পর এ রকম মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। বাংলাদেশের মেয়েদের লড়াকু বোলিং ভারতের ব্যাটসম্যানদের ছুটতে দেয়নি রানের পাগলা ঘোড়ার পেছনে। টেনে ধরে লাগাম। ফিরে আসে খেলায়। ৫০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২২৯।
হ্যামিলটনে মেয়েদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দিবা-রাত্রির ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারেতর সূচনটা ছিল দারুণ। কিন্তু সেই সূচনার সঙ্গে তারা তাল মেলাতে পারেননি রিতু মনি ও নাহিদার উইকেট শিকারের পাশাপাশি রুমানা, লতা, সালমার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে। ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মানধানা ও শাফালি ভার্মা মাত্র ১৫ ওভারে ৭৪ রান সংগ্রহ করে ভারতের বড় রানের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই ঘটে ছন্দপতন। দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করতে না পারা বাংলাদেশের বোলারদের উজ্জীবিত করে তুলেন নাহিদা। তার বলে ফারজানা আক্তার ক্যাচ ধরলে শেষ হয় স্মৃতির ৫১ বলে ৩ চারে সাজানো ৩০ রানের ইনিংস। পরের ওভারে রিতু মনি পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন আরেক ওপেনার ভার্মার সঙ্গে অধিনায়ক মিতালিকেও, কোনো রান না করতে দিয়েই। উইকেটের পেছনে ভার্মার ক্যাচ ধরেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ভার্মা ৪২ বলে ৪২ রান করে আউট হন। তার ইনিংসে ছিল ১ ছক্কা ও ৬ চার। এ সময় বাংলাদেশের বোলারার বেশ ভালোভাবে চেপে ধরেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। ফলে রানের ঊর্ধ্বমুখী রেখাচিত্র নিম্নগামী হতে থাকে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩৪ রান আসে ১১ ওভার ৪ বলে। এ সময় হারমানপ্রিত কাউর ১৪ রান করে রান আউট হন। চাপ আরও বেড়ে যায় ভারতের। ভাটিয়া ও রিচা ঘোষ মিলে রান বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু রিচা ঘোষকে ২৬ রানে থামিয়ে দেন নাহিদা। অপরপ্রান্তে ভাটিয়া মাত্রই হাফ সেঞ্চুরি করে আরও এগুনোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তারও লাগাম টেনে ধরেন রিতু মনি। ভাটিয়ার ৮০ বলে ২ চারে ৫০ রানের ইনিংস শেষ হয় নাহিদার হাতে ক্যাচ দিয়ে। শেষের দিকে পূজা ও স্নেহ রানার ব্যাটে ভর করে ভারত ২০০ ছাড়িয়ে ২২৯ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে। স্নেহ রানা ২৩ বলে ২৭ রান করে জাহানার শিকার হলেও পূজা ৩৩ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এমপি/টিটি