মালদ্বীপ যাচ্ছে বাংলাদেশ, লক্ষ্য ৬ পয়েন্ট
প্রায় চার মাস পর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে। ২৪ মার্চ মালদ্বীপের বিপক্ষে ও ২৯ মার্চ সিলেটে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ ফিফা উইন্ডোতে এই ম্যাচ খেলবে। এই দুই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।
আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ মার্চ )মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে জামাল ভুঁইয়ারা। তার আগে আজ সোমবার (২১ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ৬ পয়েন্টের জন্য লড়বো। আশা করি সফল হবো। মালদ্বীপের মাটিতে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের হয়তো আমরা হারাতে পারিনি। আগে রেকর্ড নেই ঠিক আছে। আমরা নতুন রেকর্ড করবো। তারা অবশ্যই ভালো দল। তাদের সম্পর্কে আমাদের ধারণা রয়েছে। বিশেষ করে আশফাক। তিনি অবশ্যই তার দলের একটা ফ্যাক্টর।’
নতুন কোচ জাভিয়ের ক্যাবরেরা অবশ্য মালদ্বীপ যাওয়ার আগে মাত্র ৩ দিন বাংলাদেশ দলকে অনুশীলন করানোর সুযোগ পেয়েছেন। তার সম্পর্কে জামাল জানিয়েছেন, আসলে প্রত্যেক কোচেরই আলাদা স্টাইল থাকে। তারও আছে। তবে যেহেতু স্প্যানিশ তাই অস্কারের সঙ্গে অনেকটা মিল আছে।
নতুন কোচ ক্যাবরেরার জন্য অবশ্য ফিফা উইন্ডোর এই দুই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তার অভিষেক হচ্ছে মালদ্বীপের বিপক্ষে। চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত তিনি, ‘পেশাদার কোচ হিসেবে চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে। এটা আমার দায়িত্ব।’
মালদ্বীপ ও মঙ্গেলিয়ার বিপক্ষের এই দুই ম্যাচের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। তিনদিন কোচিং করিয়ে শিষ্যদের সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘২৩ ফুটবলারই খেলার জন্য তৈরি। সবাইকে ব্যবহারের বিষয়টি নির্ভর করছে সময় ও পরিস্থিতির ওপর।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সহ-সভাপতি ও জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষের ম্যাচে দর্শক প্রবেশ করতে পারবে, ‘আমরা অবশ্যই সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শক খেলা দেখতে পারে সেই চেষ্টা করব। দর্শকদের প্রবেশাধিকার ও স্বাস্থ্যগত বিষয়ে ফুটবল ফেডারেশন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছে।’
২৩ সদস্যের বাংলাদেশ দল:
গোলরক্ষক: আনিসুর রহমান জিকো, আশরাফুল ইসলাম রানা ও শহিদুল আলম সোহেল।
ডিফেন্ডার: তারিক কাজী, টুটুল হোসেন বাদশা, রিমন হোসেন, ইয়াসিন আরাফাত, বিশ্বনাথ ঘোষ,ইসা ফয়সাল, রায়হান হাসান ও নাসিরুল ইসলাম নাসির।
মিডফিল্ডার: জামাল ভুঁইয়া, মেরাজ হোসেন অপি, সোহেল রানা, মাসুক মিয়া জনি ও আতিকুর রহমান ফাহাদ।
ফরোয়ার্ড: সুমন রেজা, বিপলু আহমেদ,জুয়েল রানা, রাকিব হোসেন,নাবীব নেওয়াজ জীবন, জাফর ইকবাল ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
এমপি/ জেডএকে